শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইভার মেডিকেলে পড়ার দায়িত্ব নিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১
  • ১১৫ Time View

 

বিশেষ প্রতিবেদক.

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ইভা খাতুনের অর্থাভাবে মেডিকেল পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা কেটে গেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি মেয়েটির পড়ালেখার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ মুঠোফোনে ইভার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাগাতিপাড়া উপজেলার সলইপাড়া গ্রামের ঝরনা বেগম ও মৃত ইউসুফ আলীর মেয়ে ইভা খাতুন। তার বয়স যখন দুই বছর চার মাস তখন তার বাবা কিডনিজনিত সমস্যায় মারা যান। এরপর থেকে অভাব-অনটনের সংসারে মেয়ে বড় হতে থাকে। শেষ সম্বল ১৫ শতাংশ জমিও স্বামীর চিকিৎসা করাতে বন্ধক রাখতে হয়েছে ঝরনা বেগমকে। তাকে টিউশনি করে অনেক কষ্টে সংসার ও মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হয়েছে।

চলতি বছর মাগুরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ইভা খাতুন। কিন্তু মেডিকেলে ভর্তি ও পড়ালেখা চালানোর আর্থিক সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। ফলে তার পড়ালেখা ও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে বুধবার একটি জাতীয় পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ‘অর্থাভাবে মেডিকেলে পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ইভা’শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

এই প্রতিবেদন দেখার পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজে ইভার সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন এবং তার মেডিকেলে পড়ার যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, তার ডাক্তার হওয়ার জন্য যা যা সহযোগিতা দরকার, তা আমি ব্যক্তিগতভাবে করতে চাই। আমি বেঁচে থাকলে তার ডাক্তারি পড়ায় কোনো সমস্যা হবে না।

Tag :

ইভার মেডিকেলে পড়ার দায়িত্ব নিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক

Update Time : ০৫:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১

 

বিশেষ প্রতিবেদক.

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ইভা খাতুনের অর্থাভাবে মেডিকেল পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা কেটে গেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি মেয়েটির পড়ালেখার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ মুঠোফোনে ইভার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাগাতিপাড়া উপজেলার সলইপাড়া গ্রামের ঝরনা বেগম ও মৃত ইউসুফ আলীর মেয়ে ইভা খাতুন। তার বয়স যখন দুই বছর চার মাস তখন তার বাবা কিডনিজনিত সমস্যায় মারা যান। এরপর থেকে অভাব-অনটনের সংসারে মেয়ে বড় হতে থাকে। শেষ সম্বল ১৫ শতাংশ জমিও স্বামীর চিকিৎসা করাতে বন্ধক রাখতে হয়েছে ঝরনা বেগমকে। তাকে টিউশনি করে অনেক কষ্টে সংসার ও মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হয়েছে।

চলতি বছর মাগুরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ইভা খাতুন। কিন্তু মেডিকেলে ভর্তি ও পড়ালেখা চালানোর আর্থিক সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। ফলে তার পড়ালেখা ও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে বুধবার একটি জাতীয় পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ‘অর্থাভাবে মেডিকেলে পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ইভা’শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

এই প্রতিবেদন দেখার পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজে ইভার সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন এবং তার মেডিকেলে পড়ার যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, তার ডাক্তার হওয়ার জন্য যা যা সহযোগিতা দরকার, তা আমি ব্যক্তিগতভাবে করতে চাই। আমি বেঁচে থাকলে তার ডাক্তারি পড়ায় কোনো সমস্যা হবে না।