বিশেষ প্রতিবেদক সিংড়া.
নাটোরের সিংড়া উপজেলা চামারী ইউনিয়নের গোটিয়া এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের শতাধিক গাছ কেটে নিয়েছেন ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতালেব হোসেন । গত তিন-চার দিন ধরে ওই গাছ কাটছেন তিনি। ইতিমধ্যে দুইপাশের শতাধিক সরকারি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) আওতাধীন চামারী ইউনিয়নের গোটিয়া কাঁচা রাস্তার দুই ধারে লাগানো হয় দুই শতাধিক ইউক্যালিপ্টাস গাছ । কিছু গাছ মরে গেছে। বাকিগুলো কাটার সময় এখনো হয়নি। সড়কের দুই পাশের গাছগুলো বড় হতেই তার উপর নজর পরে এলাকায় ভূমিদস্যু ও ডাকাত বলে পরিচিত প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মোতালেব হোসেনের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না। মোতালেব হোসেনে গাছগুলো কেটে বিক্রি করে দেবার সময় বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আছে,।
সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকেরা সড়কের পাশের গাছ কেটে ভ্যানে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। সড়কের দুই পাশে কেটে নেওয়া গাছের গোড়া পড়ে আছে। গাছ কাটছিলেন আটজন শ্রমিক। দুই শ্রমিক কাটা গাছগুলো ভ্যানে করে সরিয়ে নিচ্ছিলেন।
গাছ বহনকারী ভ্যানচালক আলী হোসেন জানান,আওয়ামী লীগ নেতা মোতালেব হোসেন গাছগুলো কেটে বিক্রি করছেন ।তারা শুধু গাছগুলো বহণ করে স্থানীয় স মিলে নিয়ে যাচ্ছেন ।তিন-চারদিন ধরে ছোটবড় শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে । নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ভূমিদস্যু মোতালেব হোসেন ইতিপূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে বিক্রি করে দিয়েছেন । এছাড়া মোতালেব হোসেন তার চাচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেনের প্রভাব খাঁটিয়ে সরকারী পুকুর,কৃষিজমি দখল করে বিক্রি করে দিয়েছেন । এবং অনেক জায়গা এখনো জোড় করে দখলে রেখেছেন। প্রকাশ্যে গাছ কাটা চললেই কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা ।
অভিযুক্ত মোতালেব হোসেন মুঠোফোনে জানান, আমরা নিজেরাই সরকারী রাস্তায় ইউক্যালিপ্টাস গাছগুলো লাগিয়ে ছিলাম । নিজেদের প্রয়োজনে গাছগুলো কেটে নিচ্ছি ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বা বন বিভাগকে জানানোর প্রয়োজন মনে করছিনা চামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলাম জানান, সামাজিক বনায়নের গাছ অন্য কারও কাটার সুযোগ নেই। তিনি কিভাবে গাছগুলো কাটছে আমার জানা নেই ।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিরুল ইসলাম জানান, গাছ কাটার অভিযোগ পেয়ে লোক পাঠিয়ে ছিলাম । গাছ যেই লাগাক না কেন সড়কের মধ্যে বা সড়কের জায়গায় পরলে সে ঘাছ সরকারের। এ গাছ কেউ কাটতে পারবে না। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।