শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুম থেকে দেরিতে উঠায় রৌমারীতে ছাত্রকে বেধরক মারপিটে প্রধান শিক্ষক আটক

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:২২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
  • ৩১ Time View

রৌমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় গোলাম মোস্তাফা (২৪) নামের এক প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে রৌমারী থানার পুলিশ। বুধবার (১৭ জুন) দিনগত মধ্য রাতে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের আবু হোরায়রা নুরানী মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার ফুলপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আবু হোরায়রা নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সজিব (১০)সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘুমাচ্ছিল। ঘুমের কিছুক্ষনের মধ্যে ওই মাদা্রসার শিক্ষক গোলাম মোস্তফা শিক্ষার্থীদের ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে এলোপাথারি বেত্রাঘাত করতে থাকে। এসময় সজিব, কাউসার, ফাহিম, মিশকাত ও মোস্তফা মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনাটি যাতে জানাজানি না হয় সে জন্য তাদেকে মাদ্রাসার শ্রেণীর কক্ষে দীর্ঘখন আটক রাখে। সন্ধ্যার দিকে আত্মীয়র মাধ্যমে সজিবকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সজিবের বাবা বাদী হয়ে হাফেজ গোলাম মোস্তফাকে আসামী করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি এবং আসামীকে আটক করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

ঘুম থেকে দেরিতে উঠায় রৌমারীতে ছাত্রকে বেধরক মারপিটে প্রধান শিক্ষক আটক

Update Time : ১২:২২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

রৌমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় গোলাম মোস্তাফা (২৪) নামের এক প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে রৌমারী থানার পুলিশ। বুধবার (১৭ জুন) দিনগত মধ্য রাতে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের আবু হোরায়রা নুরানী মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার ফুলপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আবু হোরায়রা নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সজিব (১০)সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘুমাচ্ছিল। ঘুমের কিছুক্ষনের মধ্যে ওই মাদা্রসার শিক্ষক গোলাম মোস্তফা শিক্ষার্থীদের ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে এলোপাথারি বেত্রাঘাত করতে থাকে। এসময় সজিব, কাউসার, ফাহিম, মিশকাত ও মোস্তফা মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনাটি যাতে জানাজানি না হয় সে জন্য তাদেকে মাদ্রাসার শ্রেণীর কক্ষে দীর্ঘখন আটক রাখে। সন্ধ্যার দিকে আত্মীয়র মাধ্যমে সজিবকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সজিবের বাবা বাদী হয়ে হাফেজ গোলাম মোস্তফাকে আসামী করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি এবং আসামীকে আটক করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।