শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে চারতলা ভবনে ধস!

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
  • ৩৪ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক, রাজশাহী:
রাজশাহী নগরীতে ধসে পড়েছে চারতলা ভবন। রবিবার (২০ জুন) বেলা ৩টার দিকে নগরীর কয়েরদারা খ্রিস্টানপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন চারতলা এ ভবন ধসে পড়ে। এতে চাপা পড়ে ভবনের নিচে থাকা তিনটি প্রাইভেট কার ও দুটি ভ্যান। তবে নিচে লোকজন না থাকায় কোনো হতাহত হয়নি। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবনটি তৈরি করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভবনটি ওই এলাকার মৃত্যু আক্তারুজ্জামান বাবলুর।। প্রায় এক বছর আগে তিনি মারা গেছেন। এখন ভবনের মালিকানায় আছেন তার ছোট ভাই নুরুজ্জামান পিটার। তবে আক্তারুজ্জামান বাবলুর মৃত্যুর পর থেকে ভবনটিতে আর কাজ হয়নি। ভবনে কোনো লোকজন না থাকলেও তিনটা কার ও দুইটা ভ্যান ছিল। সেগুলো ভবনের নিচে চাপা পড়ে আছে। তবে কোনো মানুষ সেখানে চাপা পড়েনি।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ বলেন, ভবনটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ ফুট। প্রস্থে ছিল ৪০ ফুট। চারতলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল। ওপরে আরেকতলা তোলার জন্য বিম ওঠানো হয়েছিল। অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। এ কারণে ভবনটি ভেঙ্গে পড়েছে। ভবনের নকশা অনুমোদন ছিল কিনা, কোন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার হয়েছিল- এসব তারা তদন্ত করে দেখা হবে।
তবে ভবন মালিকের ব্যবস্থাপক তোফাজ্জল হোসেন মডি দাবি করেছেন, ভবন নির্মাণে ভালো মানের সামগ্রীই ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ভবন আগেই নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু কেউ থাকত না। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) কাছ থেকে এই ভবনটির নকশার অনুমোদন নেয়া হয়েছিল কিনা তা তিনি জানেন না। ভবনটির নকশা অনুমোদন ছিলো কিনা তা জানতে আরডিএ.র অথরাইজড অফিসার মুহা. আবুল আজাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

Tag :

রাজশাহীতে চারতলা ভবনে ধস!

Update Time : ১২:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদক, রাজশাহী:
রাজশাহী নগরীতে ধসে পড়েছে চারতলা ভবন। রবিবার (২০ জুন) বেলা ৩টার দিকে নগরীর কয়েরদারা খ্রিস্টানপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন চারতলা এ ভবন ধসে পড়ে। এতে চাপা পড়ে ভবনের নিচে থাকা তিনটি প্রাইভেট কার ও দুটি ভ্যান। তবে নিচে লোকজন না থাকায় কোনো হতাহত হয়নি। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবনটি তৈরি করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভবনটি ওই এলাকার মৃত্যু আক্তারুজ্জামান বাবলুর।। প্রায় এক বছর আগে তিনি মারা গেছেন। এখন ভবনের মালিকানায় আছেন তার ছোট ভাই নুরুজ্জামান পিটার। তবে আক্তারুজ্জামান বাবলুর মৃত্যুর পর থেকে ভবনটিতে আর কাজ হয়নি। ভবনে কোনো লোকজন না থাকলেও তিনটা কার ও দুইটা ভ্যান ছিল। সেগুলো ভবনের নিচে চাপা পড়ে আছে। তবে কোনো মানুষ সেখানে চাপা পড়েনি।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ বলেন, ভবনটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ ফুট। প্রস্থে ছিল ৪০ ফুট। চারতলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল। ওপরে আরেকতলা তোলার জন্য বিম ওঠানো হয়েছিল। অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। এ কারণে ভবনটি ভেঙ্গে পড়েছে। ভবনের নকশা অনুমোদন ছিল কিনা, কোন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার হয়েছিল- এসব তারা তদন্ত করে দেখা হবে।
তবে ভবন মালিকের ব্যবস্থাপক তোফাজ্জল হোসেন মডি দাবি করেছেন, ভবন নির্মাণে ভালো মানের সামগ্রীই ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ভবন আগেই নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু কেউ থাকত না। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) কাছ থেকে এই ভবনটির নকশার অনুমোদন নেয়া হয়েছিল কিনা তা তিনি জানেন না। ভবনটির নকশা অনুমোদন ছিলো কিনা তা জানতে আরডিএ.র অথরাইজড অফিসার মুহা. আবুল আজাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।