শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নলডাঙ্গার ঈদ ধামাকা সম্রাট ও যুবরাজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:২৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১
  • ৪১ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক, নলডাঙ্গা,নাটোরঃ

পবিত্র কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দেশের বড় বড় খামারগুলো তৈরি করেছে ছোট-বড় আকারের নানান জাতের গরু। তবে, শুধু বড় খামার গুলোই নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় পারিবারিক খামারেও কোরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে গরু মোটাতাজা বা প্রস্তুত করা হয়। প্রতিবছরই আলোচনায় আসে সবচেয়ে বড় আকারের গরুগুলোর নাম। এবার নাটোরের নলডাঙ্গার সিরাজুল মজিদ এমন ২টি বিশাল গরু প্রস্তুত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসীদের। গরু ২ টির নাম দিয়েছেন সম্রাট ও যুবরাজ।

প্রচলিত পদ্ধতির পরিমাপে গরু ২টির বর্তমান ওজন সাদা সম্রাট প্রায় ৩০মণ ও কালো যুবরাজ প্রায় ২৫ মণ। ইতি মধ্যেই বিভিন্ন স্থান থেকে উৎফুল্ল জনতা আসছেন সম্রাট ও যুবরাজকে দেখতে।

সম্রাট ও যুবরাজকে দেখতে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নের বানুরভাগ গ্রামে সরজমিনে গিয়ে, সম্রাট ও যুবরাজকে শুরু থেকে এই পর্যন্ত লালন-পালন করা বানুরভাগ গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে সিরাজুল মজিদের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী গরু দুটিকে সন্তানের মতই অনেক যত্ন করে বড় করেছি। সম্রাটের বর্তমান বয়স ৩ বছর ৭ মাস ও যুবরাজের বয়স ৩ বছর ৫ মাস।

সিরাজুল বলেন, সম্রাট ও যুবরাজকে আমরা অনেক যত্ন ও ভালবাসা দিয়ে বড় করেছি। তাই দাম চাওয়াটা অনেক কষ্ট সাধ্য। তারপরও প্রাথমিকভাবে আমরা একটি দাম প্রকাশ করেছি। সাদা রঙের সম্রাটের জন্য ১২ লক্ষ ও কালো রঙের যুবরাজের জন্য ৮ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের সাথে তাদের আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।

ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরু ২টি স্বাভাবিক খাবার খাইয়ে বড় করেছেন বলে জানান মজিদ। প্রতিদিন, খৈল, ভূষি ও কাঁচা ঘাস বেশি খাওয়ানো হয়। ঘরের মধ্যে ফ্যান চালাতে হয় সব সময় ও গোসল করাতে হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রকিবুল হাসান বলেন, সম্রাট ও যুবরাজ উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে খামারিকে সবসময় সহযোগিতা করা হয়েছে এবং গুরু দুটিকে প্রাকৃতিক ভাবে লালন, পালন করা হয়েছে।

Tag :

নলডাঙ্গার ঈদ ধামাকা সম্রাট ও যুবরাজ

Update Time : ০৬:২৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদক, নলডাঙ্গা,নাটোরঃ

পবিত্র কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দেশের বড় বড় খামারগুলো তৈরি করেছে ছোট-বড় আকারের নানান জাতের গরু। তবে, শুধু বড় খামার গুলোই নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় পারিবারিক খামারেও কোরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে গরু মোটাতাজা বা প্রস্তুত করা হয়। প্রতিবছরই আলোচনায় আসে সবচেয়ে বড় আকারের গরুগুলোর নাম। এবার নাটোরের নলডাঙ্গার সিরাজুল মজিদ এমন ২টি বিশাল গরু প্রস্তুত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসীদের। গরু ২ টির নাম দিয়েছেন সম্রাট ও যুবরাজ।

প্রচলিত পদ্ধতির পরিমাপে গরু ২টির বর্তমান ওজন সাদা সম্রাট প্রায় ৩০মণ ও কালো যুবরাজ প্রায় ২৫ মণ। ইতি মধ্যেই বিভিন্ন স্থান থেকে উৎফুল্ল জনতা আসছেন সম্রাট ও যুবরাজকে দেখতে।

সম্রাট ও যুবরাজকে দেখতে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নের বানুরভাগ গ্রামে সরজমিনে গিয়ে, সম্রাট ও যুবরাজকে শুরু থেকে এই পর্যন্ত লালন-পালন করা বানুরভাগ গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে সিরাজুল মজিদের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী গরু দুটিকে সন্তানের মতই অনেক যত্ন করে বড় করেছি। সম্রাটের বর্তমান বয়স ৩ বছর ৭ মাস ও যুবরাজের বয়স ৩ বছর ৫ মাস।

সিরাজুল বলেন, সম্রাট ও যুবরাজকে আমরা অনেক যত্ন ও ভালবাসা দিয়ে বড় করেছি। তাই দাম চাওয়াটা অনেক কষ্ট সাধ্য। তারপরও প্রাথমিকভাবে আমরা একটি দাম প্রকাশ করেছি। সাদা রঙের সম্রাটের জন্য ১২ লক্ষ ও কালো রঙের যুবরাজের জন্য ৮ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের সাথে তাদের আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।

ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরু ২টি স্বাভাবিক খাবার খাইয়ে বড় করেছেন বলে জানান মজিদ। প্রতিদিন, খৈল, ভূষি ও কাঁচা ঘাস বেশি খাওয়ানো হয়। ঘরের মধ্যে ফ্যান চালাতে হয় সব সময় ও গোসল করাতে হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রকিবুল হাসান বলেন, সম্রাট ও যুবরাজ উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে খামারিকে সবসময় সহযোগিতা করা হয়েছে এবং গুরু দুটিকে প্রাকৃতিক ভাবে লালন, পালন করা হয়েছে।