বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের বাজারে শীতের সবজি, দাম চড়া

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৮৩ Time View

চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ বড় বড় বাজারগুলোতে দেখা গেছে শীতের সবজি। এসব সবজিগুলো যেমনি টাটকা, ঠিক তেমনি দামও বেশি। ফলে দাম বেশি হওয়ায় নিম্ন-মধ্যবিত্তদের জন্য কষ্ট হয়ে পড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার বহদ্দারহাট, কাজির দেউরি কাচাঁবাজার, ২নং গেইট কর্ণফুলী মার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কিছু কিছু শীতের সবজির দৃশ্য। টমেটো, শিম, ফুলকপি, গাজর, বরবটি, বাঁধাকপি, বেগুন, কাঁকরোল, পটল, কুমড়া, আলু, লতা, লাউ, শসা, কচুসহ নানা ধরনের সবজি।

বাজারে আসা প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রয় হচ্ছে বাজার বেধে ৯০ থেকে ১১০ টাকা। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়, শিমের দাম দেয়া হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায়। অন্য বাজারগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঁকরোল ৪০-৪৫ টাকা, দেশি করলা ৬০-৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৪৫ টাকা, টমেটো ১০০-১২০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, কচু ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৮০-৯০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, লতা ৪০-৪৫ টাকা, শসা ৪০-৪৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর লাউ প্রতিটি ৪৫-৫০ টাকা, কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৪ টাকা কেজি। এখানে লেবু প্রতি ডজন বিক্রয় হচ্ছে ভালমানের গুলো ৬০-৭০ টাকায়। কারণ করোনাকালীন সময়ে লেবুর দাম একটু বেড়ে গেছে বলে অনেকে জানান।

সরোয়ার কামাল নামে একজন ক্রেতা বলেন, সবজির দাম বেশি। তারপরও নতুন সবজি বাজারে এসেছে বেশি দামেই নিতে হচ্ছে। তাছাড়া মাছ, মাংস অন্য বাজারের দামও বেশি। প্রতিদিন বাজারে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। নিম্ন-মধ্যবিত্তদের একটু কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের আয় কম, ফলে কষ্টও একুট বেশি হচ্ছে। বেতনের নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে সবকিছুই করতে হয় বলে জানান তিনি।

কর্ণফুলী মার্কেটের দুলাল নামে এক বিক্রেতা বলেন, ভালমানের সবজির দামতো একটু বেশি হবেই। দুইদিনের আগের সবজি হলে কম দাম দিয়েই পাওয়া যাবে। তবে নতুন সবজি বা টাটকা সবজির একটু দাম যেমনি হবে, ঠিক তেমনি রান্নার পর মজাও হবে বলে জানান তিনি।

বহদ্দারহাট বাজারের রহিম নামে এক ক্রেতা বলেন, নতুন সবজি বেশি দামেই কিনে আনতে হয়। কিছু দিন পরেই একটু দাম কমবে। কম দাম দিয়ে বিক্রয় করলে গাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন খরচ উঠে আসে না বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, মাছের বাজারের অবস্থাও একই রকমের। এখানে মাছ বেধে বিভিন্ন দামে বিক্রয় হচ্ছে। সিলভার কার্প ১৬০-২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০-১৮০ টাকা, চিংড়ি ও গলদা চিংড়ি ৬৫০-৮০০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪৫০ টাকা, কৈ মাছ (ফার্ম) ১৫০-২০০ টাকা, দেশি ৩৫০-৪০০ টাকা, ইলিশ মাছ ৯০০-১৩০০ টাকা, রুই মাছ ২৬০-৩২০ টাকা, কাতল মাছ ২৮০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩৫-১৮০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।

Tag :
About Author Information

Daily Banalata

চট্টগ্রামের বাজারে শীতের সবজি, দাম চড়া

Update Time : ০১:৪৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ বড় বড় বাজারগুলোতে দেখা গেছে শীতের সবজি। এসব সবজিগুলো যেমনি টাটকা, ঠিক তেমনি দামও বেশি। ফলে দাম বেশি হওয়ায় নিম্ন-মধ্যবিত্তদের জন্য কষ্ট হয়ে পড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার বহদ্দারহাট, কাজির দেউরি কাচাঁবাজার, ২নং গেইট কর্ণফুলী মার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কিছু কিছু শীতের সবজির দৃশ্য। টমেটো, শিম, ফুলকপি, গাজর, বরবটি, বাঁধাকপি, বেগুন, কাঁকরোল, পটল, কুমড়া, আলু, লতা, লাউ, শসা, কচুসহ নানা ধরনের সবজি।

বাজারে আসা প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রয় হচ্ছে বাজার বেধে ৯০ থেকে ১১০ টাকা। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়, শিমের দাম দেয়া হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায়। অন্য বাজারগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঁকরোল ৪০-৪৫ টাকা, দেশি করলা ৬০-৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৪৫ টাকা, টমেটো ১০০-১২০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, কচু ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৮০-৯০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, লতা ৪০-৪৫ টাকা, শসা ৪০-৪৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর লাউ প্রতিটি ৪৫-৫০ টাকা, কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৪ টাকা কেজি। এখানে লেবু প্রতি ডজন বিক্রয় হচ্ছে ভালমানের গুলো ৬০-৭০ টাকায়। কারণ করোনাকালীন সময়ে লেবুর দাম একটু বেড়ে গেছে বলে অনেকে জানান।

সরোয়ার কামাল নামে একজন ক্রেতা বলেন, সবজির দাম বেশি। তারপরও নতুন সবজি বাজারে এসেছে বেশি দামেই নিতে হচ্ছে। তাছাড়া মাছ, মাংস অন্য বাজারের দামও বেশি। প্রতিদিন বাজারে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। নিম্ন-মধ্যবিত্তদের একটু কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের আয় কম, ফলে কষ্টও একুট বেশি হচ্ছে। বেতনের নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে সবকিছুই করতে হয় বলে জানান তিনি।

কর্ণফুলী মার্কেটের দুলাল নামে এক বিক্রেতা বলেন, ভালমানের সবজির দামতো একটু বেশি হবেই। দুইদিনের আগের সবজি হলে কম দাম দিয়েই পাওয়া যাবে। তবে নতুন সবজি বা টাটকা সবজির একটু দাম যেমনি হবে, ঠিক তেমনি রান্নার পর মজাও হবে বলে জানান তিনি।

বহদ্দারহাট বাজারের রহিম নামে এক ক্রেতা বলেন, নতুন সবজি বেশি দামেই কিনে আনতে হয়। কিছু দিন পরেই একটু দাম কমবে। কম দাম দিয়ে বিক্রয় করলে গাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন খরচ উঠে আসে না বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, মাছের বাজারের অবস্থাও একই রকমের। এখানে মাছ বেধে বিভিন্ন দামে বিক্রয় হচ্ছে। সিলভার কার্প ১৬০-২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০-১৮০ টাকা, চিংড়ি ও গলদা চিংড়ি ৬৫০-৮০০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪৫০ টাকা, কৈ মাছ (ফার্ম) ১৫০-২০০ টাকা, দেশি ৩৫০-৪০০ টাকা, ইলিশ মাছ ৯০০-১৩০০ টাকা, রুই মাছ ২৬০-৩২০ টাকা, কাতল মাছ ২৮০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩৫-১৮০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।