শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ব্যাংকের বান্ডিলে পাওয়া যাচ্ছে কম ও জাল নোট

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৪১ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া টাকার বান্ডিলে জাল নোট দিচ্ছে বিভিন্ন ব্যাংকগুলো। একইসঙ্গে যে পরিমাণ নোটের কথা বলা হচ্ছে, গুণে পাওয়া যাচ্ছে তার চেয়ে কম। এছাড়া উচ্চ মূল্যমানের নোটের প্যাকেটে কম মূল্যমানের নোট বা ছেড়া নোটের অংশ নিখুঁতভাবে জোড়া দিয়ে পুনঃপ্রচলন নোট হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়, ‘প্রতিটি প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট ব্যান্ডিং করার পর সংশ্নিষ্ট শাখার নাম, সীল, নোট গণনাকারীর স্বাক্ষর ও তারিখ সম্বলিত লেবেল বা ফ্ল্যাইলিফ লাগানোর বিধান রয়েছে। তবে সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে- এ নির্দেশনা লংঘন করে সরাসরি টাকার ওপর সংখ্যা ও তারিখ লেখা, শাখার সিল, স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর ও স্ট্যাপলিং করা হচ্ছে। এতে করে তুলনামূলক কম সময়ে নোটগুলো অপ্রচলনযোগ্য হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় অর্থেরও অপচয় হচ্ছে। এধরনের কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিন নোট নীতিমালা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায় যা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়।’

সার্কুলারে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে নোট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে আবশ্যিকভাবে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট থাকার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে প্রচলনের অযোগ্য নোট পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি অন্য অনিয়মও পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্যাকেটে সঠিক সংখ্যার চেয়ে কম নোট, উচ্চ মূল্যমান নোটের প্যাকেটে কম মূল্যমানের নোট থাকছে। আবার উচ্চমূল্যের ভিন্ন ভিন্ন সিরিয়ালের দুটি নোটের অংশ নিখুঁতভাবে জোড়া দিয়ে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে রাখা হচ্ছে। পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে জাল নোটও থাকছে।’

বিদ্যমান নিয়মে, গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাংকের লেনদেনের সময় বাধ্যতামূলকভাবে জাল নোট সনাক্তকারী মেশিনে চেক করে নিতে হয়। অপ্রচলনযোগ্য ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময়েরও বিভিন্ন বিধান রয়েছে। ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা জমার সময় পুন:প্রচলনযোগ্য ও অপ্রচলনযোগ্য নোট আলাদা করে জমা দিতে হয়।

Tag :

ব্যাংকের বান্ডিলে পাওয়া যাচ্ছে কম ও জাল নোট

Update Time : ০৮:৩৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া টাকার বান্ডিলে জাল নোট দিচ্ছে বিভিন্ন ব্যাংকগুলো। একইসঙ্গে যে পরিমাণ নোটের কথা বলা হচ্ছে, গুণে পাওয়া যাচ্ছে তার চেয়ে কম। এছাড়া উচ্চ মূল্যমানের নোটের প্যাকেটে কম মূল্যমানের নোট বা ছেড়া নোটের অংশ নিখুঁতভাবে জোড়া দিয়ে পুনঃপ্রচলন নোট হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়, ‘প্রতিটি প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট ব্যান্ডিং করার পর সংশ্নিষ্ট শাখার নাম, সীল, নোট গণনাকারীর স্বাক্ষর ও তারিখ সম্বলিত লেবেল বা ফ্ল্যাইলিফ লাগানোর বিধান রয়েছে। তবে সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে- এ নির্দেশনা লংঘন করে সরাসরি টাকার ওপর সংখ্যা ও তারিখ লেখা, শাখার সিল, স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর ও স্ট্যাপলিং করা হচ্ছে। এতে করে তুলনামূলক কম সময়ে নোটগুলো অপ্রচলনযোগ্য হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় অর্থেরও অপচয় হচ্ছে। এধরনের কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিন নোট নীতিমালা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায় যা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়।’

সার্কুলারে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে নোট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে আবশ্যিকভাবে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট থাকার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে প্রচলনের অযোগ্য নোট পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি অন্য অনিয়মও পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্যাকেটে সঠিক সংখ্যার চেয়ে কম নোট, উচ্চ মূল্যমান নোটের প্যাকেটে কম মূল্যমানের নোট থাকছে। আবার উচ্চমূল্যের ভিন্ন ভিন্ন সিরিয়ালের দুটি নোটের অংশ নিখুঁতভাবে জোড়া দিয়ে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে রাখা হচ্ছে। পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে জাল নোটও থাকছে।’

বিদ্যমান নিয়মে, গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাংকের লেনদেনের সময় বাধ্যতামূলকভাবে জাল নোট সনাক্তকারী মেশিনে চেক করে নিতে হয়। অপ্রচলনযোগ্য ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময়েরও বিভিন্ন বিধান রয়েছে। ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা জমার সময় পুন:প্রচলনযোগ্য ও অপ্রচলনযোগ্য নোট আলাদা করে জমা দিতে হয়।