চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ায় লাঞ্চিত হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আমানুল্লাহ বাবু।
আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন, ত্যাগী নেতাদের বহিষ্কার বিষয়ে বৃহস্পতিবার যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কথা বলায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ বাবুর বক্তব্যের মাঝপথে তা থামিয়ে দেন পৌর নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী মুখলেসুর রহমান।
বাবু তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের কারণে যেভাবে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত বিভেদ ছড়িয়ে পড়ছে; নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিতরা বিরোধে জড়িয়ে পড়ছেন। যেভাবে একের পর এক ত্যাগী নেতাকে বহিস্কার করা হচ্ছে। আপনার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেন, ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে পরিণত না হয় এদিকে দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলায় বাবুর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুসে উঠেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগে সদস্য ও সিনিয়র নেতা এমরান ফারুক মাসুম তার ফেইসবুক আইডিতে বাবুর বহিস্কার দাবি করে লিখেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি সমালোচনার অভিযোগে অবিলম্বে আমানুল্লাহ বাবুকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হোক।
প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বাবুর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. নজরুল ইসলাম।
পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রীর দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কথা বলবে তাদের দলে থাকার কোন অধিকার নেই।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ডা. সাইফ জামান আনন্দ বলেন, যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আমাদের মাতৃতুল্য জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলার যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন তা কল্পনাতীত। অনতিবিলম্বে তিনি বাবুর বহিস্কার দাবী করেন।
বিষয়টি নিয়ে আমানুল্লাহ বাবুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়া মেয়র প্রার্থী মুখলেসুর রহমান বলেন, আমানুল্লাহ বাবু প্রধানমন্ত্রী ও দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলছিল তাই তাকে বক্তব্য থামাতে বলেছি।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি সামিউল হক লিটন। এ নিয়ে তাকে যুবলীগ থেকে সাময়িক অব্যহতি দেয়া হয়। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন পান মুখলেসুর রহমান।