শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চলনবিলে শতবর্ষী ডেলটা প্লান নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৭০ Time View

মোঃ মাজেম আলী মলিন.

নাটোরের চলনবিল অধুষিত গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের বিলশা স্বর্ণদীপে ডেলটা প্লান শীর্ষক  এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ওই মতোবিনিময় সভার কার্যক্রম চলে। অনুষ্ঠানটি উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বাংলাদেশ পরিকল্পপনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম ও নেদারল্যান্ড হাই কমিশনের ৬ জন উর্ধতন কর্মকতার সাথে নাটোর ও গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক ও উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ড হাই কমিশনের কর্মকর্তা , মার্টিন ভ্যানডার গ্রুয়েপ, হারুনী ওসমান,রোজ ,মাকুইব বোজম্যান,লায়লা ওজেয়ী,আর্নকেলহাফ ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন, সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ আবু রাসেল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আকতার, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম দোলন প্রমুখ্য।

ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসের আদলে গ্রহণ করা শতবর্ষী ডেল্টা প্ল্যান তথা ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’কে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে দেখছে সরকার। বন্যা, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হিসেবে আলোচিত ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বরে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)।

ডেল্টা প্ল্যানে ছয়টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- বন্যা, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পনি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বন্য নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন। এই ছয়টি হলো ডেল্টা প্ল্যান-এর ছয় স্তম্ভ।
ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য এই মহাপরিকল্পনার প্রথম ধাপে অর্থাৎ ২০৩০ সাল নাগাদ বাস্তবায়নের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে ৮০টি প্রকল্প।

এর মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামো প্রকল্প এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, দক্ষতা ও গবেষণা বিষয়ক প্রকল্প। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৩ হাজার ১৪৫ বিলিয়ন টাকারও বেশি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলো কখনও একক আবার কখনও যৌথভাবে কাজ করছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিকলাপনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন , ‘কয়েক ধাপে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়ন করা হবে। ২০৩১ সাল নাগাদ থাকবে প্রথম ধাপ। ২০৩১ থেকে ২০৫০ সাল নাগাদ পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ, এবং এরপর তৃতীয় ধাপ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২১০০ সাল।’
পরিকল্পনা কমিশন পাঁচ বছর পর পর পুরো ডেল্টা প্ল্যানের তথ্য হালনাগাদ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Tag :

চলনবিলে শতবর্ষী ডেলটা প্লান নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৮:০৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১

মোঃ মাজেম আলী মলিন.

নাটোরের চলনবিল অধুষিত গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের বিলশা স্বর্ণদীপে ডেলটা প্লান শীর্ষক  এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ওই মতোবিনিময় সভার কার্যক্রম চলে। অনুষ্ঠানটি উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বাংলাদেশ পরিকল্পপনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম ও নেদারল্যান্ড হাই কমিশনের ৬ জন উর্ধতন কর্মকতার সাথে নাটোর ও গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক ও উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ড হাই কমিশনের কর্মকর্তা , মার্টিন ভ্যানডার গ্রুয়েপ, হারুনী ওসমান,রোজ ,মাকুইব বোজম্যান,লায়লা ওজেয়ী,আর্নকেলহাফ ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন, সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ আবু রাসেল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আকতার, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম দোলন প্রমুখ্য।

ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসের আদলে গ্রহণ করা শতবর্ষী ডেল্টা প্ল্যান তথা ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’কে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে দেখছে সরকার। বন্যা, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হিসেবে আলোচিত ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বরে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)।

ডেল্টা প্ল্যানে ছয়টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- বন্যা, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পনি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বন্য নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন। এই ছয়টি হলো ডেল্টা প্ল্যান-এর ছয় স্তম্ভ।
ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য এই মহাপরিকল্পনার প্রথম ধাপে অর্থাৎ ২০৩০ সাল নাগাদ বাস্তবায়নের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে ৮০টি প্রকল্প।

এর মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামো প্রকল্প এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, দক্ষতা ও গবেষণা বিষয়ক প্রকল্প। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৩ হাজার ১৪৫ বিলিয়ন টাকারও বেশি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলো কখনও একক আবার কখনও যৌথভাবে কাজ করছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিকলাপনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন , ‘কয়েক ধাপে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়ন করা হবে। ২০৩১ সাল নাগাদ থাকবে প্রথম ধাপ। ২০৩১ থেকে ২০৫০ সাল নাগাদ পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ, এবং এরপর তৃতীয় ধাপ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২১০০ সাল।’
পরিকল্পনা কমিশন পাঁচ বছর পর পর পুরো ডেল্টা প্ল্যানের তথ্য হালনাগাদ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।