প্রভাষক মোঃ মাজেম আলী মলিন.
ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। সময়ের আবর্তে প্রকৃতিতে দেখা দেয় নানা বৈচিত্রতা। ভিন্ন ভিন্ন উৎসবে মেতে উঠে এদেশের সাংকৃতিকমনা মানুষগুলো। তবে সব উৎসবের মধ্যে ঋতু রাজ বসন্তের ফাল্গুন নজর কারে সবার।
প্রকৃতিতে পাওয়া যায় নানা রকম ফুলের ঘ্রাণ। ককিলের ডাক জানান দেয় প্রকৃতির আগমনী বার্তা। সেই ডাকে সারা দিয়ে দেশ জুড়ে চলে আনান্দ উৎসব। তারই ধারা বাহিকতায় নাটোরের গুরুদাসপুরে উদযাপিত হলো বসন্ত বরণ উৎসব।
৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেল ৫টায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে বসে ফাগুন প্রেমিদের মিলন মেলা। এই উৎসবে যোগদেন শিশু কিশোর থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শেণি পেশার মানুষ।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আমন্ত্রীত শিল্পীরা দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন বিভিন্ন গান নিত্য আর কৌতুক দিয়ে। এতে সভাপতিত্ব করেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ইউএনও তমাল হোসেন বলেন, এই ধরনের উৎসব আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা বাঙালি, আর এই উৎসব আমাদের রক্তে জাগায় বাঙালিয়ানার নবজাগরণ। আমরা সারাবছরের জীবনযুদ্ধ ভুলে মেতে উঠি ফাগুন উৎসবে। অতিতে আমাদের ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে নানারকম সংকটের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতো । আবার কখনও মৌলবাদ, কখনও সাম্প্রদায়িক অহিংসা আর জঙ্গিবাদ এসে বাঙালির অহিংস আর উৎসবমুখর স্বত্বাকে প্রশ্নের মুখে ফেলতো এইসব হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হতে পারে বাঙালির জাতীয় উৎসবগুলোতে বাংলার চিরন্তন সাজে সেজে পথে নামা। তাই আসুন আমরা এবারের ফাগুন রাঙাই উৎসবের রঙে, অহিংসা আর প্রেমের সংগীতে নেচে-গেয়ে, আনন্দে মেতে।