শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে কোটি টাকার সরকারী রাস্তা নষ্ট করে চলছে মাটি বিক্রি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:০০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২
  • ৩২৫ Time View

ঝুকি নিয়ে পাকা রাস্তা পার হচ্ছেন এক শিক্ষার্থী। বৃষ্টি শুরু হলে হতাহতের দায়ভার কে নিবে?

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.

নাটোরের গুরুদাসপুরে আত্রাই নদী খননের অজুহাতে কয়েক কোটি টাকার সরকারী পাকা রাস্তা,ঘরবাড়ি,ফসলি জমি ও পরিবেশ নষ্ট করে মাটি বিক্রির মিশনে নেমেছেন উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মনিরুল ইসলাম। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রহমান ট্রেডার্স এর স্বত্যাধিকারী মোঃ মোবারক হোসেন প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যায় বরাদ্দে নদী ড্রেইজিংয়ের কাজটি পেলেও মাটি ও বালি বিক্রয়ের কাজটি পেয়েছেন মনিরুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক ব্যাক্তি।

ওয়ার্ক অর্ডারের নথি সুত্রে জানাযায়, বাংলাদেশ অভ্যান্তরিণ নৌ-পরিবহন কর্র্তৃপক্ষের নিকট থেকে নৌ-পথের গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় (বিআইডবিøউটিএ)র নির্ধারিত দরপত্রে মাত্র ৪লক্ষ টাকায় ২০ লক্ষ ঘন ফুট মাটি ও বালি উত্তোলনের অনুমতি পান মনিরুল। যার মেয়াদকাল ১৫ মার্চ ২০২২ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য। যে কাজের ড্রেইজিংয়ে এক্সাভেটর দাঁড়া খনন কৃত মাটি ওই প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ফুট দুরত্বের মধ্যে ডাইক নির্মান ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে নিজ খরচে অন্যত্র সরিয়ে নেবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এক্সেভেটর দাঁড়া খনন কৃত মাটি/বালি বিক্রির সময় ফসল,ঘরবাড়ি,রাস্তা ঘাট ও গুরুত¦পুর্ণ স্থাপনার ক্ষতি হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনুমতি বাতিলের নির্দেশনা থাকা সত্বেও তা মানা হচ্ছে না।
স্থানীয় ভুক্তভোগিরা জানান, উত্তোলিত মাটি নদীর দুইপাশের ২ হাজার ফুটের মধ্যে বাঁধসহ রাস্তা নির্মাণের নির্দেশ থাকলেও। চুক্তিভিত্তিক ওই মাটি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন জনের পুকুর,বসত বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভরাটসহ ট্রাকযোগে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন ফলে অপরিকল্পতি মাটি উত্তোলনের কারনে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়িসহ ফসলি জমি ভেঙে পড়ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর সভার প্রায় শত কোটি টাকার রস্তা নষ্টেসহ প্রতি দিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩শ ট্রাক মাটি বিক্রি করছেন। প্রতি ট্রাক মাটি বিক্রি করছেন হাজার থেকে ১২শ টাকায়। এতে প্রতিদিন প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার মাটি বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার সচেতন সমাজসহ ভুক্তভোগি পরিবারের লোকজন।

অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেনের অনুমতি ক্রমেই এই মাটি বহন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এধরনের কোন কথা আমি বলিনি। এটা সমপুর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। বরং আমি মাটি বহনের প্রতিবাদ করেছি এলাকা বাসীর স্বার্থে এবং বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছি।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নদীপথ সচল করতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে চাঁচকৈড় আত্রাই নদীর ত্রিমোহনা থেকে মশিন্দা ইউনিয়নের ১০ নং ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই নদী খননের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ অভ্যান্তরিণ নৌ-পরিবহন কর্র্তৃপক্ষ। এ জন্য বরাদ্ধও দেওয়া হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। কাজটি পেয়েছে মেসার্স রহমান ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নদী খননের মাটি ও বালু দিয়ে দুই পাড়ে শক্ত বাঁধ কিংবা সড়ক নির্মাণ করার নির্দেশনা রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি গত ১৫ মার্চ ২০২২ অনুমতি পেয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

৬ এপ্রিল বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় প্রভাবশালী চেয়ারম্যান ও আ.লীগের কতিপয় নেতার সহায়তায় খনন কার্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। ফলে ওই খনন প্রকল্পকে পুঁজি করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট বালু ও মাটি বিক্রিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। নদীর কয়েকটি স্থানে ড্রেজার বসান হলেও নদী খননের কোন নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। শুধু নদীর তীর বর্তী ঘরবাড়ির ক্ষতি নয় নদী থেকে এই মাটি রাশিয়ান ট্রাকটর যোগে ৪ থেকে ৬ কিঃমিঃ পর্যন্ত দুরে নিয়ে বিক্রী করছেন। এতে করে সদ্য সমাপ্ত হওয়া সরকারী রাস্তা নষ্ট সহ রাস্তায় মাটি পরার ফলে বেড়ে গেছে দুর্ঘটনার হারও। সেই সাথে ধুলাবালির কারনে পরিবেশ ও নষ্ট হচ্ছে ব্যাপক ভাবে। নদী ভরাট হয়ে প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে এমন স্থান খনন না করে যেখানে নদী সচল রয়েছে সেখানে মিনি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলনের করা হচ্ছে। এতে অনেকের বসতবাড়ি ও আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে।

খুবজীপুর এলাকায় গিয়ে একজন চালককের সাথে কথা হয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে  তিনি জানান, ‘আমাদের নদী খননের লোকজন একটি স্লিপ দিয়েছে, সে কারণে আমরা ড্রেজার চালাইতেছি।’ তবে চালক কাছে স্লিপ দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারি মো.মোবারক হোসেন বলেন, নদী খনন করা উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কিংবা সার্ভেয়ারদের নির্ধারিত সীমানা ও সিডিউল অনুযায়ীই নদী খনন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, নদী খননের বিষয়ে ইতিপুর্বে একজন নির্বাহী মেজিস্ট্রেটকে পাঠানো হয়েছিলো। অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষের ত্রুটি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাস্তার বর্তমান অবস্থা সরাসরি লাইভ ভিডিওতে দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Tag :

গুরুদাসপুরে কোটি টাকার সরকারী রাস্তা নষ্ট করে চলছে মাটি বিক্রি

Update Time : ০৪:০০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.

নাটোরের গুরুদাসপুরে আত্রাই নদী খননের অজুহাতে কয়েক কোটি টাকার সরকারী পাকা রাস্তা,ঘরবাড়ি,ফসলি জমি ও পরিবেশ নষ্ট করে মাটি বিক্রির মিশনে নেমেছেন উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মনিরুল ইসলাম। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রহমান ট্রেডার্স এর স্বত্যাধিকারী মোঃ মোবারক হোসেন প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যায় বরাদ্দে নদী ড্রেইজিংয়ের কাজটি পেলেও মাটি ও বালি বিক্রয়ের কাজটি পেয়েছেন মনিরুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক ব্যাক্তি।

ওয়ার্ক অর্ডারের নথি সুত্রে জানাযায়, বাংলাদেশ অভ্যান্তরিণ নৌ-পরিবহন কর্র্তৃপক্ষের নিকট থেকে নৌ-পথের গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় (বিআইডবিøউটিএ)র নির্ধারিত দরপত্রে মাত্র ৪লক্ষ টাকায় ২০ লক্ষ ঘন ফুট মাটি ও বালি উত্তোলনের অনুমতি পান মনিরুল। যার মেয়াদকাল ১৫ মার্চ ২০২২ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য। যে কাজের ড্রেইজিংয়ে এক্সাভেটর দাঁড়া খনন কৃত মাটি ওই প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ফুট দুরত্বের মধ্যে ডাইক নির্মান ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে নিজ খরচে অন্যত্র সরিয়ে নেবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এক্সেভেটর দাঁড়া খনন কৃত মাটি/বালি বিক্রির সময় ফসল,ঘরবাড়ি,রাস্তা ঘাট ও গুরুত¦পুর্ণ স্থাপনার ক্ষতি হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনুমতি বাতিলের নির্দেশনা থাকা সত্বেও তা মানা হচ্ছে না।
স্থানীয় ভুক্তভোগিরা জানান, উত্তোলিত মাটি নদীর দুইপাশের ২ হাজার ফুটের মধ্যে বাঁধসহ রাস্তা নির্মাণের নির্দেশ থাকলেও। চুক্তিভিত্তিক ওই মাটি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন জনের পুকুর,বসত বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভরাটসহ ট্রাকযোগে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন ফলে অপরিকল্পতি মাটি উত্তোলনের কারনে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়িসহ ফসলি জমি ভেঙে পড়ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর সভার প্রায় শত কোটি টাকার রস্তা নষ্টেসহ প্রতি দিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩শ ট্রাক মাটি বিক্রি করছেন। প্রতি ট্রাক মাটি বিক্রি করছেন হাজার থেকে ১২শ টাকায়। এতে প্রতিদিন প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার মাটি বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার সচেতন সমাজসহ ভুক্তভোগি পরিবারের লোকজন।

অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেনের অনুমতি ক্রমেই এই মাটি বহন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এধরনের কোন কথা আমি বলিনি। এটা সমপুর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। বরং আমি মাটি বহনের প্রতিবাদ করেছি এলাকা বাসীর স্বার্থে এবং বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছি।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নদীপথ সচল করতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে চাঁচকৈড় আত্রাই নদীর ত্রিমোহনা থেকে মশিন্দা ইউনিয়নের ১০ নং ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই নদী খননের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ অভ্যান্তরিণ নৌ-পরিবহন কর্র্তৃপক্ষ। এ জন্য বরাদ্ধও দেওয়া হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। কাজটি পেয়েছে মেসার্স রহমান ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নদী খননের মাটি ও বালু দিয়ে দুই পাড়ে শক্ত বাঁধ কিংবা সড়ক নির্মাণ করার নির্দেশনা রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি গত ১৫ মার্চ ২০২২ অনুমতি পেয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

৬ এপ্রিল বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় প্রভাবশালী চেয়ারম্যান ও আ.লীগের কতিপয় নেতার সহায়তায় খনন কার্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। ফলে ওই খনন প্রকল্পকে পুঁজি করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট বালু ও মাটি বিক্রিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। নদীর কয়েকটি স্থানে ড্রেজার বসান হলেও নদী খননের কোন নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। শুধু নদীর তীর বর্তী ঘরবাড়ির ক্ষতি নয় নদী থেকে এই মাটি রাশিয়ান ট্রাকটর যোগে ৪ থেকে ৬ কিঃমিঃ পর্যন্ত দুরে নিয়ে বিক্রী করছেন। এতে করে সদ্য সমাপ্ত হওয়া সরকারী রাস্তা নষ্ট সহ রাস্তায় মাটি পরার ফলে বেড়ে গেছে দুর্ঘটনার হারও। সেই সাথে ধুলাবালির কারনে পরিবেশ ও নষ্ট হচ্ছে ব্যাপক ভাবে। নদী ভরাট হয়ে প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে এমন স্থান খনন না করে যেখানে নদী সচল রয়েছে সেখানে মিনি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলনের করা হচ্ছে। এতে অনেকের বসতবাড়ি ও আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে।

খুবজীপুর এলাকায় গিয়ে একজন চালককের সাথে কথা হয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে  তিনি জানান, ‘আমাদের নদী খননের লোকজন একটি স্লিপ দিয়েছে, সে কারণে আমরা ড্রেজার চালাইতেছি।’ তবে চালক কাছে স্লিপ দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারি মো.মোবারক হোসেন বলেন, নদী খনন করা উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কিংবা সার্ভেয়ারদের নির্ধারিত সীমানা ও সিডিউল অনুযায়ীই নদী খনন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, নদী খননের বিষয়ে ইতিপুর্বে একজন নির্বাহী মেজিস্ট্রেটকে পাঠানো হয়েছিলো। অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষের ত্রুটি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাস্তার বর্তমান অবস্থা সরাসরি লাইভ ভিডিওতে দেখতে এখানে ক্লিক করুন