গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর নিয়োগে অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে জেলা শিক্ষা অফিসার একটি টিম নিয়ে নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ উদ্দিন তার প্রতিষ্ঠানে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মোঃ রফিকুল ইসলাম নামের বয়স্ক এক ব্যাক্তিকে ভুয়া পরিচয় পত্র তৈরী করে যুবক বানিয়ে নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগ দিয়েছেন। সে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এতে এলাকাবাসীর পক্ষে ঐ বিদ্যালয়ের দুইজন প্রাক্তন ছাত্র গত ২৮ ফেব্রুয়ারী জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন । সেই অভিযোগটি জেলা শিক্ষা অফিসার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী উপ- পরিচালকের কার্যালয় বরাবর পাঠালে, উপ-পরিচালকের কার্যালয় থেকে তদন্তের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশন দেন। ওই তদন্তের জন্য ৫ এপ্রিল জেলা শিক্ষা অফিসার মো.আকতার হোসেন একটি টিম নিয়ে তদন্তের জন্য নাজিররপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।
তদন্ত কাজে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী পরিদর্শক মো.সাইফুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো.বজলুর রহমান,প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন, বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মো.লুৎফর রহমান হিরা, এলাকাবাসীর পক্ষে মো.মুকুল হোসেন, ও চাত্রলীগ নেতা মিশু।
মুকুল হোসেন বলেন,জালিয়াতির সকল প্রমানপত্র জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয়কে দিয়েছি আমরা আশা করছি তদন্ত নিরপেক্ষ হবে, আমরা ন্যায় বিচার পাবো ইনশাআল্লাহ।
প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন বলেন,তদন্ত চলছে শেষ হলে যেটা হবার সেটা হবে এ ব্যপারে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আকতার হোসেন বলেন, তদন্ত শেষে দোষী সব্যাস্ত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।