শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে ঐতিহ্যবাহী  চড়ক পূজা ও গ্রামীনমেলা অনুষ্ঠিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৪৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
  • ৪২ Time View

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি. 

মহামারির করোনার ২ বছর পর আবারও শুরু হলো গুরুদাসপুরের শিধুলী গ্রামে তিনশ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলার।
এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই পুঁজা ও মেলার। চড়ক পূজা ও দুইদিনের এই গ্রামীণ মেলায় ছিল সব শ্রেণির মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বৈশাখ মাসের ১৩ তারিখে শিবপূজা উপলক্ষে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের শিধুলী এলাকার শিব মন্দিরের পাশে সিধুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকাল থেকে হাজড়া নাচের মাধ্যমে এই মেলা শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার পর থেকে চড়ক পূজা, চড়ক ঘুড়ানো শুরু হয়ে চলে সন্ধা পর্যন্ত। সনাতন ধর্মের লোক ছাড়াও হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গন। তিনজন ব্যক্তির পিঠে বড়শি ফুটিয়ে মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে চড়কে ঘোরানো হয়।

 

মেলা কমিটির সভাপতি সত্য সরকার জানান, প্রায় তিন’শ বছর ধরে এটি বংশ পরমপরায় চলে আসছে। তাই ঐতিহ্য বজায় রাখতেই প্রতি বাংলা বছরের বৈশাখ মাসের ১৩ তারিখে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও এ মেলায় চড়ক পূজা, কালী পূজা, শিবপূজা করা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। অনেক পুরাতন রীতি এটি ও গ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই মেলা। চড়ক ঘুড়ানো ও চড়ক মেলা দেখতে দুই-তিন আগে থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজনের আগমন ঘটে। মেলাকে ঘিরে নানা রকমের দোকান বসে এই মেলায়। মেলার শেষ দিনে বউ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

Tag :

গুরুদাসপুরে ঐতিহ্যবাহী  চড়ক পূজা ও গ্রামীনমেলা অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৫:৪৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি. 

মহামারির করোনার ২ বছর পর আবারও শুরু হলো গুরুদাসপুরের শিধুলী গ্রামে তিনশ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলার।
এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই পুঁজা ও মেলার। চড়ক পূজা ও দুইদিনের এই গ্রামীণ মেলায় ছিল সব শ্রেণির মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বৈশাখ মাসের ১৩ তারিখে শিবপূজা উপলক্ষে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের শিধুলী এলাকার শিব মন্দিরের পাশে সিধুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকাল থেকে হাজড়া নাচের মাধ্যমে এই মেলা শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার পর থেকে চড়ক পূজা, চড়ক ঘুড়ানো শুরু হয়ে চলে সন্ধা পর্যন্ত। সনাতন ধর্মের লোক ছাড়াও হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গন। তিনজন ব্যক্তির পিঠে বড়শি ফুটিয়ে মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে চড়কে ঘোরানো হয়।

 

মেলা কমিটির সভাপতি সত্য সরকার জানান, প্রায় তিন’শ বছর ধরে এটি বংশ পরমপরায় চলে আসছে। তাই ঐতিহ্য বজায় রাখতেই প্রতি বাংলা বছরের বৈশাখ মাসের ১৩ তারিখে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও এ মেলায় চড়ক পূজা, কালী পূজা, শিবপূজা করা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। অনেক পুরাতন রীতি এটি ও গ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই মেলা। চড়ক ঘুড়ানো ও চড়ক মেলা দেখতে দুই-তিন আগে থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজনের আগমন ঘটে। মেলাকে ঘিরে নানা রকমের দোকান বসে এই মেলায়। মেলার শেষ দিনে বউ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।