বিশেষ প্রতিবেদক রাজশাহী. র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, ধর্ষণকারী, খুনি, প্রতারক ও হ্যাকারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
সোমবার দুপুরে র্যাব-৫ এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে প্রচার হওয়া, পিস্তল হাতে ফেসবুকে ছবি পোষ্ট করে আলোচনায় আসা পাবনার আবু বক্কার সিদ্দিকী ওরফে রাতুল (৩০) এর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় দেশ ব্যাপী চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সে নিজেকে আড়াল করে রাখে। রাতুলের বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের গাবগাছি গ্রামের মোস্তফা কামাল এর ছেলে। রাতুলের কয়েকটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছিল। এর একটিতে দেখা যায়, হাতে পিস্তল নিয়ে দাড়িয়ে আছেন রাতুল। একটিতে দেখা যায় শুধু হাতের উপর পিস্তল এবং অপরটিতে গুলিসহ আছেন রাতুল। ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুক আপলোড করা হয়েছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার ছবিগুলো আলোচনায় আসে। যা বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মত র্যাব তার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং রাতুলকে ধরার জন্য অভিযান পরিচালনা শুরু করে। ০৮ তারিখ র্যাব-৫, সিপিএসসি এর অভিযানে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন গ্রান্ড তোফা হল বিল্ডিং হতে তাকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন সাগরপাড়া মহল্লাস্থ পাকা রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত পুরাতন পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ী থেকে ০১ টি বিদেশী পিস্তল, ০১ টি ম্যাগজিন ও ০৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
তার স্বীকারক্তী থেকে জানাযায়, এলাকায় সন্ত্রাসী কর্ম কান্ডের জন্য সে নিজের কাছে পিস্তল ব্যবহার করতো। পাবনায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয় ব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করা ছিল তার কাজ। ফেসবুকে ছবি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে সকলে তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের কথাটি জানে এবং তিনি নিজেকে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।