গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি. নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের ৫টি বাগানের ২২২টি গাছের অর্ধকোটি টাকার লিচু শ্বশুর-পুত্রবধুর উত্তরাধীকার দ্বন্দে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে লিজ মালিকরা। স্থানীয় দুজন ক্রেতা ওই বাগান শ্বশুড় ইউসুফ আলীর নিকট থেকে লীজ নেন। অপরপক্ষ পুত্রবধু পুলিশের উবর্ধতন কর্মকর্তা ফরিদা পারভীনের নিকট থেকে লীজ নিয়েছেন বলে দাবী করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মুখোমুখী অবস্থানের জটিলতার সৃষ্ট হয়েছে যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
গতকাল(১৪ মে)শনিবার দুপুরে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শ্বশুর ইউসুফ আলী কাছ থেকে বাগান কেনা আলম মন্ডল ও আরমান আলী লিচু বাগানে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে তারা লিখিত অভিযোগ করে বলেন,৫টি বাগানের জমির উত্তরাধিকার নিয়ে শ্বশুর ইউসুফ আলী ও তাঁর মৃতপুত্রের এতিম দু সন্তানের পক্ষে পুত্রবধুর দ্বন্দ রয়েছে। সেটা তাদের পারিবারিক বিষয়। কিন্তু তারা ২৫ বিঘা বাগানের ওই ২২২টি লিচু গাছ লিখিত চুক্তিনামামুলে ৮ লাখ টাকা দিয়ে ৩ মাস আগে লিজ নিয়েছেন।
ক্রেতা আলম মন্ডল ও আরমান আলীর দাবী দীর্ঘ সময় ধরে তারা বাগানগুলোর পরিচর্যা,সেচ,কিটনাশক ছিটানো,পাহারা বসানোসহ সমস্ত কাজ করেছেন। সবমিলিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকা তাদের খরচা হয়েছে। তারা আশা করছেন ওই লিচু তারা ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হবে। এখন লিচুগুলো পরিপক্ক হয়ে বাগানে ঝুলছে,লিচুগুলো বিক্রির উপযোগী হলেও এইমুহুর্তে এলাকার চিহ্নিত লিটন,মুন্না,কামাল,রহম,বাবু ও কামাল পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে বাঁধাসৃষ্টি করছেন। এতে তারা সংকিত হয়ে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
তবে লিটন মুন্না অভিযোগ অশ্বিকার করে বলেন,ওই জমির মুল মালিক ইউসুফ আলীর মৃত স্ত্রী মৃত রাজিয়া বেগম। উত্তরাধীকারসুত্রে তার মৃত সন্তান শফিকুল ইসলামের ছেলের দু সন্তান বর্তমান মালিক (মৃত দাদীর সম্পত্তি)। তারা ওই লিচু এতিমদের তত্ববধায়ক পুলিশের উবর্ধতন কর্মকর্তা ফরিদা পারভীন রানুর কাছ থেকে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন। লীজসুত্রে ওই লিচুর বাগানের বর্তমান মালিক তারা।
সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বাগান বিক্রির কথা স্বীকার করে জানান,এখন পর্যন্ত সমস্ত সম্পত্তির মালিক তিনি। অসুস্থতার কারনে বর্তমানে তিনি রাজশাহী রয়েছেন। এ সুযোগে তার পুত্রবধু নাবালক সন্তানদের পক্ষে জমির দখল দাবী করছেন। সেটা আইন ও নিয়ম বর্হিভুত।
পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,হেড কোয়াটার্স) ফরিদা পারভীন রানু দাবী করে বলেন,তার মৃত্যু শ্বাশুড়ীর রেখে যাওয়া সম্পদ ও সম্পত্তির অংশিদার তার স্বামীর ছোট নাবালক সন্তানরা। অংশিদারসুত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির বাগানের লিচু সন্তানদের পক্ষে তিনি বিক্রি করেছেন।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মোঃ আব্দুল মতিন জানান, এব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।