শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালিয়েও রক্ষা হলো না স্বামীর

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২
  • ৫৩ Time View

মোহনপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুরে কারিমা আক্তার মিম নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী শিমুল হোসেনের (২৪) বিরুদ্ধে। হত্যার পর সে মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন গৃহবধূর স্বজনরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি শিমুলের। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার (২১ মে) দুপুরে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত শিমুল উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। হত্যা মামলায় তার মা-বাবাকেও আসামি করা হয়েছে। নিহত মিম একই উপজেলার ঘাসিগ্রামের মাজেদুল ইসলাম মৃধার মেয়ে। প্রায় সাত মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার সময় স্বামী শিমুল ও শ্বাশুড়ি আনজুয়ারা বেগম মিমকে মারধর করার পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কথা রটায় এলাকায়। পরে গৃহবধূকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখনই হাসপাতালে মরদেহ রেখে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেন মেয়ের বাবা।

এ বিষয়ে মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হলে অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান অভিযুক্তকে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Tag :

হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালিয়েও রক্ষা হলো না স্বামীর

Update Time : ০৯:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২

মোহনপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুরে কারিমা আক্তার মিম নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী শিমুল হোসেনের (২৪) বিরুদ্ধে। হত্যার পর সে মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন গৃহবধূর স্বজনরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি শিমুলের। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার (২১ মে) দুপুরে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত শিমুল উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। হত্যা মামলায় তার মা-বাবাকেও আসামি করা হয়েছে। নিহত মিম একই উপজেলার ঘাসিগ্রামের মাজেদুল ইসলাম মৃধার মেয়ে। প্রায় সাত মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার সময় স্বামী শিমুল ও শ্বাশুড়ি আনজুয়ারা বেগম মিমকে মারধর করার পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কথা রটায় এলাকায়। পরে গৃহবধূকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখনই হাসপাতালে মরদেহ রেখে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেন মেয়ের বাবা।

এ বিষয়ে মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হলে অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান অভিযুক্তকে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।