শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২
  • ৬৩ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক. ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ এখন কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রথম অর্থনৈতিক কূটনীতি সপ্তাহ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ড. মোমেন বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট, বাণিজ্য বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ অন্যান্য বিষয়ে বেসরকারি খাতকে সরাসরি সহায়তা দিচ্ছে সরকার। বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল করে তাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ ও মানসম্পন্ন অবকাঠামো নিশ্চিত করছে। কীভাবে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আনা যায়, সেই প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনকূটনীতি ও অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দিচ্ছে। আমরা রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ করছি। বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা।

এ সময় তিনি বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির (ব্লু ইকোনমি) সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি ইউক্রেনে চলমান পরিস্থিতি টেনে বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বলে দিচ্ছে আমরা একে-অপরের ওপর নির্ভরশীল। কোনো একটা দেশ খারাপ অবস্থায় পড়লে তার প্রভাব আমাদেরও প্রভাবিত করে।’

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমাদের বর্তমানে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৪২ বিলিয়ন ডলার। দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে এবং এটি ধরে রাখতে হলে বৈশ্বিক ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বেসরকারি খাত প্রয়োজন। বর্তমানে ১৫০ কোটি ডলারের আইটি পণ্য বাংলাদেশ রপ্তানি করছে এবং এটি ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রথম অর্থনৈতিক কূটনীতি সপ্তাহ চলবে আগামী শনিবার (১১ জুন) পর্যন্ত।

Tag :

বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা

Update Time : ০৭:২২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২

বিশেষ প্রতিবেদক. ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ এখন কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রথম অর্থনৈতিক কূটনীতি সপ্তাহ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ড. মোমেন বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট, বাণিজ্য বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ অন্যান্য বিষয়ে বেসরকারি খাতকে সরাসরি সহায়তা দিচ্ছে সরকার। বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল করে তাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ ও মানসম্পন্ন অবকাঠামো নিশ্চিত করছে। কীভাবে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আনা যায়, সেই প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনকূটনীতি ও অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দিচ্ছে। আমরা রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ করছি। বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা।

এ সময় তিনি বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির (ব্লু ইকোনমি) সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি ইউক্রেনে চলমান পরিস্থিতি টেনে বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বলে দিচ্ছে আমরা একে-অপরের ওপর নির্ভরশীল। কোনো একটা দেশ খারাপ অবস্থায় পড়লে তার প্রভাব আমাদেরও প্রভাবিত করে।’

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমাদের বর্তমানে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৪২ বিলিয়ন ডলার। দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে এবং এটি ধরে রাখতে হলে বৈশ্বিক ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বেসরকারি খাত প্রয়োজন। বর্তমানে ১৫০ কোটি ডলারের আইটি পণ্য বাংলাদেশ রপ্তানি করছে এবং এটি ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রথম অর্থনৈতিক কূটনীতি সপ্তাহ চলবে আগামী শনিবার (১১ জুন) পর্যন্ত।