গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি. ঋতুর রানী বর্ষার প্রথম দিন আজ। আজ বর্ষাকাল শুরু । গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে শুষ্কপ্রায় প্রকৃতিকে সজীবতার ভিন্ন মাত্রা দিতে ষড়ঋতুর পরিক্রমায় প্রতিবছর ঘুরে ঘুরে আসে বর্ষা ঋতু। আষাঢ়-শ্রাবণের বহুমাত্রিক রূপবৈচিত্রে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতিকেও সমৃদ্ধ করেছে। রচিত হয়েছে অজস্র গান আর কবিতা।
অবিরাম বারি বর্ষণে স্নিগ্ধ সজীব পরশ বুলিয়ে দিয়ে প্রকৃতিতে প্রশান্তি এনে দেয় বর্ষা। যদিও এবার বর্ষার আমেজ আগে থেকেই শুরু হয়েছে। গ্রীষ্মের শেষদিকে তীব্র দাবদাহের বিপরীতে বৃষ্টিঝরা প্রহরের সঙ্গে পরিচয় ঘটেছে। কদমও ফুটেছে আগেভাগেই। তার পরও বৃষ্টি হোক বা না হোক আজ পহেলা আষাঢ়। বর্ষা ঋতুর প্রথম দিন।
প্রকৃতি রক্ষার ব্রত নিয়ে আসা বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নেয়ার উদ্দেশ্যে বর্ষা উৎসবের আয়োজন করছে নাটোর শিল্পকলা একাডেমি । সংগঠনটির জেলা কালচারাল অফিসার মোঃ রাকিবিল বারী বনলতাকে জানান, আষাঢ়ের প্রথম দিবসটি এবার উদযাপন করা হচ্ছে জেলার গুরুদাসপুরে। মুলত তৃর্ণমুলের শিল্পীদের উৎসাহিত করতেই উপজেলা পর্যায়ে এমন কর্মসুচি নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এই আবহমান বাংলার চিরায়ত রুপ যেন ছড়িয়ে পড়ে দেশের নানা প্রান্তে। সেই সাথে অপসাংস্কৃতির হাত থেকে দেশ রক্ষা পাক এই শুভ প্রত্যয়ে আজকের এই আয়োজন।
আজ পহেলা আষাঢ় বুধবার সন্ধে সাড়ে ৭টায় গুরুদাসপুর উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় দলীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে।
সহকারী অধ্যাপক রুহুল করিম আব্বাসীর পরিচালনায় বর্ষা কথন পর্বে অংশগ্রহণ করেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন, সহকারী কমিশনার(ভুমি) মোঃ আবু রাসেল, মিসেস ইউএনও কৃষিবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস প্রেমা, নন্দন ললিত কলা একাডেমির পরিচালক নীল সাহা পাপ্পু,শিল্পকলা একাডেমির সদস্যসহ নানা শেণির সংগীত পিঁপাসু শতাধিক দর্শক শ্রোতা।
এ উৎসবে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে ক্ষুদে শিল্পী আগতা, রিদা মনি,মৌসুমীসহ গুরুদাসপুর শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী বৃন্দ। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন রাজশাহী কেন্দ্রর বেতার শিল্পী গুরুজী হাসেম রেজা, অসক কুমার পাল, রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ থেকে স্নাতক করা শিল্পী মঈনুল হোসেন, প্রভাষক মাসুদ রানা, শামীম আহম্মেদ, সাগরসহ স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।