শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিবালোকে বাসের মধ্যেই ‘গণধর্ষণ’, চালকসহ গ্রেফতার ৩

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২
  • ৫০ Time View

বনলতা ডেস্ক. চট্টগ্রামে দিনদুপুরে যাত্রীবাহী বাসের মধ্যেই এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে ওই বাসের চালক, সহকারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে বন্দর নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। পরে ওই নারী বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করেন।

গ্রেফতাররা হলেন- বাসচালক নুরুল আলম (৩০), সহকারী মো. রবিউল (২৩) ও অন্য বাসের সহকারী মো. শাহজাহান (২২)।

মামলায় বলা হয়, আদালতে যাওয়ার জন্য বাস ধরতে ওই গৃহবধূ চাচার বাসা থেকে রিকশায় অক্সিজেন মোড়ে যান। নাজিরহাট রুটের একটি বাসের চালকসহ কয়েকজন এসে তার গন্তব্য জানতে চান। তিনি আদালতে যাওয়ার কথা বললে আসামিরা তাকে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে তোলেন। বাসে উঠার পর চালক গাড়ি অক্সিজেন রেললাইনের একপাশে নিয়ে যায়। সেখানে দরজা আটকে হেলপার রবিউল ও সুপারভাইজার মিলে তাকে ধর্ষণ করে। পরে শাহজাহানের সহযোগিতায় চালক নুরুল আলমও ধর্ষণ করে।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার দুপুরে ওই গৃহবধূ আদালতে যাওয়ার জন্য বাস ধরতে অক্সিজেন এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে চার পরিবহন শ্রমিক মিলে ওই নারীকে একটি বাসে তুলে গণধর্ষণ করে। পরে ওই নারী বাস থেকে নেমে অক্সিজেন ট্রাফিক বক্সে গিয়ে বিষয়টি জানান। সেখানে দায়িত্বরত সার্জেন্ট ও ট্রাফিক সদস্যরা গিয়ে বাসস্ট্যান্ড থেকে শাহজাহানকে আটক করে। রাতে হাটহাজারী থেকে বাসচালক নুরুল আলম এবং ফটিকছড়ি থেকে রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়। আরেক বাস শ্রমিক পলাতক আছেন বলে জানান তিনি।

Tag :

দিবালোকে বাসের মধ্যেই ‘গণধর্ষণ’, চালকসহ গ্রেফতার ৩

Update Time : ০৭:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২

বনলতা ডেস্ক. চট্টগ্রামে দিনদুপুরে যাত্রীবাহী বাসের মধ্যেই এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে ওই বাসের চালক, সহকারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে বন্দর নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। পরে ওই নারী বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করেন।

গ্রেফতাররা হলেন- বাসচালক নুরুল আলম (৩০), সহকারী মো. রবিউল (২৩) ও অন্য বাসের সহকারী মো. শাহজাহান (২২)।

মামলায় বলা হয়, আদালতে যাওয়ার জন্য বাস ধরতে ওই গৃহবধূ চাচার বাসা থেকে রিকশায় অক্সিজেন মোড়ে যান। নাজিরহাট রুটের একটি বাসের চালকসহ কয়েকজন এসে তার গন্তব্য জানতে চান। তিনি আদালতে যাওয়ার কথা বললে আসামিরা তাকে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে তোলেন। বাসে উঠার পর চালক গাড়ি অক্সিজেন রেললাইনের একপাশে নিয়ে যায়। সেখানে দরজা আটকে হেলপার রবিউল ও সুপারভাইজার মিলে তাকে ধর্ষণ করে। পরে শাহজাহানের সহযোগিতায় চালক নুরুল আলমও ধর্ষণ করে।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার দুপুরে ওই গৃহবধূ আদালতে যাওয়ার জন্য বাস ধরতে অক্সিজেন এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে চার পরিবহন শ্রমিক মিলে ওই নারীকে একটি বাসে তুলে গণধর্ষণ করে। পরে ওই নারী বাস থেকে নেমে অক্সিজেন ট্রাফিক বক্সে গিয়ে বিষয়টি জানান। সেখানে দায়িত্বরত সার্জেন্ট ও ট্রাফিক সদস্যরা গিয়ে বাসস্ট্যান্ড থেকে শাহজাহানকে আটক করে। রাতে হাটহাজারী থেকে বাসচালক নুরুল আলম এবং ফটিকছড়ি থেকে রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়। আরেক বাস শ্রমিক পলাতক আছেন বলে জানান তিনি।