গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি, নাটোরের গুরুদাসপুরের কাছিকাটা স্কুল এ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার শিক্ষকের বেত্রাঘাতে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার(২১ জুন) সকাল ১১ টার দিকে ওই ঘটনা ঘটেছে। অভিভাবকরা দোষী শিক্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছেন।
জানাগেছে,কাছিকাটা স্কুল এ্যান্ড কলেজের নতুন ভবনের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করার দাবী করে। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুর রউফ ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লাশ দাবী করা শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে বেত্রাঘাত করেন।
এতে মমিন,তন্ময়,সোহাগ,তনয়,রুবেলসহ,অন্তত ১২,শিক্ষার্থীর পীঠের পেছনে,হাত,কোমরসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন এবং আসুস্থ হওয়ার সত্যতা মিলেছে।
শিক্ষকের বেত্রাঘাতের আহত নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মমিন জানান,অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে সেও নতুন ভবনে ক্লাশ দাবী করেছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেসহ ১০/১২ জনকে পিটিয়েছে ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুর রউফ স্যার।
আহত শিক্ষার্থীর পিতা মকলেছুর রহমান সরকার বলেন,তিনি ছেলেকে শিক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। তাঁর সন্তান যদি কোন অন্যায় করে থাকে বিষয়টি তাকে অভিহিত করতে হবে। তানা করে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তিনি ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ঠ শিক্ষকের বিচার দাবী করেন।
ওই প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আকাশ,রাফি,সজিব,ইমরানসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন,সোমবার (২০ জুন) পুরাতন ভবন থেকে নতুন ভবনে বসার আসন(ব্রেঞ্চ) নিয়ে যেতে দেরী হওয়ার অজুহাতে বিভিন্ন শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছেন ওই শিক্ষক আব্দুর রউফ। মাঝে মধ্যেই তুচ্ছ ঘটনায় ওই শিক্ষক অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করাসহ নির্দয়ভাবে পিটান। অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুর রউফের অপসারন চেয়ে তারা ক্লাশ বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে বলেও জানায়।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুর রউফ বলেন,ওই ছাত্রগুলো বেয়াদব। প্রতিষ্টানের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের সাথে যুক্ত। প্রতিষ্টানের আসবাবপত্র ভাংচুরের সাথে তারা সংশ্লিষ্ট বলে তাদের শাষন করা হয়েছে মাত্র।
কাছিকাটা স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান জানান,তিনি প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল কাজে রাজশাহী রয়েছেন। বিষয়টি তিনি জেনেছেন,ক্লাশে বেতের ব্যবহার সরকার নিষিদ্ধ করেছেন। যদি ওই শিক্ষক ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে থাকেন তাহলে তিনি কাজটি অন্যায় করেছেন। তবে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)তমাল হোসেন জানান,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে ওই শিক্ষকের সংশ্লিষ্ঠতা প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।