শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় চমৎকার মাইলফলক”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২
  • ৪৮ Time View

বনলতা ডেস্ক. পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে তার আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকো বলেছেন, ‘এই পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় একটি চমৎকার মাইলফলক। আর এটি বাংলাদেশের নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে নির্মাণ শেষ হয়েছে।’ মঙ্গলবার রাজধানীতে তার বাসায় সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

পদ্মা সেতুকে দেশের স্বপ্ন ও গর্ব হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য কী করতে পারে- এটি তার বড় প্রমাণ। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধিও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।

দূত বলেন, এ মাসে পদ্মা সেতু এবং এ বছরের শেষ নাগাদ মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মানসম্মত অবকাঠামো উদ্বোধনের নজির সৃষ্টির মাধ্যমে ২০২২ সাল বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের কথা স্মরণ করে নাওকি বলেন, তিনি পদ্মা সেতু ও রূপসা সেতু দুটিতে সহযোগিতার জন্য জাপানের কাছে অনুরোধ করেছিলেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি পদ্মা সেতুর প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে এবং রূপসা সেতু নির্মাণ করেছে।তিনি বলেন, ‘এটি সন্তোষজনক বিষয় যে, জাপান একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় এই (পদ্মা সেতু) প্রকল্পের অংশ হতে পেরেছিল।’ রাষ্ট্রদূত অবশ্য বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, জাইকা পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের অংশ হতে পারেনি যদিও এটা জাপান সরকারের আগ্রহ ছিল।’

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সাহসী সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, ‘এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ নিজে থেকে কতটা করতে সক্ষম।’

Tag :

‘পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় চমৎকার মাইলফলক”

Update Time : ০৭:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২

বনলতা ডেস্ক. পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে তার আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকো বলেছেন, ‘এই পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় একটি চমৎকার মাইলফলক। আর এটি বাংলাদেশের নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে নির্মাণ শেষ হয়েছে।’ মঙ্গলবার রাজধানীতে তার বাসায় সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

পদ্মা সেতুকে দেশের স্বপ্ন ও গর্ব হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য কী করতে পারে- এটি তার বড় প্রমাণ। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধিও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।

দূত বলেন, এ মাসে পদ্মা সেতু এবং এ বছরের শেষ নাগাদ মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মানসম্মত অবকাঠামো উদ্বোধনের নজির সৃষ্টির মাধ্যমে ২০২২ সাল বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের কথা স্মরণ করে নাওকি বলেন, তিনি পদ্মা সেতু ও রূপসা সেতু দুটিতে সহযোগিতার জন্য জাপানের কাছে অনুরোধ করেছিলেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি পদ্মা সেতুর প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে এবং রূপসা সেতু নির্মাণ করেছে।তিনি বলেন, ‘এটি সন্তোষজনক বিষয় যে, জাপান একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় এই (পদ্মা সেতু) প্রকল্পের অংশ হতে পেরেছিল।’ রাষ্ট্রদূত অবশ্য বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, জাইকা পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের অংশ হতে পারেনি যদিও এটা জাপান সরকারের আগ্রহ ছিল।’

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সাহসী সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, ‘এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ নিজে থেকে কতটা করতে সক্ষম।’