বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পাতাল রেল নির্মাণে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঋণচুক্তি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
  • ৭৩ Time View

প্রতিকি ছবি

বনলতা অনলাইন ডেস্ক. রাজধানীবাসীকে যানজট থেকে বাঁচাতে দ্রুত এগিয়ে চলছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। মেট্রোরেল লাইন-৫ প্রকল্পের আওতায় ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল মেট্রোরেল এবং ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়াল মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এবার জাপানের সঙ্গে ১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইটিও নাওকির সঙ্গে বিনিময় নোট এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া নিজ নিজ দেশের পক্ষে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেন।

এর আগে ২০২১ সালের ১৭ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক জানান, ২০২৬ সালে পাতালরেলে যাত্রী পরিবহন শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ১২টি প্যাকেজের আওতায় এমআরটি-১ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় প্রথম পাতাল রেলপথের নির্মাণ কাজ করা হবে। প্রথম প্যাকেজে ডিপোর ভূমি উন্নয়ন ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এ জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এই রেললাইনের দুটি অংশ থাকবে। প্রথম অংশটি পুরোপুরি পাতালপথে। ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পাতাল অংশ নির্মাণ করা হবে। যার দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। আর কমলাপুর থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে উড়াল পথ। যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার।

ঢাকায় পাতালরেলের জন্য ২৫টি ট্রেন কেনা হবে বলে জানান ডিএমটিসিএলের এমডি। তিনি বলেন, প্রতিটি ট্রেনে ৮টি করে কোচ থাকবে। একেকটি ট্রেনে একসঙ্গে ৩ হাজার ৮৮ জন যাত্রী পরিবহন করা যাবে। আর পুরো লাইনটি দিয়ে প্রতিদিন আট লাখ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে।

Tag :

পাতাল রেল নির্মাণে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঋণচুক্তি

Update Time : ০৭:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

বনলতা অনলাইন ডেস্ক. রাজধানীবাসীকে যানজট থেকে বাঁচাতে দ্রুত এগিয়ে চলছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। মেট্রোরেল লাইন-৫ প্রকল্পের আওতায় ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল মেট্রোরেল এবং ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়াল মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এবার জাপানের সঙ্গে ১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইটিও নাওকির সঙ্গে বিনিময় নোট এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া নিজ নিজ দেশের পক্ষে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেন।

এর আগে ২০২১ সালের ১৭ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক জানান, ২০২৬ সালে পাতালরেলে যাত্রী পরিবহন শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ১২টি প্যাকেজের আওতায় এমআরটি-১ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় প্রথম পাতাল রেলপথের নির্মাণ কাজ করা হবে। প্রথম প্যাকেজে ডিপোর ভূমি উন্নয়ন ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এ জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এই রেললাইনের দুটি অংশ থাকবে। প্রথম অংশটি পুরোপুরি পাতালপথে। ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পাতাল অংশ নির্মাণ করা হবে। যার দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। আর কমলাপুর থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে উড়াল পথ। যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার।

ঢাকায় পাতালরেলের জন্য ২৫টি ট্রেন কেনা হবে বলে জানান ডিএমটিসিএলের এমডি। তিনি বলেন, প্রতিটি ট্রেনে ৮টি করে কোচ থাকবে। একেকটি ট্রেনে একসঙ্গে ৩ হাজার ৮৮ জন যাত্রী পরিবহন করা যাবে। আর পুরো লাইনটি দিয়ে প্রতিদিন আট লাখ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে।