শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিক্রির আগেই হাটে মারা গেলো ৫০০ কেজি ওজনের ষাঁড়

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:১২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২
  • ৩৭ Time View

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি. দুই বছর ধরে ৫০০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড় গরু লালন-পালন করে আসছিলেন কৃষক আল-আমিন। মোটাতাজা করার পর এটিকে বিক্রি করতে নিয়ে যান হাটে। দরদামও হচ্ছিল ভালো। কিন্তু তিনি জানতেন না বিক্রি হওয়ার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়বে ষাঁড়টি।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর গরুর হাটে হঠাৎ স্ট্রোক করে মারা যায় ষাঁড়টি। ষাঁড়ের মালিক বরফ, পানি দেওয়াসহ নানা চেষ্টা করেও ষাঁড়টিকে বাঁচাতে পারেননি। হলিস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির ওজন ছিল প্রায় ৫০০ কেজি। মারা যাওয়ার আগে বাজারে এটির দাম উঠেছিল ৪ লাখ টাকা। ষাঁড়টির অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন এর মালিক হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের বড়বাড়ী গ্রামের আল-আমিন।

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে ষাঁড়টি বিক্রির জন্য হোসেনপুর হাটে নিয়ে যাই। চার লাখ টাকা দাম বলার পরও আরও বেশি দামের আশায় বিক্রি করেনি। এখন আমার সর্বনাশ হয়ে গেলো।’ একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘প্রচন্ড গরমে গরুটি স্ট্রোক করে বলে মনে হচ্ছে। আমরা পানি, বরফ দিয়েছি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি মারা যায়।’

হোসেনপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘গরুর হাটে আমাদের একটি মেডিক্যাল টিম ছিল। ষাঁড় অসুস্থ হওয়ার সংবাদ আমরা পাইনি। তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদ পেলে হয়তো গরুটি বাঁচানো যেতো।’

Tag :

বিক্রির আগেই হাটে মারা গেলো ৫০০ কেজি ওজনের ষাঁড়

Update Time : ০৬:১২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি. দুই বছর ধরে ৫০০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড় গরু লালন-পালন করে আসছিলেন কৃষক আল-আমিন। মোটাতাজা করার পর এটিকে বিক্রি করতে নিয়ে যান হাটে। দরদামও হচ্ছিল ভালো। কিন্তু তিনি জানতেন না বিক্রি হওয়ার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়বে ষাঁড়টি।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর গরুর হাটে হঠাৎ স্ট্রোক করে মারা যায় ষাঁড়টি। ষাঁড়ের মালিক বরফ, পানি দেওয়াসহ নানা চেষ্টা করেও ষাঁড়টিকে বাঁচাতে পারেননি। হলিস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির ওজন ছিল প্রায় ৫০০ কেজি। মারা যাওয়ার আগে বাজারে এটির দাম উঠেছিল ৪ লাখ টাকা। ষাঁড়টির অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন এর মালিক হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের বড়বাড়ী গ্রামের আল-আমিন।

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে ষাঁড়টি বিক্রির জন্য হোসেনপুর হাটে নিয়ে যাই। চার লাখ টাকা দাম বলার পরও আরও বেশি দামের আশায় বিক্রি করেনি। এখন আমার সর্বনাশ হয়ে গেলো।’ একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘প্রচন্ড গরমে গরুটি স্ট্রোক করে বলে মনে হচ্ছে। আমরা পানি, বরফ দিয়েছি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি মারা যায়।’

হোসেনপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘গরুর হাটে আমাদের একটি মেডিক্যাল টিম ছিল। ষাঁড় অসুস্থ হওয়ার সংবাদ আমরা পাইনি। তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদ পেলে হয়তো গরুটি বাঁচানো যেতো।’