গুরুদাসপুর প্রতিনিধি. পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ বেশকিছু নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন ঈদুল আজহা উদ্যাপনে ৮টি নির্দেশনা অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন বনলতাকে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট মসজিদ / ঈদগাহ পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।
আগামীকাল ১০ জুলাই ঈদুল আজহা, ওই দিন সকালে স্ব্যাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ শেষে পশু কোরবানি শুরু হবে। পশু কোরবানির পর পরই বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করতে হবে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে সব জায়গা থেকেই বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দেশ ব্যাপি করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে ইউএনও সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদ্যাপনের আহ্বান জানান।
নির্দেশনাগুলো হলোঃ
১. আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না। ২. সবাইকে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে ঈদগাহে বা মসজিদে যেতে হবে। ৩. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদ বা ঈদগাহের অজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। ৪. ঈদের নামাজের জামাতে যাওয়া মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে যেতে হবে। মসজিদ বা ঈদগাহে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ৫. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার ফাঁকা রেখে নামাজে দাঁড়াতে হবে। ৬. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে খতিব ও ইমামদের দোয়া করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ৭. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ৮. পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে বলা হয়েছে।