মোস্তাকিম জনি: পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রিলিজ হয়েছে ইসলামী সংগীতশিল্পী জি এম শাহেদ এর ‘সালাম হো’ শিরোনামে একটি নাশিদ। ইতোমধ্যে ফেইসবুক এবং ইউটিউবসহ রিভার্ব স্টুডিওর বিভিন্ন প্লাটফর্মে নাশিদটি বেশ সাড়া পেয়েছে।
নাশিদ সম্পর্কে জি এম শাহেদ বলেন, কারবালার করুণ ইতিহাস মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হওয়ার মত বিষয়। যখন একাডেমিক সিলেবাসে এই অধ্যায়টি ক্লাসে শুনছিলাম, আমি আমার চোখের অশ্রু ধরে রাখতে পারিনি, আশেপাশে খেয়াল করলাম আমার সহপাঠীদেরও একই অবস্থা। টিচার যখন এই অধ্যায়টি পড়ছিলেন কণ্ঠ ভারি হয়ে আসছিল, সব মিলিয়ে ক্লাসরুমে এক রকম শোকের ছায়া বিরাজ করেছে।
যখন মুহাররম আসে আশুরার সেমিনারে বক্তৃতা সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা কয়েকজনের আমি একজন। আশুরার অসংখ্য ঘটনা নিয়ে গবেষণা করতে করতে এক সময় আশুরার বেশকিছু ইতিহাস উল্লেখ করে একটি নাশিদ তৈরি করেছিলাম। এটি যৌথ পারফর্মেন্সে সেমিনারে উপস্থাপন করা হয়। সবাই খুব সুনামের সাথে নাশিদটি গ্রহণ করে নেয়।
তিনি আরো বলেন, ২০২০ এর মার্চ মাসে আমার টিমের একজন ভোকালিস্ট নাঈম উদ্দীন ঐতিহাসিক কারবালা নিয়ে একটি নাশিদ তৈরি করার পরামর্শ দেন, তখনই মূলত আমি আশুরার নাশিদটি সম্পাদনা করে এই নাশিদটি তৈরি করেছি । পরবর্তীতে সুর করে নাইমের কন্ঠে এটি রেকর্ড করি। এক পর্যায়ে কথা, সুর সব মিলিয়ে এই নাশিদটি আমার অনেক ভালো লেগে যায়। পরবর্তীতে ২০২১ এর পবিত্র আশুরাকে সামনে রেখে এই নাশিদটির অডিও-ভিডিওর কাজ হাতে নেওয়া হয়।
সালাম হো নাশিদে লিডভোকালিস্ট হিসেবে ছিলেন, জি এম শাহেদ, কোরাসে সংগীতশিল্পী আসাদুজ্জামান।
সাউন্ড ডিজাইন করেছে জনপ্রিয় সাউন্ড ডিজাইনার মাহদি হাসান। ভিডিও নির্মাণ ‘ফরাজি ক্রিয়েশন’র সিইও রাকিব ফরাজী। গ্রাফিক্সে ছিলেন বিশিষ্ট গ্রাফিক্স ডিজাইনার ‘ডিজিটাল এয়ার’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুসতাকিম জনি।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ৯ মুহাররম নাশিদটি ফেইসবুক এবং ইউটিউবসহ রিভার্ব স্টুডিওর বিভিন্ন প্লাটফর্মে রিলিজ হয়। অল্প সময়ে শ্রোতামহলে বেশ সাড়া পেয়ে ১০ এ মুহাররমে নাশিদটি শীর্ষস্থান লাভ করেছে