শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আগামীকাল ‘হাওয়া’ আসছে গুরুদাসপুরের আনন্দ সিনেপ্লেক্সে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৪৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৮ Time View

বনলতা বিনোদন প্রতিবেদক গুরুদাসপুর.

বহু নাটক ও বিজ্ঞাপনের নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত প্রথম সিনেমা হাওয়া নিয়ে সবার আগ্রহ ছিল অনেক আগে থেকেই। ট্রেইলার প্রকাশের পর সেই আগ্রহ আরও বেড়ে গেছে। ইতিমধ্যেই সিনেমাটি প্রর্দশন শুরু হয়েছে দেশের নামী দামী সিনেমা হলে। দেশ কাঁপানো ওই ছবিটি আগামী কাল ১২ আগষ্ট শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে শুরু হবে চাঁচকৈড় আনন্দ সিনেপ্লেক্সে। দর্শক প্রিয় এই ছবিটি দেখানোর জন্য চলছে সিনে পাড়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি। সেই সাথে তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সি মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে অন্য রকম এক অনুভুতি।

রাইশা,মেহেদী ও রাতুল নামের কয়েক বন্ধু জানান, আনেক দিন পর একটা ভালো বাংলা ছায়া ছবি দেখার অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করছি সিনেমাটি ভালো হবে। তাই সকল বন্ধু মিলে সিনেমাটি দেখার ইচ্ছা পোষন করছি।

গুরুদাসপুর রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজের এক শিক্ষক জানান, সপরিবারে হাওয়া সিনেমাটি দেখার ইচ্ছা রয়েছে। তবে ভীর কমলে দেখতে যাবো বলে তিনি জানান।

আনন্দ সিনেপ্লেক্সের সত্বাধিকারী প্রথম আলোর সাংবাদিক আনিসুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান, আগামীকাল ১২ আগষ্ট শুক্রবার বিকাল থেকে সিনেমাটি নাটোরের গুরুদাসপুরের বাণিজ্য নগরী চাঁচকৈড় গিয়াসের মোড় আনন্দ সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে। তিনি জানান সিনেমা প্রেমীদের কথা মাথায় রেখেই জেনারেটরসহ সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি দর্শকদের কোন সমস্যা হবে না। তাছাড়াও সপরিবারে ছবিটি দেখার ব্যাবস্থাও করা হয়েছে।

সিনেমাটি নিয়ে সুমন বলেছেন, ‘হাওয়া এ কালের রূপকথার গল্প হলো। তবে যে রূপকথার গল্প আমরা শুনে আসছি এটা তেমন না। এটি মাটির গল্প নয়, বরং পানির গল্প। সৈকতে দাঁড়িয়ে আমরা যে সমুদ্র দেখি, গভীর সমুদ্রের গল্প অন্যরকম।’ ট্রেইলার দেখেই আঁচ করা গেছে। ট্রেলারের কোথাও সমুদ্রের পারের কোনো দৃশ্য নেই। গভীর সমুদ্রে পানির দাপট আর আর সমুদ্রের আইন মেনে চলতে দেখা গেছে । শুধু তাই নয়, নৌকায় এক নারী ওঠার পর থেকে বিচিত্র সব ঘটনা ঘটতে থাকে। যাকে রুপকথার মতো মনে হতে পারে দর্শকদের।

সিনেমার চরিত্রদের লুকও খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ধরা দিয়েছে দর্শকদের কাছে। কারণ সিনেমায় অভিনয় করা চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, সোহেল মন্ডল, তুষিকে একদম অন্যভাবে দেখা গেছে। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড।

Tag :

আগামীকাল ‘হাওয়া’ আসছে গুরুদাসপুরের আনন্দ সিনেপ্লেক্সে

Update Time : ০৮:৪৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২

বনলতা বিনোদন প্রতিবেদক গুরুদাসপুর.

বহু নাটক ও বিজ্ঞাপনের নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত প্রথম সিনেমা হাওয়া নিয়ে সবার আগ্রহ ছিল অনেক আগে থেকেই। ট্রেইলার প্রকাশের পর সেই আগ্রহ আরও বেড়ে গেছে। ইতিমধ্যেই সিনেমাটি প্রর্দশন শুরু হয়েছে দেশের নামী দামী সিনেমা হলে। দেশ কাঁপানো ওই ছবিটি আগামী কাল ১২ আগষ্ট শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে শুরু হবে চাঁচকৈড় আনন্দ সিনেপ্লেক্সে। দর্শক প্রিয় এই ছবিটি দেখানোর জন্য চলছে সিনে পাড়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি। সেই সাথে তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সি মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে অন্য রকম এক অনুভুতি।

রাইশা,মেহেদী ও রাতুল নামের কয়েক বন্ধু জানান, আনেক দিন পর একটা ভালো বাংলা ছায়া ছবি দেখার অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করছি সিনেমাটি ভালো হবে। তাই সকল বন্ধু মিলে সিনেমাটি দেখার ইচ্ছা পোষন করছি।

গুরুদাসপুর রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজের এক শিক্ষক জানান, সপরিবারে হাওয়া সিনেমাটি দেখার ইচ্ছা রয়েছে। তবে ভীর কমলে দেখতে যাবো বলে তিনি জানান।

আনন্দ সিনেপ্লেক্সের সত্বাধিকারী প্রথম আলোর সাংবাদিক আনিসুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান, আগামীকাল ১২ আগষ্ট শুক্রবার বিকাল থেকে সিনেমাটি নাটোরের গুরুদাসপুরের বাণিজ্য নগরী চাঁচকৈড় গিয়াসের মোড় আনন্দ সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে। তিনি জানান সিনেমা প্রেমীদের কথা মাথায় রেখেই জেনারেটরসহ সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি দর্শকদের কোন সমস্যা হবে না। তাছাড়াও সপরিবারে ছবিটি দেখার ব্যাবস্থাও করা হয়েছে।

সিনেমাটি নিয়ে সুমন বলেছেন, ‘হাওয়া এ কালের রূপকথার গল্প হলো। তবে যে রূপকথার গল্প আমরা শুনে আসছি এটা তেমন না। এটি মাটির গল্প নয়, বরং পানির গল্প। সৈকতে দাঁড়িয়ে আমরা যে সমুদ্র দেখি, গভীর সমুদ্রের গল্প অন্যরকম।’ ট্রেইলার দেখেই আঁচ করা গেছে। ট্রেলারের কোথাও সমুদ্রের পারের কোনো দৃশ্য নেই। গভীর সমুদ্রে পানির দাপট আর আর সমুদ্রের আইন মেনে চলতে দেখা গেছে । শুধু তাই নয়, নৌকায় এক নারী ওঠার পর থেকে বিচিত্র সব ঘটনা ঘটতে থাকে। যাকে রুপকথার মতো মনে হতে পারে দর্শকদের।

সিনেমার চরিত্রদের লুকও খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ধরা দিয়েছে দর্শকদের কাছে। কারণ সিনেমায় অভিনয় করা চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, সোহেল মন্ডল, তুষিকে একদম অন্যভাবে দেখা গেছে। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড।