শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান চা শ্রমিকদের, ধর্মঘট চলবে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:২৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২
  • ৬৯ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার. মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চা শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের মধ্যেই মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা আসে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঘোষিত ১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চা শ্রমিক ইউনিয়ন।

শনিবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু সাধারণ চা শ্রমিকরা এই ২৫ টাকা মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। তাই আমরা সম্মিলিতভাবে প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

এই সিদ্ধান্তের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বিভিন্ন ভ্যালি কমিটি। মনু ধলাই ও লস্করপুর ভ্যালির সভাপতি-সম্পাদকরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। মনু ধলাই ভ্যালির সভাপতি দনা বাউরি বলেন, আমার ভ্যালির ২৩টি বাগানের শ্রমিকরা এই মজুরি মানবে না। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, কাল থেকে আমাদের শ্রমিক ধর্মঘট আগের মতোই চলবে।

এর আগে বিকাল ৪টার দিকে মৌলভীবাজারের শ্রম অধিদপ্তর কার্যালয়ে আন্দোলনরত চা শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মৌলভীবাজার ৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী।

বৈঠকে সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের মজুরি আপাতত ১৪৫ টাকা করতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর থেকে ফিরে এলে চা শ্রমিকদের দাবি-দাওয়াগুলো নিয়ে বসবেন।

Tag :

১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান চা শ্রমিকদের, ধর্মঘট চলবে

Update Time : ০৯:২৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২

বিশেষ প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার. মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চা শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের মধ্যেই মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা আসে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঘোষিত ১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চা শ্রমিক ইউনিয়ন।

শনিবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু সাধারণ চা শ্রমিকরা এই ২৫ টাকা মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। তাই আমরা সম্মিলিতভাবে প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

এই সিদ্ধান্তের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বিভিন্ন ভ্যালি কমিটি। মনু ধলাই ও লস্করপুর ভ্যালির সভাপতি-সম্পাদকরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। মনু ধলাই ভ্যালির সভাপতি দনা বাউরি বলেন, আমার ভ্যালির ২৩টি বাগানের শ্রমিকরা এই মজুরি মানবে না। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, কাল থেকে আমাদের শ্রমিক ধর্মঘট আগের মতোই চলবে।

এর আগে বিকাল ৪টার দিকে মৌলভীবাজারের শ্রম অধিদপ্তর কার্যালয়ে আন্দোলনরত চা শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মৌলভীবাজার ৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী।

বৈঠকে সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের মজুরি আপাতত ১৪৫ টাকা করতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর থেকে ফিরে এলে চা শ্রমিকদের দাবি-দাওয়াগুলো নিয়ে বসবেন।