বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:২১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৭৭ Time View

পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি. রাজবাড়ীর পাংশায় পিয়াস বিশ্বাস (৩০) নামে এক প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট রাতে ভিকটিম থানায় মামলা করেছেন। বিষয়টি শুক্রবার বনলতাকে নিশ্চিত করেছেন পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান।

অভিযুক্ত পিয়াস বিশ্বাস উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের ভাগবিষ্ণুপুর গ্রামের আসমত আলী বিশ্বাসের ছেলে ও পাংশা সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

ভিকটিমের ভাই বলেন, চার মাস ধরে আমার বোন পিয়াস বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়ে। গত ২৭ আগস্ট সকাল ৬টার দিকে সে প্রাইভেট পড়তে যায়। পড়া শেষে ওই শিক্ষক পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার কথা বলে আমার বোনকে বসতে বলেন। পরে অন্য ছাত্রছাত্রীরা চলে গেলে আমার বোনকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। নিজেকে রক্ষা করে চলে আসার চেষ্টা করলে পিয়াস তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ঘুরতে নিয়ে যান। পরে বাসায় ফিরে সে ঘটনাটি খুলে বলে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় আমার বোন বিয়ের দাবিতে পিয়াসের বাড়িতে যায়। ওই সময় পিয়াস বাড়ি থেকে পালিয়ে যান এবং তার মা আমার বোনকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেন। পিয়াসের বাবা আছমত আলী বিশ্বাস বলেন, মেয়েটি আমাদের বাড়িতে এসে উঠেছিল। আমার ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে প্রাইভেট শিক্ষক পিয়াস বিশ্বাসকে একাধিকবার কল করা হলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওসি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Tag :

প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা

Update Time : ০৮:২১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২

পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি. রাজবাড়ীর পাংশায় পিয়াস বিশ্বাস (৩০) নামে এক প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট রাতে ভিকটিম থানায় মামলা করেছেন। বিষয়টি শুক্রবার বনলতাকে নিশ্চিত করেছেন পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান।

অভিযুক্ত পিয়াস বিশ্বাস উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের ভাগবিষ্ণুপুর গ্রামের আসমত আলী বিশ্বাসের ছেলে ও পাংশা সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

ভিকটিমের ভাই বলেন, চার মাস ধরে আমার বোন পিয়াস বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়ে। গত ২৭ আগস্ট সকাল ৬টার দিকে সে প্রাইভেট পড়তে যায়। পড়া শেষে ওই শিক্ষক পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার কথা বলে আমার বোনকে বসতে বলেন। পরে অন্য ছাত্রছাত্রীরা চলে গেলে আমার বোনকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। নিজেকে রক্ষা করে চলে আসার চেষ্টা করলে পিয়াস তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ঘুরতে নিয়ে যান। পরে বাসায় ফিরে সে ঘটনাটি খুলে বলে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় আমার বোন বিয়ের দাবিতে পিয়াসের বাড়িতে যায়। ওই সময় পিয়াস বাড়ি থেকে পালিয়ে যান এবং তার মা আমার বোনকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেন। পিয়াসের বাবা আছমত আলী বিশ্বাস বলেন, মেয়েটি আমাদের বাড়িতে এসে উঠেছিল। আমার ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে প্রাইভেট শিক্ষক পিয়াস বিশ্বাসকে একাধিকবার কল করা হলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওসি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।