শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করলেন এমপি কুদ্দুস

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৪৭ Time View

গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি. বিদায় অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুা শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করেছে নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আ-লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস। অনুষ্ঠান বর্জনের পর কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা পৌর সদরে অবস্থিত বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজে।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমীনে গিয়ে দেখাযায়, বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত অতিথি মঞ্চ ও সামিয়ানা অপসারণ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষুব্ধ ভাবে কলেজ ত্যাগ করতে দেখাযায়। অপরদিকে কলেজ ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্র্মীরা বিক্ষোভ কার্যক্রম শেষ করে অবস্থান নেয় কলেজের মাঠে।


জানাযায়, বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজের এইচএসসি ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো। অনুষ্ঠানের ব্যানারে প্রধান অতিথি হিসাবে নাম ছিলো স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপির। বিশেষ অতিথি হিসাবে নাম ছিলো নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম আহমেদ ও নাটোর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বের দায়িত্বে ছিলেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ ড.মোঃ একরামুল হক। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুষ্ঠানস্থলে এসে দেখেন বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। এরপরে তিনি অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে চলে যান। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।

বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সজিব ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের জানান, জামাআত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কলেজে একদল শিক্ষক রয়েছে। তাদের প্রচোরণায় আজকে বিদায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। এ কারণে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য অনুষ্ঠান বর্জন করেছে এবং আমরা বিক্ষোভ করেছি।

অত্র কলেজের অধ্যক্ষ ড.মো.একরামুল হক জানান, অনুষ্ঠানে কিছু ত্রæটি বিচ্চুতি ছিলো। এ কারণে আজকের মত অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। কিছু ভূল ছিলো ইতিমধ্যেই সেগুলো সংশোধন করা হয়েছে। আশা করছি দুএকদিনের মধ্যে পুনরায় দিন তারিখ ঠিক করে অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু হবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজ সরকারী করণ করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই সহযোগিতায় কলেজের সার্বিক উন্নয়ন করেছি। সেই কলেজের অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি থাকবে না এটা হতে পারেনা। ওই কলেজের অবকাঠামো থেকে শুরু করে হোস্টেল নির্মান, সংস্কারসহ জাবতীয় উন্নয়ন করেছি। এমনকি বাংলাদেশের স্বাধিনতা পুর্ব শহীদ রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. শহীদ সাসেুজ্জোহার নামে আমার প্রস্তাবেই নামকরণ করা হয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানটির। এটি বাংলাদেশের এক মাত্র প্রতিষ্ঠান ড. জোহার নামে। কিন্তু দুঃজনক ঘটনা বাংলাদেশের স্থপতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম থাকে না ব্যাণারে। এঘটনায় আমি প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছি। যাঁর শত ত্যাগের কারণে আজ বাংলাদেশের জন্ম তার ছবি থাকবে না আমি সেই অনুষ্ঠানে আমি থাকতে পারি না। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা  আছে বলেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকার উন্নয়ে সপ্তম স্থানে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম। কিন্তু কার ইঙ্গিতে এটা হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।

Tag :

ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করলেন এমপি কুদ্দুস

Update Time : ১০:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি. বিদায় অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুা শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করেছে নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আ-লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস। অনুষ্ঠান বর্জনের পর কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা পৌর সদরে অবস্থিত বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজে।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমীনে গিয়ে দেখাযায়, বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত অতিথি মঞ্চ ও সামিয়ানা অপসারণ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষুব্ধ ভাবে কলেজ ত্যাগ করতে দেখাযায়। অপরদিকে কলেজ ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্র্মীরা বিক্ষোভ কার্যক্রম শেষ করে অবস্থান নেয় কলেজের মাঠে।


জানাযায়, বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজের এইচএসসি ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো। অনুষ্ঠানের ব্যানারে প্রধান অতিথি হিসাবে নাম ছিলো স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপির। বিশেষ অতিথি হিসাবে নাম ছিলো নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম আহমেদ ও নাটোর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বের দায়িত্বে ছিলেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ ড.মোঃ একরামুল হক। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুষ্ঠানস্থলে এসে দেখেন বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। এরপরে তিনি অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে চলে যান। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।

বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সজিব ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের জানান, জামাআত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কলেজে একদল শিক্ষক রয়েছে। তাদের প্রচোরণায় আজকে বিদায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। এ কারণে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য অনুষ্ঠান বর্জন করেছে এবং আমরা বিক্ষোভ করেছি।

অত্র কলেজের অধ্যক্ষ ড.মো.একরামুল হক জানান, অনুষ্ঠানে কিছু ত্রæটি বিচ্চুতি ছিলো। এ কারণে আজকের মত অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। কিছু ভূল ছিলো ইতিমধ্যেই সেগুলো সংশোধন করা হয়েছে। আশা করছি দুএকদিনের মধ্যে পুনরায় দিন তারিখ ঠিক করে অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু হবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজ সরকারী করণ করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই সহযোগিতায় কলেজের সার্বিক উন্নয়ন করেছি। সেই কলেজের অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি থাকবে না এটা হতে পারেনা। ওই কলেজের অবকাঠামো থেকে শুরু করে হোস্টেল নির্মান, সংস্কারসহ জাবতীয় উন্নয়ন করেছি। এমনকি বাংলাদেশের স্বাধিনতা পুর্ব শহীদ রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. শহীদ সাসেুজ্জোহার নামে আমার প্রস্তাবেই নামকরণ করা হয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানটির। এটি বাংলাদেশের এক মাত্র প্রতিষ্ঠান ড. জোহার নামে। কিন্তু দুঃজনক ঘটনা বাংলাদেশের স্থপতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম থাকে না ব্যাণারে। এঘটনায় আমি প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছি। যাঁর শত ত্যাগের কারণে আজ বাংলাদেশের জন্ম তার ছবি থাকবে না আমি সেই অনুষ্ঠানে আমি থাকতে পারি না। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা  আছে বলেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকার উন্নয়ে সপ্তম স্থানে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম। কিন্তু কার ইঙ্গিতে এটা হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।