শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একজন কাউন্সিলরও যদি আমাকে না চায় , আমি বিদায় নিতে প্রস্তুত : শেখ হাসিনা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২
  • ৫৬ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের আগামী সম্মেলনে একজন কাউন্সিলরও যদি তাকে দলের নেতৃত্বে দেখতে না চান, তাহলে তিনি বিদায় নিতে প্রস্তুত আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন টানা চার দশক ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসা শেখ হাসিনা।

গত দুটি সম্মেলনের আগে প্রধানমন্ত্রী নিজেই তার বয়সের কথা তুলে ধরে বলেছিলেন, নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে পারলে তিনি খুশি হবেন। তবে প্রতিবার সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যাকেই নেতৃত্বে রেখেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সে বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, এবার কোনো চমক সম্মেলনে থাকবেন কি না, শেখ হাসিনা কোনো নতুন নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসবেন কি না। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগের একটি কাউন্সিলরও যদি বলে, আমাকে না চায়, আমি থাকব না।”

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল সদস্য যখন সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে, তখন স্বামীর কর্মসূত্রে ইউরোপে ছিলেন শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে থাকা ছোট বোন শেখ রেহানাও প্রাণে বেঁচে যান।

এরপর দীর্ঘদিন নির্বাসনে কাটাতে হয় শেখ হাসিনাকে। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে দলীয় সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এখন তিনি দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন এবং একটানা ১৩ বছর ধরে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কে থাকবে তা পুরোপুরি কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্ত। “আমার তো সময় হয়ে গেছে।… বিদায় নেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত।” যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

Tag :

একজন কাউন্সিলরও যদি আমাকে না চায় , আমি বিদায় নিতে প্রস্তুত : শেখ হাসিনা

Update Time : ০৬:০১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২

বিশেষ প্রতিবেদক. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের আগামী সম্মেলনে একজন কাউন্সিলরও যদি তাকে দলের নেতৃত্বে দেখতে না চান, তাহলে তিনি বিদায় নিতে প্রস্তুত আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন টানা চার দশক ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসা শেখ হাসিনা।

গত দুটি সম্মেলনের আগে প্রধানমন্ত্রী নিজেই তার বয়সের কথা তুলে ধরে বলেছিলেন, নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে পারলে তিনি খুশি হবেন। তবে প্রতিবার সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যাকেই নেতৃত্বে রেখেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সে বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, এবার কোনো চমক সম্মেলনে থাকবেন কি না, শেখ হাসিনা কোনো নতুন নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসবেন কি না। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগের একটি কাউন্সিলরও যদি বলে, আমাকে না চায়, আমি থাকব না।”

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল সদস্য যখন সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে, তখন স্বামীর কর্মসূত্রে ইউরোপে ছিলেন শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে থাকা ছোট বোন শেখ রেহানাও প্রাণে বেঁচে যান।

এরপর দীর্ঘদিন নির্বাসনে কাটাতে হয় শেখ হাসিনাকে। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে দলীয় সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এখন তিনি দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন এবং একটানা ১৩ বছর ধরে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কে থাকবে তা পুরোপুরি কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্ত। “আমার তো সময় হয়ে গেছে।… বিদায় নেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত।” যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।