বনলতা ডেস্ক. ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের জাতীয় নির্বাচনের জন্য নৌকায় ভোট প্রার্থনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিকেলে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশে কোন মানুষ ঠিকানাহীন থাকবে না। প্রতিটি এলাকায়। ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষের তথ্য পেলে নাম ঠিকানা দেবেন। তাদের জমি সহ ঘর দেয়া হবে। বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধশীল দেশে রূপান্তরের কাজ চলছে। ২০৪১ সালে আমরা সে লক্ষ্যে পৌঁছাব ইনশাল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘মানবিক কারণে আমরা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে ছিলাম। তাদের যত দ্রুত সম্ভব স্বদেশের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।’
বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সোনালী সৈকত কক্সবাজার পর্যটনের জন্য সবচেয়ে উন্নত জায়গা মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যা করার পর এরশাদ সরকার এসেছে, খালেদা জিয়ার সরকার এসেছে, কেউ এই কক্সবাজারের মানুষের দিকে ফিরে তাকায় নাই। এখানে কোন উন্নয়ন করে নাই। একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে তখনই কক্সবাজারের উন্নয়ন হয়েছে। আমি আপনাদের এলাকায় ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি, চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। এবার বিজয়ের মাসের এসব উপহার।’
তিনি বলেন, ‘এই কক্সবাজার আপনারা জানেন যেখানে এক সময় লবন চাষীরা খুব কষ্ট পেত। আমরা বিরোধী দলে থাকতে সেই বদরখালীতে লবন চাষী এবং চিংড়ী চাষী সম্মেলন করেছি। ক্ষমতায় আসার পর লবন চাষীদের সার্বিক উন্নতির জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। এবং লবন চাষীরা যেন আরও আধুনিক পদ্ধতিকে লবন চাষ করতে পারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। নিজের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে রপ্তানি করতে পারি সেই ব্যবস্থাও আমরা নেব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালে এই বাংলাদেশে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা করেছে। খালেদা-তারেক মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ, গুম ছাড়া কিছু করতে পারে না। অস্ত্র চোরাকারবারের মামলায় অভিযুক্ত তারেক জিয়া চক্র জঙ্গীবাদের মদদদাতা। তারা ধ্বংস ছাড়া কিছুই পারেনা।’
তিনি বলেন, ‘আমি বাবা, মা ও ভাই সকলকে হারিয়েছি। নতুন করে হারানোর কিছু নেই। হারানোর কষ্ট কি আমার চেয়ে কেউ ভালো বুঝবে না। আপনাদের মাঝে বাবা, মায়ের স্নেহ, ভাই-বোনের ভালবাসা পাওয়ার আশা করি। আপনারা আমার পরিবার। আপনারা আমাকে আগলে রেখেছেন। আমার একমাত্র চাওয়া আমি যতক্ষণ ক্ষমতায় থাকব দেশের মানুষের আহার সংস্থান করা আমার কাজ। টিসিবির মাধ্যমে সস্তায় চাল, ডাল, তেল, চিনি পাওয়ার সু-ব্যবস্থা করেছি। এদের একজন মানুষও অভূক্ত থাকবে না।’
প্রধানমন্ত্রী সবশেষে কক্সবাজারে চলমান উন্নয়ন বিবেচনা করে নৌকায় ভোট দেয়ার ওয়াদা করিয়ে বলেন, ‘আবার আসিব ফিরে, এই সৈকতের তীরে।’
প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসার পর কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রধানন্ত্রীকে নৌকা উপহার দেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রদানের আগে পরিবেশন করা হয় কক্সবাজারের একটি জনপ্রিয় আঞ্চলিক গান।