বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রৌমারীতে নিম্নমানের কাজ করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৭৫ Time View

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি. কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র পদক্ষেপ এর ভিটা উচু করণ ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ ও সংস্থার নীতিমালাকে উপেক্ষা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক্সটেন্ডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট-ফ্লাড (ইসিসিসিপি-ফ্লাড, বাস্তবায়নে মানবিক উন্নয়নকেন্দ্র পদক্ষেপের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে উপকারভোগীরা নির্মাণ কাজ নিয়ে অভিযোগ তুললে তালিকা থেকে তাদের নাম বাতিল করারও ভয় ভীতি দেখান পদক্ষেপের ম্যানেজার হারুন অর রশিদ। রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর ও পালেরচর গ্রামে দেড় বছর আগে প্রায় ৬ শত খানা প্রধানের নামের তালিকা প্রনায়ণ করা হয়। এসব পরিবারের জন্য খানা প্রতি ৫ হাজার মাটির মাধ্যমে বাড়িভিটা উঁচু করার কথা থাকলেও একাধিক খানার নাম দিয়ে একটি করে বাড়িভিটা উঁচু করা হয়। প্রতিটি নামের জন্য মাটি কাটা বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা। অভিযোগ এসেছে, এলাকায় বসবাসহীন মেয়ে নাতীনাতনি যারা এলাকায় বসবাস করেন না, এমন ব্যাক্তির নামেও খানা প্রধানের নামের সঙ্গে যোগ করে ৫ থেকে ৬ জনের নাম দিয়ে একটি করে বাড়ি উঁচু করে দিয়েছেন পদক্ষেপ সংস্থা। তাদের নামের তালিকা চুড়ান্ত করার সময় হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।

অন্যদিকে একটি পরিবারের জন্য ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি টয়লেট নির্মাণ করে দেওয়ার কথা। সংস্থার নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিজের খেয়াল খুশি মতো উপকার ভোগীদের নিকট থেকে ৬ হাজার টাকা করে নিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এ টয়লেট নির্মান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

পদক্ষেপ সংস্থার অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে ঐ এলাকার প্রভাবশালী দেলোয়ার মাস্টারের ছেলে নুর আলম নামের এক দালালের মাধ্যমে খানা প্রতি মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে পদক্ষেপ এনজিও মাঠকর্মী রাকিব হাসান ও কামরুজ্জামান। উপকারভোগী আব্দুর রশিদ ও জমিলা বেওয়া জানান, ৬টি খানার নাম দিয়ে মাটি কাটার জন্য ১০ হাজার ও টয়লেট নির্মানে ৬ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। টাকা দিতে না চাইলে মাটি কাটা ও টয়লেট নির্মানের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেখান ওই মাঠকর্মী।
বন্দবেড় ইউপি সদস্য বিপ্লব হাসান বলেন, নিম্নমানের ইট দিয়ে টয়লেট নির্মান করে দিয়েছেন এবং প্রতিটি টয়লেটের জন্য ৫ হাজার ৯শত টাকা করে নিয়েছেন। বাড়িভিটা উচু করণের জন্য প্রতিটি উপকারভোগীর কাছ থেকে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ শুনেছি।

মাঠকমী কামরুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ভিটামাটি উচু করণে কোন প্রকার অর্থ নেয়া হয়নি। তবে টয়লেট নির্মানে সংস্থার নিয়ম আছে খানা প্রতি ৫ হাজার ৯শত টাকা নেয়ার।

পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র রৌমারী শাখার ম্যানেজার হারুনর রশিদের কাছে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সদস্য কন্ডিভিউশন বাবদ টয়লেট নির্মানের জন্য ৫ হাজার ৯ টাকা নেয়া হয়েছে এবং বাড়িভিটা উঁচু করণে কোন অর্থ নেয়া হয়নি।

Tag :

রৌমারীতে নিম্নমানের কাজ করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

Update Time : ০৫:২৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি. কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র পদক্ষেপ এর ভিটা উচু করণ ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ ও সংস্থার নীতিমালাকে উপেক্ষা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক্সটেন্ডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট-ফ্লাড (ইসিসিসিপি-ফ্লাড, বাস্তবায়নে মানবিক উন্নয়নকেন্দ্র পদক্ষেপের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে উপকারভোগীরা নির্মাণ কাজ নিয়ে অভিযোগ তুললে তালিকা থেকে তাদের নাম বাতিল করারও ভয় ভীতি দেখান পদক্ষেপের ম্যানেজার হারুন অর রশিদ। রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর ও পালেরচর গ্রামে দেড় বছর আগে প্রায় ৬ শত খানা প্রধানের নামের তালিকা প্রনায়ণ করা হয়। এসব পরিবারের জন্য খানা প্রতি ৫ হাজার মাটির মাধ্যমে বাড়িভিটা উঁচু করার কথা থাকলেও একাধিক খানার নাম দিয়ে একটি করে বাড়িভিটা উঁচু করা হয়। প্রতিটি নামের জন্য মাটি কাটা বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা। অভিযোগ এসেছে, এলাকায় বসবাসহীন মেয়ে নাতীনাতনি যারা এলাকায় বসবাস করেন না, এমন ব্যাক্তির নামেও খানা প্রধানের নামের সঙ্গে যোগ করে ৫ থেকে ৬ জনের নাম দিয়ে একটি করে বাড়ি উঁচু করে দিয়েছেন পদক্ষেপ সংস্থা। তাদের নামের তালিকা চুড়ান্ত করার সময় হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।

অন্যদিকে একটি পরিবারের জন্য ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি টয়লেট নির্মাণ করে দেওয়ার কথা। সংস্থার নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিজের খেয়াল খুশি মতো উপকার ভোগীদের নিকট থেকে ৬ হাজার টাকা করে নিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এ টয়লেট নির্মান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

পদক্ষেপ সংস্থার অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে ঐ এলাকার প্রভাবশালী দেলোয়ার মাস্টারের ছেলে নুর আলম নামের এক দালালের মাধ্যমে খানা প্রতি মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে পদক্ষেপ এনজিও মাঠকর্মী রাকিব হাসান ও কামরুজ্জামান। উপকারভোগী আব্দুর রশিদ ও জমিলা বেওয়া জানান, ৬টি খানার নাম দিয়ে মাটি কাটার জন্য ১০ হাজার ও টয়লেট নির্মানে ৬ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। টাকা দিতে না চাইলে মাটি কাটা ও টয়লেট নির্মানের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেখান ওই মাঠকর্মী।
বন্দবেড় ইউপি সদস্য বিপ্লব হাসান বলেন, নিম্নমানের ইট দিয়ে টয়লেট নির্মান করে দিয়েছেন এবং প্রতিটি টয়লেটের জন্য ৫ হাজার ৯শত টাকা করে নিয়েছেন। বাড়িভিটা উচু করণের জন্য প্রতিটি উপকারভোগীর কাছ থেকে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ শুনেছি।

মাঠকমী কামরুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ভিটামাটি উচু করণে কোন প্রকার অর্থ নেয়া হয়নি। তবে টয়লেট নির্মানে সংস্থার নিয়ম আছে খানা প্রতি ৫ হাজার ৯শত টাকা নেয়ার।

পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র রৌমারী শাখার ম্যানেজার হারুনর রশিদের কাছে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সদস্য কন্ডিভিউশন বাবদ টয়লেট নির্মানের জন্য ৫ হাজার ৯ টাকা নেয়া হয়েছে এবং বাড়িভিটা উঁচু করণে কোন অর্থ নেয়া হয়নি।