শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রৌমারীতে লজিক প্রকল্পে অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২৩:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১২০ Time View

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃকুড়িগ্রামের রৌমারীতে লজিক প্রকল্পের চলতি অর্থ বছরে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকার চলমান কাজে নানা অনিয়ম ও নিম্ন মানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। বিগত বছর গুলিতে দন্ডায়মান অপরিকল্পিত কাজে সুফলতা পায়নি বলে অভিযোগ অনেকের।

উপজেলায় লোকাল গর্ভনমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেইনঞ্জ (লজিক) প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পরিষদ সমুহের অনুকুলে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের (পিবিসিআরজি) লজিক প্রকল্পের অর্থ সংশিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাংক হিসাবে অর্থ প্রেরণ করা হয়েছে। কাজ ঠিকাদারের মাধ্যমে করার নিয়ম থাকলেও নিজেদের পছন্দমত লোকের মাধ্যমে কাজ গুলি করা হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে এসব তথ্য।

 

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,উপজেলার দাঁতভাঙ্গা, শৌলমারী, বন্দবেড় ও রৌমারী ৪টি ইউনিয়নে ২০২১-২২ অর্থবছরে লজিক প্রকল্পের আওতায় কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে ১৭টি প্রকল্পের বিপরীতে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্প গুলি হচ্ছে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের টাপুরচর বিজি স্কুল মাঠে পানি শোধানাগার স্থাপন, দাঁতভাঙ্গা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠে একটি পানি শোধানাগার স্থাপন, কাজাইকাটা গাছবাড়ি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে একটি পানির সৌরচালিত মিনি পাইপলাইন স্থাপন ও টাপুরচর নাসিরিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে দুই কক্ষ বিশিষ্ট টয়লেট স্থাপন ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯১ টাক। বন্দবেড় ইউনিয়নে টাপুরচর ভুইয়াপাড়া সোলার প্যানেলের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান, বাইটকামারী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট টয়লেট স্থাপন। টাপুরচর স্কুলমাঠে টয়লেট স্থাপন। খনজনমারা স্কুল মাঠে পানি শোধানাগার ও বাগুয়ারচর প্রাথমিক বিদ্যালয়মাঠে পানি শোধনাগার নির্মাণে ৪৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা। শৌলমারী ইউনিয়নে সুতিরপার গ্রামে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচ ব্যবস্থা ।

বেহুলারচর গ্রামে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচ ব্যবস্থা ও শৌলমারী এম আর স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে পানি শোধনাগার স্থাপনে ২৮ লাখ ৮১ হাজার টাকা ও রৌমারী সদর ইউনিয়নের ইজলামারিতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচ ব্যবস্থা। চর ইছাকুড়ি এলাকায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচ ব্যবস্থা। চর বামনেরচর আশ্রয়ন কেন্দ্রে টয়লেট নির্মাণ, ইছাকুড়ির জাকির হোসেন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট টয়লেট নির্মাণ ও রৌমারী মডের সরকারি প্রাকমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি শোধনাগার নির্মাণে ৪৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।

গত ৪ আগষ্ট ২০২২ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে লজিক প্রকল্পের ১ কোটি ৫৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা ৪টি ইউনিয়নে ১৭টি প্রকল্পের মধ্যে বিভাজন হয়। সেখানে প্রকল্পের ব্যয় বাদে ব্যবহৃত জমির মূল্য ১ লাখ টাকা ও প্রশাসনিক ও প্রশিক্ষণ ব্যয় প্রতি প্রকল্পে ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, পানি শোধনাগারে পাইপ বড়িং ১৮০ ফিট ধরা থাকলেও মাত্র ৬০-৭০ ফিট বড়িং করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নিম্ন মানের ইট দিয়ে করা হচ্ছে এসব কাজ। অনেকে মনে করছেন প্রকল্প গুলির সঠিক বাস্তবায়ন হলে কৃষি এলাকার জনমানুষ ব্যাপক ভাবে উপকৃত হবে বলে অনেকে মতামত দেন।

উল্লেখ্য যে, বিগত বছর গুলোতে লজিক প্রকল্পে কোটি কোটি টাকার যে কাজ করা হয়েছে এর মধ্যে যেমন চেংটা পাড়া গুচ্ছ গ্রাম সংলগ্ন সোলারের মাধ্যমে কৃষি কাজে পানি সেচ স্থাপন, রৌমারী গ্রামের আমিনুলের বাড়িতে পানি শোধানাগার স্থাপন, বিভিন্ন এলাকায় উচু করণ টিউবয়েল স্থাপনসহ নানা কাজে অপরিকল্পিত স্থাপনে সরকারের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। কিছু অসাধু মহলের অপরিকল্পিত প্রকল্প দিয়ে লুটপাটে পকেট ভারী। অপরিকল্পিত স্থাপনে সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত সাধারণ জনগণ ।

এবিষয়ে জেলা কো-অর্ডিনেটর মুছা মিয়া বলেন, ও নজরুল ইসলাম দায়ীত্বপ্রাপ্ত ২ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে কোন প্রকার নিম্ন মানের স্বামগ্রী দ্বারা কাজ করতে পারবেনা। নিম্নমানের করলে সেটার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং বিল দেওয়া হবে না।

Tag :

রৌমারীতে লজিক প্রকল্পে অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে

Update Time : ০৭:২৩:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃকুড়িগ্রামের রৌমারীতে লজিক প্রকল্পের চলতি অর্থ বছরে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকার চলমান কাজে নানা অনিয়ম ও নিম্ন মানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। বিগত বছর গুলিতে দন্ডায়মান অপরিকল্পিত কাজে সুফলতা পায়নি বলে অভিযোগ অনেকের।

উপজেলায় লোকাল গর্ভনমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেইনঞ্জ (লজিক) প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পরিষদ সমুহের অনুকুলে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের (পিবিসিআরজি) লজিক প্রকল্পের অর্থ সংশিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাংক হিসাবে অর্থ প্রেরণ করা হয়েছে। কাজ ঠিকাদারের মাধ্যমে করার নিয়ম থাকলেও নিজেদের পছন্দমত লোকের মাধ্যমে কাজ গুলি করা হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে এসব তথ্য।

 

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,উপজেলার দাঁতভাঙ্গা, শৌলমারী, বন্দবেড় ও রৌমারী ৪টি ইউনিয়নে ২০২১-২২ অর্থবছরে লজিক প্রকল্পের আওতায় কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে ১৭টি প্রকল্পের বিপরীতে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্প গুলি হচ্ছে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের টাপুরচর বিজি স্কুল মাঠে পানি শোধানাগার স্থাপন, দাঁতভাঙ্গা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠে একটি পানি শোধানাগার স্থাপন, কাজাইকাটা গাছবাড়ি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে একটি পানির সৌরচালিত মিনি পাইপলাইন স্থাপন ও টাপুরচর নাসিরিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে দুই কক্ষ বিশিষ্ট টয়লেট স্থাপন ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯১ টাক। বন্দবেড় ইউনিয়নে টাপুরচর ভুইয়াপাড়া সোলার প্যানেলের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান, বাইটকামারী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট টয়লেট স্থাপন। টাপুরচর স্কুলমাঠে টয়লেট স্থাপন। খনজনমারা স্কুল মাঠে পানি শোধানাগার ও বাগুয়ারচর প্রাথমিক বিদ্যালয়মাঠে পানি শোধনাগার নির্মাণে ৪৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা। শৌলমারী ইউনিয়নে সুতিরপার গ্রামে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচ ব্যবস্থা ।

বেহুলারচর গ্রামে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচ ব্যবস্থা ও শৌলমারী এম আর স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে পানি শোধনাগার স্থাপনে ২৮ লাখ ৮১ হাজার টাকা ও রৌমারী সদর ইউনিয়নের ইজলামারিতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচ ব্যবস্থা। চর ইছাকুড়ি এলাকায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচ ব্যবস্থা। চর বামনেরচর আশ্রয়ন কেন্দ্রে টয়লেট নির্মাণ, ইছাকুড়ির জাকির হোসেন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট টয়লেট নির্মাণ ও রৌমারী মডের সরকারি প্রাকমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি শোধনাগার নির্মাণে ৪৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।

গত ৪ আগষ্ট ২০২২ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে লজিক প্রকল্পের ১ কোটি ৫৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা ৪টি ইউনিয়নে ১৭টি প্রকল্পের মধ্যে বিভাজন হয়। সেখানে প্রকল্পের ব্যয় বাদে ব্যবহৃত জমির মূল্য ১ লাখ টাকা ও প্রশাসনিক ও প্রশিক্ষণ ব্যয় প্রতি প্রকল্পে ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, পানি শোধনাগারে পাইপ বড়িং ১৮০ ফিট ধরা থাকলেও মাত্র ৬০-৭০ ফিট বড়িং করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নিম্ন মানের ইট দিয়ে করা হচ্ছে এসব কাজ। অনেকে মনে করছেন প্রকল্প গুলির সঠিক বাস্তবায়ন হলে কৃষি এলাকার জনমানুষ ব্যাপক ভাবে উপকৃত হবে বলে অনেকে মতামত দেন।

উল্লেখ্য যে, বিগত বছর গুলোতে লজিক প্রকল্পে কোটি কোটি টাকার যে কাজ করা হয়েছে এর মধ্যে যেমন চেংটা পাড়া গুচ্ছ গ্রাম সংলগ্ন সোলারের মাধ্যমে কৃষি কাজে পানি সেচ স্থাপন, রৌমারী গ্রামের আমিনুলের বাড়িতে পানি শোধানাগার স্থাপন, বিভিন্ন এলাকায় উচু করণ টিউবয়েল স্থাপনসহ নানা কাজে অপরিকল্পিত স্থাপনে সরকারের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। কিছু অসাধু মহলের অপরিকল্পিত প্রকল্প দিয়ে লুটপাটে পকেট ভারী। অপরিকল্পিত স্থাপনে সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত সাধারণ জনগণ ।

এবিষয়ে জেলা কো-অর্ডিনেটর মুছা মিয়া বলেন, ও নজরুল ইসলাম দায়ীত্বপ্রাপ্ত ২ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে কোন প্রকার নিম্ন মানের স্বামগ্রী দ্বারা কাজ করতে পারবেনা। নিম্নমানের করলে সেটার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং বিল দেওয়া হবে না।