মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘শৈশব থেকে সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া পিতা-মাতার দায়িত্ব’

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১২৮ Time View

বনলতা ডেস্ক. শৈশব থেকে সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া পিতা-মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামা হিন্দ করিমনগর শাখার সহসভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ইউনুস কাসেমী। তিনি বলেন, শিশুদের কোরআনি শিক্ষায় শিক্ষিত না করে শুধু আধুনিক শিক্ষা দেয়ার জন্যই সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ধর্মীয় শিক্ষাটা দেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। অথচ শিশুকে কালেমা, নামাজ, পবিত্র কুরআন শরীফ ও ধর্মের জ্ঞান শৈশবেই শিক্ষা দেয়া পিতা-মাতার মৌলিক দায়িত্ব।

 

সন্তান ভালো হবে না খারাপ হবে তা নির্ভর করে পিতা-মাতার উপর উল্লেখ করে মুফতি মুহাম্মদ ইউনুস কাসেমী বলেন, সন্তান যে পরিবেশে বড় হবে তা-ই সে শিখবে। পিতা-মাতা যদি আদর্শবান হয় এবং ধর্মীয় নিয়ম-কানুন অনুযায়ী চলেন, সন্তানকে সুশিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলেন, তাহলে সন্তান অবশ্যই ভালো হবে। তিনি বলেন, সন্তানকে শৈশব থেকে ধর্মীয় শিক্ষা না দিলে, কুরআনি শিক্ষায় শিক্ষিত না করলে, সন্তানই পিতা-মাতার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে।

মুফতি মুহাম্মদ ইউনুস কাসেমী বলেন, হাদীস শরীফে এসেছে, শিশুদের যখন মুখ ফুটবে, কথা বলতে শিখবে, তখন তাকে কালেমার শিক্ষা দিবে। পিতা-মাতা নিজে অথবা ইসলামী জ্ঞানে সমৃদ্ধ ভালো সচ্চরিত্রবান শিক্ষকের মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা দান করবে। তিনি বলেন, শৈশবে সন্তানকে ইসলামী-শিক্ষা অবশ্যই দিতে হবে। কুরআন হাদীসের সুশিক্ষাই মানুষের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিশু-কিশোরদেরকে সঠিক জীবন ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের কারিগর হিসেবে তৈরি করতে পারে।

গ্রন্থনা ও অনুবাদ : আদিল মাহমুদ
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির
সূত্র : আসরে হাজির, দিল্লি

Tag :

‘শৈশব থেকে সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া পিতা-মাতার দায়িত্ব’

Update Time : ১২:৫৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বনলতা ডেস্ক. শৈশব থেকে সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া পিতা-মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামা হিন্দ করিমনগর শাখার সহসভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ইউনুস কাসেমী। তিনি বলেন, শিশুদের কোরআনি শিক্ষায় শিক্ষিত না করে শুধু আধুনিক শিক্ষা দেয়ার জন্যই সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ধর্মীয় শিক্ষাটা দেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। অথচ শিশুকে কালেমা, নামাজ, পবিত্র কুরআন শরীফ ও ধর্মের জ্ঞান শৈশবেই শিক্ষা দেয়া পিতা-মাতার মৌলিক দায়িত্ব।

 

সন্তান ভালো হবে না খারাপ হবে তা নির্ভর করে পিতা-মাতার উপর উল্লেখ করে মুফতি মুহাম্মদ ইউনুস কাসেমী বলেন, সন্তান যে পরিবেশে বড় হবে তা-ই সে শিখবে। পিতা-মাতা যদি আদর্শবান হয় এবং ধর্মীয় নিয়ম-কানুন অনুযায়ী চলেন, সন্তানকে সুশিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলেন, তাহলে সন্তান অবশ্যই ভালো হবে। তিনি বলেন, সন্তানকে শৈশব থেকে ধর্মীয় শিক্ষা না দিলে, কুরআনি শিক্ষায় শিক্ষিত না করলে, সন্তানই পিতা-মাতার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে।

মুফতি মুহাম্মদ ইউনুস কাসেমী বলেন, হাদীস শরীফে এসেছে, শিশুদের যখন মুখ ফুটবে, কথা বলতে শিখবে, তখন তাকে কালেমার শিক্ষা দিবে। পিতা-মাতা নিজে অথবা ইসলামী জ্ঞানে সমৃদ্ধ ভালো সচ্চরিত্রবান শিক্ষকের মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা দান করবে। তিনি বলেন, শৈশবে সন্তানকে ইসলামী-শিক্ষা অবশ্যই দিতে হবে। কুরআন হাদীসের সুশিক্ষাই মানুষের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিশু-কিশোরদেরকে সঠিক জীবন ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের কারিগর হিসেবে তৈরি করতে পারে।

গ্রন্থনা ও অনুবাদ : আদিল মাহমুদ
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির
সূত্র : আসরে হাজির, দিল্লি