মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 সরকারি টাকায় ৩শ জনের কক্সবাজারে আনন্দ ভ্রমন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩
  • ৮৬ Time View

গাইবান্ধা প্রতিনিধি. উপজেলা রেজিষ্ট্রি অফিসে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বা দলিলের সময় ইউনিয়ন পরিষদের কোষাগারে জমা এক শতাংশ(১%) টাকা সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় না করে কক্সবাজারে প্রমোদভ্রমনের অভিযোগ উঠেছে। এ ভ্রমনে পরিবারসহ অংশ নেন ইউএনও, চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ অন্তত ৩০০ জন।

উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও পরিষদের সকল সদস্যরা পাঁচদিনব্যাপী এ ভ্রমনের আয়োজন করেন। ব্যয় মেঠানো হয় স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বা জমি রেজিষ্ট্রির ইউনিয়ন পরিষদের এক শতাংশের(১%) টাকা উত্তোলন করে। ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার অন্যতম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান বলেন, এক শতাংশের টাকায় ভ্রমনের কোন বিধান নেই। এই টাকা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারিদের বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ব্যয় করতে হবে। ওই টাকা দিয়ে প্রমোদ ভ্রমন হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কক্সবাজার ভ্রমন সুচিতে জানা যায়, গত ১ মার্চ দুপুর আড়াইটায় গোবিন্দগঞ্জ থেকে বাসযোগে যাত্রা শুরু হয়। ভ্রমন শেষে ৬ মার্চ সকাল ১০টায় কক্সবাজার থেকে গোবিন্দগঞ্জে ফেরেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভ্রমনকারি কয়েকজন জানান, ইউএনওসহ উপজেলা পর্যায়ের ১৩ জন কর্মকর্তা, অসংখ্য কর্মচারি ও ১১ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও তাদের পরিবারসহ প্রায় ৩০০ জন প্রমোদ ভ্রমনে অংশ নেন। পরিষদের আমন্ত্রণে কক্সবাজারে ভ্রমনে অতিথি ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান। রির্জাভ করা ছয়টি যাত্রীবাহি চেয়ারকোচে প্রায় ২৫০ জন এবং বাকি ভিভিআইপিরা বিমানযোগে কক্সবাজার যাতায়াত করেন। এ ছাড়া একটি ট্রাক ভাড়া করা হয়। সেখানে ছিলেন প্রায় আটজন বাবুর্চি, ১০টি খাসি ও রান্নার অন্যান্য মালামাল।

তবে উপজেলার চারজন ইউপি চেয়ারম্যান ও আটজন কর্মকর্তা জানান, এ ভ্রমণে ১২ জন উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা প্রায় ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দেন। এ ছাড়া আর কারও কাছ থেকে কোন চাঁদা নেওয়া হয়নি। উপজেলার মোট ১৭টি ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বা জমি রেজিষ্ট্রি করের ইউনিয়ন পরিষদ অংশের এক শতাংশের ১৭ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। কোন কোন চেয়ারম্যানের কাছে বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৩০০ জনের পাঁচদিনব্যাপী যাতায়াত, থাকা-খাওয়া মিলে মোট আনুমানিক ২৮ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ অংশের এক শতাংশের টাকা প্রদানের কথা স্বীকার করেছেন। কক্সবাজার ভ্রমনকরা একজন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এক শতাংশ থেকে আমি দেড় লাখ টাকা তুলেছি। এরমধ্যে এক লাখ টাকা ভ্রমনের জন্য দিয়েছি। বাকী টাকার উন্নয়ন কাজ করবো। টাকা সমন্বয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, মাটির কাজ তো, সমন্বয় করে নেব। আরেক চেয়ারম্যান বলেন, আমি কক্সবাজার যাইনি। পরিবার নিয়ে মেম্বররা গেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা চাপ দিয়ে আমার কাছে ওই ফান্ডের এক লাখ টাকা নেয়। একই মন্তব্য করলেন আরেক ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, কক্সবাজার যাইনি। তারপরও আমাকে এক শতাংশের এক লাখ টাকা দিতে হয়েছে। উপজেলা পরিষদের অধীনে কাজ করতে হয়। টাকা না দিয়ে উপায় নেই। এভাবে ১৭টি ইউনিয়নের প্রত্যেক চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এক শতাংশের টাকা নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন ইউপি সচিব বলেন, ২ লাখ টাকার চেক পাওয়া গেছে। সেটা ক্যাশ করে সেদিনই উপজেলায় দিয়ে আসা হয়েছে। কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি।

এদিকে ঘটনাটি উপজেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সচেতন নাগরিক মহল বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা যেখানে কৃচ্ছতাসাধনের কথা বলছেন, সেখানে সরকারি টাকায় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে প্রমোদভ্রমণ করা দুর্নীতির সামিল।

গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহবায়ক মতিন মোল্লা বলেন, পাঁচদিনের এ ভ্রমনে যে এক শতাংশ টাকায় ব্যয় হয়েছে, সেটা স্থানীয়ভাবে সবার মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় লেছে। কিন্তু প্রভাবশালীদের কারণে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, জনপ্রতি ১৫ হাজার লাগলে ৩০০ জনে ৪০ লাখ টাকা লাগার কথা। ভ্রমনের দিন সকালেই শতকরা ৮০ ভাগ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এর প্রমাণ পাওয়া খুবই সহজ। ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখলেই বোঝা যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আরিফ হোসেন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের কাছে কক্সবাজার ভ্রমনের কথা স্বীকার করেন। কার টাকায় কক্সবাজার গেছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সবাই তাঁর নিজ টাকা দিয়ে গেছেন। স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বা জমি রেজিষ্ট্রি করের এক শতাংশের টাকা দিয়ে ভ্রমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরণের কোন তথ্য আমার কাছে নেই। আমরা তাদের বরাদ্দ দিয়ে দেই। তারা কাজ করবে, আমরা কাজ দেখবো। তারা নিজের টাকায় না কোন টাকায় পিকনিকে গেছে, সেখানে আমার কিছু বলার নেই। এরআগেও চেয়ারম্যানরা পিকনিকে গেছেন। তিনি বলেন, এক শতাংশের টাকায় গ্রাম পুলিশদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। এ ভাতা দেওয়ার পর যা থাকে, তা প্রতিমাসেই ইউপি চেয়ারম্যানদের দেওয়া হয়ে থাকে। তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারির বেতন-ভাতা ও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। তারা কি করবে, সেটা তারাই জবাব দিবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে না পরে টাকা দেওয়ার নিয়ম, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুইটি হয়, তবে বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ দেখে।

এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, এটা ইউনিয়ন পরিষদের টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে দেওয়া হয়ে থাকে। প্রকল্প বাস্তবায়িত না হলে সেটা আমাদের দেখার দায়িত্ব না। সেটা দেখবেন জেলা প্রশাসক ও ইউএনও।

Tag :

 সরকারি টাকায় ৩শ জনের কক্সবাজারে আনন্দ ভ্রমন

Update Time : ০৫:০২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

গাইবান্ধা প্রতিনিধি. উপজেলা রেজিষ্ট্রি অফিসে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বা দলিলের সময় ইউনিয়ন পরিষদের কোষাগারে জমা এক শতাংশ(১%) টাকা সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় না করে কক্সবাজারে প্রমোদভ্রমনের অভিযোগ উঠেছে। এ ভ্রমনে পরিবারসহ অংশ নেন ইউএনও, চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ অন্তত ৩০০ জন।

উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও পরিষদের সকল সদস্যরা পাঁচদিনব্যাপী এ ভ্রমনের আয়োজন করেন। ব্যয় মেঠানো হয় স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বা জমি রেজিষ্ট্রির ইউনিয়ন পরিষদের এক শতাংশের(১%) টাকা উত্তোলন করে। ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার অন্যতম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান বলেন, এক শতাংশের টাকায় ভ্রমনের কোন বিধান নেই। এই টাকা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারিদের বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ব্যয় করতে হবে। ওই টাকা দিয়ে প্রমোদ ভ্রমন হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কক্সবাজার ভ্রমন সুচিতে জানা যায়, গত ১ মার্চ দুপুর আড়াইটায় গোবিন্দগঞ্জ থেকে বাসযোগে যাত্রা শুরু হয়। ভ্রমন শেষে ৬ মার্চ সকাল ১০টায় কক্সবাজার থেকে গোবিন্দগঞ্জে ফেরেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভ্রমনকারি কয়েকজন জানান, ইউএনওসহ উপজেলা পর্যায়ের ১৩ জন কর্মকর্তা, অসংখ্য কর্মচারি ও ১১ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও তাদের পরিবারসহ প্রায় ৩০০ জন প্রমোদ ভ্রমনে অংশ নেন। পরিষদের আমন্ত্রণে কক্সবাজারে ভ্রমনে অতিথি ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান। রির্জাভ করা ছয়টি যাত্রীবাহি চেয়ারকোচে প্রায় ২৫০ জন এবং বাকি ভিভিআইপিরা বিমানযোগে কক্সবাজার যাতায়াত করেন। এ ছাড়া একটি ট্রাক ভাড়া করা হয়। সেখানে ছিলেন প্রায় আটজন বাবুর্চি, ১০টি খাসি ও রান্নার অন্যান্য মালামাল।

তবে উপজেলার চারজন ইউপি চেয়ারম্যান ও আটজন কর্মকর্তা জানান, এ ভ্রমণে ১২ জন উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা প্রায় ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দেন। এ ছাড়া আর কারও কাছ থেকে কোন চাঁদা নেওয়া হয়নি। উপজেলার মোট ১৭টি ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বা জমি রেজিষ্ট্রি করের ইউনিয়ন পরিষদ অংশের এক শতাংশের ১৭ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। কোন কোন চেয়ারম্যানের কাছে বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৩০০ জনের পাঁচদিনব্যাপী যাতায়াত, থাকা-খাওয়া মিলে মোট আনুমানিক ২৮ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ অংশের এক শতাংশের টাকা প্রদানের কথা স্বীকার করেছেন। কক্সবাজার ভ্রমনকরা একজন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এক শতাংশ থেকে আমি দেড় লাখ টাকা তুলেছি। এরমধ্যে এক লাখ টাকা ভ্রমনের জন্য দিয়েছি। বাকী টাকার উন্নয়ন কাজ করবো। টাকা সমন্বয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, মাটির কাজ তো, সমন্বয় করে নেব। আরেক চেয়ারম্যান বলেন, আমি কক্সবাজার যাইনি। পরিবার নিয়ে মেম্বররা গেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা চাপ দিয়ে আমার কাছে ওই ফান্ডের এক লাখ টাকা নেয়। একই মন্তব্য করলেন আরেক ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, কক্সবাজার যাইনি। তারপরও আমাকে এক শতাংশের এক লাখ টাকা দিতে হয়েছে। উপজেলা পরিষদের অধীনে কাজ করতে হয়। টাকা না দিয়ে উপায় নেই। এভাবে ১৭টি ইউনিয়নের প্রত্যেক চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এক শতাংশের টাকা নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন ইউপি সচিব বলেন, ২ লাখ টাকার চেক পাওয়া গেছে। সেটা ক্যাশ করে সেদিনই উপজেলায় দিয়ে আসা হয়েছে। কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি।

এদিকে ঘটনাটি উপজেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সচেতন নাগরিক মহল বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা যেখানে কৃচ্ছতাসাধনের কথা বলছেন, সেখানে সরকারি টাকায় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে প্রমোদভ্রমণ করা দুর্নীতির সামিল।

গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহবায়ক মতিন মোল্লা বলেন, পাঁচদিনের এ ভ্রমনে যে এক শতাংশ টাকায় ব্যয় হয়েছে, সেটা স্থানীয়ভাবে সবার মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় লেছে। কিন্তু প্রভাবশালীদের কারণে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, জনপ্রতি ১৫ হাজার লাগলে ৩০০ জনে ৪০ লাখ টাকা লাগার কথা। ভ্রমনের দিন সকালেই শতকরা ৮০ ভাগ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এর প্রমাণ পাওয়া খুবই সহজ। ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখলেই বোঝা যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আরিফ হোসেন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের কাছে কক্সবাজার ভ্রমনের কথা স্বীকার করেন। কার টাকায় কক্সবাজার গেছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সবাই তাঁর নিজ টাকা দিয়ে গেছেন। স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বা জমি রেজিষ্ট্রি করের এক শতাংশের টাকা দিয়ে ভ্রমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরণের কোন তথ্য আমার কাছে নেই। আমরা তাদের বরাদ্দ দিয়ে দেই। তারা কাজ করবে, আমরা কাজ দেখবো। তারা নিজের টাকায় না কোন টাকায় পিকনিকে গেছে, সেখানে আমার কিছু বলার নেই। এরআগেও চেয়ারম্যানরা পিকনিকে গেছেন। তিনি বলেন, এক শতাংশের টাকায় গ্রাম পুলিশদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। এ ভাতা দেওয়ার পর যা থাকে, তা প্রতিমাসেই ইউপি চেয়ারম্যানদের দেওয়া হয়ে থাকে। তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারির বেতন-ভাতা ও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। তারা কি করবে, সেটা তারাই জবাব দিবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে না পরে টাকা দেওয়ার নিয়ম, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুইটি হয়, তবে বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ দেখে।

এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, এটা ইউনিয়ন পরিষদের টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে দেওয়া হয়ে থাকে। প্রকল্প বাস্তবায়িত না হলে সেটা আমাদের দেখার দায়িত্ব না। সেটা দেখবেন জেলা প্রশাসক ও ইউএনও।