গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি.নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাব বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ফরিদ মন্ডলের বিরুদ্ধে। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের ট্যাব দেওয়ার কথা থাকলেও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষকের স্বজন ও সহকরী শিক্ষকদের ছেলে-মেয়েদের দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জনশুমারী ও গৃহগণনা প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরুপ গুরুদাসপুর উপজেলার ২৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৭৪টি ট্যাবলেট (ট্যাব) বিতরণ করা হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের তালিকা চাওয়া হয় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে। প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত তালিকা থেকে ট্যাব বিতরণও করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে উঠে আসে ট্যাব বিতরণে স্বজনপ্রীতির চিত্র। কথা হয় দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারহান হোসেনের বাবা ফরহাদ আলীর ও স্থানীয়দের সাথে তারা জানান,‘ দশম শ্রেণীতে ফারহানের রোল নম্বর (১) অথচ তাকেও ট্যাব দেওয়া হয়নি। বিষয়টি জানার পর প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। তখন প্রধান শিক্ষক বলেন ওদের ট্যাব পরে দেওয়া হবে।। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা এমন অনিয়ম করলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কি শিখবে। এছাড়া দশম শ্রেণির দ্বিতীয় রিশা, নবম শেনীর মেধা তালিকায় প্রথম সেলিম আহাম্মেদ,দ্বিতীয় নাজিউল্লাহ হাসানও পাননি ওই ট্যাব অথচ শিক্ষকদের স্বজন ৪২ রোল হলেও পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাব। তাই এর দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবি করেছেন তারা।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে শেয়ার করে এই অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দুষ্টান্তমুলক বিচারও দাবী করেছেন।
প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরিদ মন্ডল জানান, ‘ভূল ভ্রান্তি হতে পারে। বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যাওয়ার কারনে তরিঘরি করে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে বুঝতে পারিনি। যারা পেয়েছে তাদের কাছ থেকে ট্যাব ফেরৎ নিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে দিয়ে দিবো।’
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সেলিম আকতার মুঠোফনে বলেন,‘এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমি নতুন যোগদান করায় ভাল ভাবে তালিকা গুলো তদন্ত করতে পারিনি। তাছাড়াও অনেক আগে এই তালিকা দিয়েছিলো প্রধান শিক্ষক। অতি দ্রুত প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাব গুলো প্রদান করা হবে এবং এই অনিয়মের ব্যাখ্যা প্রধান শিক্ষকের কাছে চাওয়া হবে।’