বরগুনার তালতলীতে নকল সরবরাহে জড়িত থাকার অভিযোগে মাদ্রাসার চার শিক্ষক ও তাদের সহযোগীসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা পরীক্ষা কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন, কড়ইবাড়িয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. নাজমুল হাসান ও শিক্ষিকা মোসা. ফাহিমা আক্তার, বালিয়াতলী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন, মো. মনোয়ার হোসেন ও তাদের সহযোগী ইয়ামিন, সাফামনি, ফজিলা, মো. ওবায়দুল, মো. কামাল এবং শাহ নেওয়াজ।
জানা গেছে, উপজেলার তালতলী ছালেহিয়া আলীম মাদ্রাসা কেন্দ্রে রোববার গণিত পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্র সংলগ্ন কেন্দ্র সচিবের বাড়িতে গণিতের প্রশ্ন সরবরাহ করে গণিত শিক্ষক দিয়ে সমাধান করছিল শিক্ষকরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুমপা কেন্দ্র সচিব তালতলী ছালেহিয়া আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান পরিচালনা করেন। সে সময় নকল সরবরাহের সঙ্গে জড়িত থাকায় অভিযোগে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের তালতলী থানায় সোপর্দ করা হয়।
তালতলী ছালেহিয়া আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মাওলানা হারুন অর রশিদ বলেন, বালিয়াতলী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ও কড়ইবাড়িয়া এতিম মঞ্জিল দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আমার বাড়িটা ভাড়া নিয়েছিল। এখন সেখানে বসে কেউ অন্যায় করলে তার দায়ভার আমরা নেব না। আর এ প্রবলেম কেন্দ্রের বাইরে কেন্দ্রের ভেতর নয়।
তালতলী থানার ওসি (তদন্ত) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ইউএনও পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে আটক করে চার শিক্ষকসহ ১০ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব মো. হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালিয়ে নকল সরবরাহের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার শিক্ষকসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।