গত ৬ মাসে নীলফামারীর ৬ উপজেলার বিভিন্ন থানায় দীর্ঘ দিন ধরে চলমান থাকা প্রায় ১ হাজারটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নিষ্পত্তি করেছেন নীলফামারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম)। উদ্ধার করা হয়েছে ২৩৫জন ভিকটিম। এ জেলায় যোগদানের পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির করেছেন অভুতপুর্ব।
নীলফামারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী, গেল ৬ মাসে ধর্ষণ মামলায় ৬৫জন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন মামলায় ৫৩জনসহ অন্যান্য বিভিন্ন নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় মোট ৮৬জন আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন থানায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান মোট ৮৬৩টি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
বাল্য বিবাহ, আত্মহত্যা ও মাদকের কুফলসহ জনগনের দোড়গোড়ায় পুলিশী সেবা পৌঁছে দিতে জেলার ৬ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হাজার বিট/কমিউনিটি পুলিশিং বৈঠক করে জনগনের মধ্যে গনসচেতনা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে, নীলফামারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) বলেন, “মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জনগনের দোড়গোড়ায় পুলিশী সেবাকে পৌঁছে দেয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সেবার কার্যক্রমকে গতিশীল ও কার্যকর করাসহ বাল্য বিবাহ, আত্মহত্যা ও মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন।গেল ৬ মাসে ২৩৫জন ভিকটিমকে উদ্ধার করে পরিবারের জিম্মায় প্রদান সাপেক্ষে নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলার বিভিন্ন থানায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান থাকা ৮৬৩টি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে”।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান নীলফামারী জেলায় যোগদানের পর থেকেই শুধু মাত্র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতিই করেননি সেই সাথে দীর্ঘদিনের সমস্যা নীলফামারী শহর যানজট মুক্তও করেছেন তিনি। পুলিশ প্রশাসনের এমন প্রশংসামুলক কার্যক্রম চলমান থাকলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই উন্নতিসাধন হবে বলে মনে করছেন এ জেলার আশাবাদী মানুষগুলো।