শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লবণ উৎপাদনে ৬২ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ

চেলছে লবণ উৎপাদনের মৌসুম। কাগজে-কলমে লবণ মৌসুম চলে ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পাঁচমাস। ঝড়বৃষ্টি না হলে আরও ১৫-২০ দিন থাকে লবণের মৌসুম। গত অক্টোবর থেকে ৬ মে পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূলের ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে ২১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। বৃষ্টিহীন আরও পক্ষকাল সময় পাওয়া গেলে উৎপাদন হতে পারে আরও অন্তত অর্ধলাখ মেট্রিক টন লবণ।

ইতোমধ্যেই দেশের চাহিদার সমপরিমাণ লবণ উৎপাদন করে রেকর্ড করেছেন প্রান্তিক চাষিরা। বাণিজ্যিক লবণ চাষে গত ৬২ বছরের ইতিহাস ভেঙে এবারই সোয়া ২১ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। গত অর্থবছরে (২০২২ সালে) সবচেয়ে বেশি ১৮ লাখ ১৫ হাজার ১৫৬ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছিল।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, জেলায় বাণিজ্যিক লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালে। চলতি মৌসুমে জেলা সদর, ঈদগাঁও, পেকুয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, টেকনাফ, কুতুবদিয়া ও বাঁশখালীতে ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। ৬ মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদিত হয়েছে ২১ লাখ ৭৫ মেট্রিক টন। গত মৌসুমে এ সময়ে উৎপাদিত হয়েছিল ১৮ লাখ ১৫ হাজার ১৫৬ মেট্রিক টন। এ হিসাবে চলতি মৌসুমে গত মৌসুমের চেয়ে অতিরিক্ত প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন লবণ বেশি উৎপাদন হয়েছে।

গতবছর চাষের জমি ছিল ৬৩ হাজার ২৯১ একর। গত মৌসুমের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজার ১৩৩ একর। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। যা গতবছর ছিল ৩৭ হাজার ২৩১ জন। এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বেড়েছে দুই হাজার ২৩৬ জন।

Tag :
About Author Information

Daily Banalata

লবণ উৎপাদনে ৬২ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ

Update Time : ০৮:০৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩

চেলছে লবণ উৎপাদনের মৌসুম। কাগজে-কলমে লবণ মৌসুম চলে ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পাঁচমাস। ঝড়বৃষ্টি না হলে আরও ১৫-২০ দিন থাকে লবণের মৌসুম। গত অক্টোবর থেকে ৬ মে পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূলের ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে ২১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। বৃষ্টিহীন আরও পক্ষকাল সময় পাওয়া গেলে উৎপাদন হতে পারে আরও অন্তত অর্ধলাখ মেট্রিক টন লবণ।

ইতোমধ্যেই দেশের চাহিদার সমপরিমাণ লবণ উৎপাদন করে রেকর্ড করেছেন প্রান্তিক চাষিরা। বাণিজ্যিক লবণ চাষে গত ৬২ বছরের ইতিহাস ভেঙে এবারই সোয়া ২১ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। গত অর্থবছরে (২০২২ সালে) সবচেয়ে বেশি ১৮ লাখ ১৫ হাজার ১৫৬ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছিল।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, জেলায় বাণিজ্যিক লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালে। চলতি মৌসুমে জেলা সদর, ঈদগাঁও, পেকুয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, টেকনাফ, কুতুবদিয়া ও বাঁশখালীতে ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। ৬ মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদিত হয়েছে ২১ লাখ ৭৫ মেট্রিক টন। গত মৌসুমে এ সময়ে উৎপাদিত হয়েছিল ১৮ লাখ ১৫ হাজার ১৫৬ মেট্রিক টন। এ হিসাবে চলতি মৌসুমে গত মৌসুমের চেয়ে অতিরিক্ত প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন লবণ বেশি উৎপাদন হয়েছে।

গতবছর চাষের জমি ছিল ৬৩ হাজার ২৯১ একর। গত মৌসুমের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজার ১৩৩ একর। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। যা গতবছর ছিল ৩৭ হাজার ২৩১ জন। এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বেড়েছে দুই হাজার ২৩৬ জন।