শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কয়লার অভাবে এস আলমের পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ

কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালিস্থ এস আলম গ্রুপের পাওয়ার প্লান্ট। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে, গত ৫ জুন সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।

শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

জানা গেছে, বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি চালুর জন্য পর্যাপ্ত কয়লার মজুত নেই। এ কেন্দ্র থেকে এই কদিন পরীক্ষামূলকভাবে ৫০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছিল। কিন্তু কয়লার মজুত শেষ হওয়ায় পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসার চার দিনের মধ্যেই কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে রাখার মতো পর্যাপ্ত কয়লার মজুত আমাদের হাতে নাই। তারপরও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অনুরোধে লোডশেডিং সামাল দেওয়ার জন্য যে কয়লা ছিল, সেগুলো দিয়ে উৎপাদন করেছি। এখন কয়লা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করার প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের লোড কমিয়ে এনে ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, এসএস পাওয়ার প্লান্টের দুটি ইউনিটের উৎপাদন সক্ষমতা মোট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউনিট পিডিবির অনুরোধে চালু করা হয়েছিল।

Tag :
About Author Information

Daily Banalata

কয়লার অভাবে এস আলমের পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ

Update Time : ০৬:৪৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩

কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালিস্থ এস আলম গ্রুপের পাওয়ার প্লান্ট। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে, গত ৫ জুন সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।

শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

জানা গেছে, বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি চালুর জন্য পর্যাপ্ত কয়লার মজুত নেই। এ কেন্দ্র থেকে এই কদিন পরীক্ষামূলকভাবে ৫০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছিল। কিন্তু কয়লার মজুত শেষ হওয়ায় পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসার চার দিনের মধ্যেই কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে রাখার মতো পর্যাপ্ত কয়লার মজুত আমাদের হাতে নাই। তারপরও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অনুরোধে লোডশেডিং সামাল দেওয়ার জন্য যে কয়লা ছিল, সেগুলো দিয়ে উৎপাদন করেছি। এখন কয়লা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করার প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের লোড কমিয়ে এনে ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, এসএস পাওয়ার প্লান্টের দুটি ইউনিটের উৎপাদন সক্ষমতা মোট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউনিট পিডিবির অনুরোধে চালু করা হয়েছিল।