শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাহাড়ে ঈদ-নববর্ষ-বৈসাবি ঘিরে জমজমাট পর্যটন ব্যবসার আশা

এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ এবং পাহাড়িদের বৃহৎ সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিহুসহ বিভিন্ন উপলক্ষ কাছাকাছি সময়ে উদযাপিত হবে। সেজন্য পাহাড়জুড়ে এখন থেকেই আনন্দের আমেজ।

পর্যটনসমৃদ্ধ জেলা হওয়ায় খাগড়াছড়িতে সারা বছর কম-বেশি পর্যটকের উপস্থিতি থাকলেও এবার তা কয়েকগুণ বেশি হওয়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।

এরই মধ্যে খাগড়াছড়ির হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোর প্রায় বুকিং শেষ। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে পর্যটন কেন্দ্রগুলো নতুন করে সাজানো হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপদে ভ্রমণের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জেলা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।

কোভিড পরিস্থিতি ও পরবর্তীতে বেশ কিছু মাস খাগড়াছড়ির আঞ্চলিক অস্থিরতার কারণে আশানুরূপ পর্যটন ব্যবসা হয়নি। তবে এবার জেলার সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ থাকায় ভালো ব্যবসার আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

আলুটিলা পাহাড়ের রহস্যময় সুড়ঙ্গ, রিছাং ঝর্ণা, শান্তিপুর অরণ্য কুটিরসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র আছে খাগড়াছড়িতে। অন্যদিকে মেঘের রাজ্য সাজেক রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে অবস্থিত হলেও সেখানে যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। ফলে সাজেকগামী পর্যটকরাও সুযোগে ঘুরে যান খাগড়াছড়ি।

সাজেকে বর্তমানে প্রায় ১২০টির মত কটেজ রিসোর্ট রয়েছে। সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই বলেন, ১১ এপ্রিল থেকে প্রায় এক সপ্তাহ টানা বুকিং রয়েছে। পর্যটক বরণে আমরা যতটুকু সম্ভব প্রস্তুতি নিচ্ছি।

খাগড়াছড়ির ‘হোটেল অরণ্য বিলাস’র ম্যানেজার মো. সাগর বলেন, এবার ঈদ এবং বৈসাবি উৎসব ঘিরে আশানুরূপ পর্যটক হবে। ঈদের দিন থেকে আমাদের টানা বুকিং রয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের ৭০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে।

এ বছর তিনটি উপলক্ষ ঘিরে লম্বা সময় ছুটি থাকবে বিধায় পর্যটকরা খাগড়াছড়ি মুখর করে রাখবেন বলে আশাবাদী জেলা আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা। তিনি বলেন, এবার ঈদ, বাংলা নববর্ষের সঙ্গে পাহাড়ের বৈসাবি উৎসবও কিন্তু কাছাকাছি সময়ে পড়েছে। তাই পর্যটকরা লম্বা ছুটির সঙ্গে বাড়তি আয়োজনও দেখতে পারবেন। আমরাও আশাব্যাঞ্জক ব্যবসা করতে পারবো।

পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে জেলা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, তিনটি ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবকে সামনে রেখে আমরা সতর্ক রয়েছি। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও পর্যটন কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। আশা করি পর্যটকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে নিজেদের মত করে ঘুরে বেড়াতে পারবেন সানন্দে।

আগামী ১২ এপ্রিল থেকে পাহাড়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বৈসাবি শুরু হচ্ছে। পাহাড়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর এ উৎসব ঘিরে এরই মধ্যে শহর থেকে পাড়া-মহল্লায় নানান আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়েছে। তার আগে চাঁদ দেখাসাপেক্ষে ১০ এপ্রিল বা ১১ এপ্রিল হতে পারে ঈদুল ফিতর। আর ১৪ এপ্রিল বরণ করা হবে বাংলা নববর্ষ।

Tag :
About Author Information

Daily Banalata

Popular Post

বসন্ত মানেই রক্তিম পাপড়ির মাঝে ছড়িয়ে থাকা এক নিঃশব্দ কবিতার গল্প!

পাহাড়ে ঈদ-নববর্ষ-বৈসাবি ঘিরে জমজমাট পর্যটন ব্যবসার আশা

Update Time : ০২:৫৮:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ এবং পাহাড়িদের বৃহৎ সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিহুসহ বিভিন্ন উপলক্ষ কাছাকাছি সময়ে উদযাপিত হবে। সেজন্য পাহাড়জুড়ে এখন থেকেই আনন্দের আমেজ।

পর্যটনসমৃদ্ধ জেলা হওয়ায় খাগড়াছড়িতে সারা বছর কম-বেশি পর্যটকের উপস্থিতি থাকলেও এবার তা কয়েকগুণ বেশি হওয়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।

এরই মধ্যে খাগড়াছড়ির হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোর প্রায় বুকিং শেষ। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে পর্যটন কেন্দ্রগুলো নতুন করে সাজানো হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপদে ভ্রমণের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জেলা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।

কোভিড পরিস্থিতি ও পরবর্তীতে বেশ কিছু মাস খাগড়াছড়ির আঞ্চলিক অস্থিরতার কারণে আশানুরূপ পর্যটন ব্যবসা হয়নি। তবে এবার জেলার সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ থাকায় ভালো ব্যবসার আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

আলুটিলা পাহাড়ের রহস্যময় সুড়ঙ্গ, রিছাং ঝর্ণা, শান্তিপুর অরণ্য কুটিরসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র আছে খাগড়াছড়িতে। অন্যদিকে মেঘের রাজ্য সাজেক রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে অবস্থিত হলেও সেখানে যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। ফলে সাজেকগামী পর্যটকরাও সুযোগে ঘুরে যান খাগড়াছড়ি।

সাজেকে বর্তমানে প্রায় ১২০টির মত কটেজ রিসোর্ট রয়েছে। সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই বলেন, ১১ এপ্রিল থেকে প্রায় এক সপ্তাহ টানা বুকিং রয়েছে। পর্যটক বরণে আমরা যতটুকু সম্ভব প্রস্তুতি নিচ্ছি।

খাগড়াছড়ির ‘হোটেল অরণ্য বিলাস’র ম্যানেজার মো. সাগর বলেন, এবার ঈদ এবং বৈসাবি উৎসব ঘিরে আশানুরূপ পর্যটক হবে। ঈদের দিন থেকে আমাদের টানা বুকিং রয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের ৭০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে।

এ বছর তিনটি উপলক্ষ ঘিরে লম্বা সময় ছুটি থাকবে বিধায় পর্যটকরা খাগড়াছড়ি মুখর করে রাখবেন বলে আশাবাদী জেলা আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা। তিনি বলেন, এবার ঈদ, বাংলা নববর্ষের সঙ্গে পাহাড়ের বৈসাবি উৎসবও কিন্তু কাছাকাছি সময়ে পড়েছে। তাই পর্যটকরা লম্বা ছুটির সঙ্গে বাড়তি আয়োজনও দেখতে পারবেন। আমরাও আশাব্যাঞ্জক ব্যবসা করতে পারবো।

পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে জেলা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, তিনটি ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবকে সামনে রেখে আমরা সতর্ক রয়েছি। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও পর্যটন কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। আশা করি পর্যটকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে নিজেদের মত করে ঘুরে বেড়াতে পারবেন সানন্দে।

আগামী ১২ এপ্রিল থেকে পাহাড়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বৈসাবি শুরু হচ্ছে। পাহাড়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর এ উৎসব ঘিরে এরই মধ্যে শহর থেকে পাড়া-মহল্লায় নানান আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়েছে। তার আগে চাঁদ দেখাসাপেক্ষে ১০ এপ্রিল বা ১১ এপ্রিল হতে পারে ঈদুল ফিতর। আর ১৪ এপ্রিল বরণ করা হবে বাংলা নববর্ষ।