সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 ভাইয়ের কোদালের আঘাতে বড় ভাই খুন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আজ বিকেলে ছোট ভাইয়ের কোদালের আঘাতে বড় ভাই সামছুল হুদা(৩৮) নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন সহোদর ছোট ভাই শাহীন মিয়া(৩৫)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের তালুককানুপুর গ্রামে। নিহত সামছুল হুদা তালুককানুপুর গ্রামের হাবিজার রহমানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে ৪ শতাংশ জমি নিয়ে বড় ভাই সামছুল হুদার সঙ্গে ছোট ভাই আনোয়ারুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিলো। হাবিজার রহমানের দুই স্ত্রীর মধ্যে প্রথম স্ত্রীর ছেলে সামছুল হুদা ও শাহীন মিয়া। আর ছোট স্ত্রীর ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম শ্যামল। এই বিরোধের জেরে বুধবার (৬ জুন) বিকালে আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সামছুল ও শাহীনের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আনোয়ারুল তার হাতে থাকা একটি কোদাল দিয়ে সামছুলের মাথায় ও শাহীনের শরীরে আঘাত করে। এতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় সামছুলকে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া শাহীনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৮ জুন) ভোর রাতে মারা যান সামছুল হুদা।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ জানান, মদেহ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে মরদেহ স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন। ঘটনার পর নিহত সামছুল হুদার স্ত্রী লাবনী বেগম বাদি হয়ে দু’জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি আনোয়ারুল ইসলাম পলাতক থাকলেও তার স্ত্রী গোলাপি বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

Tag :
About Author Information

Daily Banalata

 ভাইয়ের কোদালের আঘাতে বড় ভাই খুন

Update Time : ০৭:১১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আজ বিকেলে ছোট ভাইয়ের কোদালের আঘাতে বড় ভাই সামছুল হুদা(৩৮) নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন সহোদর ছোট ভাই শাহীন মিয়া(৩৫)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের তালুককানুপুর গ্রামে। নিহত সামছুল হুদা তালুককানুপুর গ্রামের হাবিজার রহমানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে ৪ শতাংশ জমি নিয়ে বড় ভাই সামছুল হুদার সঙ্গে ছোট ভাই আনোয়ারুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিলো। হাবিজার রহমানের দুই স্ত্রীর মধ্যে প্রথম স্ত্রীর ছেলে সামছুল হুদা ও শাহীন মিয়া। আর ছোট স্ত্রীর ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম শ্যামল। এই বিরোধের জেরে বুধবার (৬ জুন) বিকালে আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সামছুল ও শাহীনের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আনোয়ারুল তার হাতে থাকা একটি কোদাল দিয়ে সামছুলের মাথায় ও শাহীনের শরীরে আঘাত করে। এতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় সামছুলকে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া শাহীনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৮ জুন) ভোর রাতে মারা যান সামছুল হুদা।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ জানান, মদেহ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে মরদেহ স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন। ঘটনার পর নিহত সামছুল হুদার স্ত্রী লাবনী বেগম বাদি হয়ে দু’জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি আনোয়ারুল ইসলাম পলাতক থাকলেও তার স্ত্রী গোলাপি বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।