মো:মাজেম আলী মলিন.গুরুদাসপুর (নাটোর) থেকে.
স্বপ্ন দেখেছিলেন উচ্চশিক্ষার আলোয় নিজেকে আলোকিত করবেন। মাস্টার্স শেষ করে একদিন সমাজে নিজের পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত করবেন। কিন্তু সময়ে নিষ্ঠুর পরিহাসে অঞ্জনার জীবনের সেই স্বপ্নে নেমে আসে অন্ধকার অমানিশা। একদিন হঠাৎ করেই জানতে পারেন, তার শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। সফল ভবিষ্যতের আশায় যে মেয়েটি বইয়ের পাতায় ডুবে থাকত, সে এখন হাসপাতালের সাদা বেডশিটের মধ্যে জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে বন্দী। পড়াশোনার খাতা বদলে গেছে চিকিৎসার ফাইলে, পরীক্ষার উত্তেজনা বদলে গেছে কেমোথেরাপির যন্ত্রণায়। অঞ্জনা রানী, একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের মাস্টাস্র্রে ছাত্রী। স্বপ্ন ছিল শিক্ষকতা করে সমাজের জন্য কিছু করবেন। কিন্তু সেই স্বপ্নের পথে আচমকাই নেমে আসে অন্ধকার।
প্রখম দিকে সাধারণ কিছু শারীরিক অসুস্থতা ভেবেই উপেক্ষা করেছিলেন। ক্লাসের ব্যাস্ততা, পরীক্ষার প্রস্তুতি, সংসার এসবের মাঝে নিজের যতœ নেওয়ার সময় হয়নি। কিন্তু যখন শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে লাগল, তখন বাধ্য হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গেল তার শরিরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। শুরু হলো নতুন এক লড়াই। কেমোথেরাপির ধকল, শরীরের দুর্বলতা, মানসিক চাপ—সব কিছু মিলিয়ে জীবন যেন থমকে গেল তার।
জীবন এক কঠিন পরীক্ষার নাম, আর সে পরীক্ষায় ভয়ংকর এক অধ্যায়ের মুখোমুখি হয়েছেন নাটোরের গুরুদাসপুর বাজারের হালদারপাড়া মহল্লার বিদ্যুৎ কুমারের স্ত্রী কৃষ্ণভক্ত রঞ্জনা রানী(২৫)। একসময় যিনি ভগবানের নামকীর্তনে মগ্ন থাকতেন, আজ তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিদারুণ কষ্ট ভোগ করছেন এই ধর্মপরায়ণা নারী।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রঞ্জনা রানীর দ্রæত উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে চিকিৎসা অত্যান্ত ব্যয়বহুল, যা তার পরিবারের পক্ষে বহন করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে তারা যা ছিল, সব কিছু বিক্রি করে চিকিৎসার খরচ চালিয়েছেন, কিন্তু চিকিৎসা শেষ করতে এখনও প্রায় ভারতীয় ১৫ লক্ষ রুপি এবং বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৬ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তিনি বর্তমানে ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা না পেলে হয়তো সময়ের অতলে হারিয়ে যাবেন এই নিষ্পাপ প্রাণ। তাই সমাজের হৃদয়বান ও দয়ালু ব্যক্তিদের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার স্বামী বিদ্যুৎ কুমার তিনি বলেন আপনার একটু সহযোগিতায় বেঁচে যেতে পারেন ছোট ছোট দুইটা শিশুর মা ও হাজারো ভক্তকুলের মাতাজী প্রভুভক্ত রঞ্জনা রানী। আপনার দেওয়া সহায়তা তাকে নতুন জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে। আসুন, মানবতার হাত বাড়িয়ে দিই, যেন কৃষ্ণভক্ত রঞ্জনা রানী আবারও ভগবানের নামগান করতে পারেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।
যোগাযোগ ও সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা: বাংলাদেশী সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার – ৪৯০৬৪০১০২২৪৯১ ইন্ডিয়ার ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ৪০১৭০৪২০১৯০০৫৯২০ বাংলাদেশের ফোন নাম্বার (বিকাশ) +৮৮০১৮৬৯৬৯৫২০৫. আপনার সহানুভূতি আর ভালোবাসাই হতে পারে তার জন্য বেঁচে থাকার শেষ আশার আলো।