শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটোরে এবার তৈরী হলো ডিজিটাল ভেলা!

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০
  • ৬৫ Time View

নলডাঙ্গা(নাটোর) প্রতিবেদক.
গ্রামীন ওইতিহ্য কলা গাছের ভেলা। দীর্ঘ দিন যাবত অবহমান গ্রাম বাংলা জুড়ে চলছে এর ব্যাবহার।কিন্তু তাকে কি এখন প্রযুক্তির ছোয়া চলচ্ছে পৃথিবী জুড়ে।এতে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। সব কিছুই ডিজিটালাইজ হচ্ছে। কলা গাছের ভেলা বাদ যাবে কেন? এমন ভাবনা থেকেই বর্ষাকালে যুগের পরিবর্তনে এবার হালতি বিলে চলছে ডিজিটাল ভেলা।
রীতিমত কলাগাছের ভেলার সঙ্গে ইঞ্জিন লাগিয়ে দ্রুত চালানোর ব্যবস্থা করে চমক লাগিয়ে দিয়েছেন নাটোরের নলডাঙ্গার সদরের শ্রমজীবী দুই বন্ধু সেন্টু মিয়া (২৪) ও রুস্তম আলী (২৬) । ইঞ্জিন লাগানো দ্রুতগামী এই কলাগাছের ভেলাটি এখন সবার নজর কাড়ছে।
উপজেলার বারনই নদে এবং হালতিবিলে ইঞ্জিনচালিত কলাগাছের এই ভেলা চলাচল করছে। শখ করে দুইবন্ধু এই ভেলার নাম দিয়েছেন ‘বন্ধু ভেলা’।
ভেলাটি দেখার জন্য দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসছে উতসুক জনতা। এলাকাবাসী এর নাম দিয়েছেন “ডিজিটাল ভেলা” । শুক্রবার সকালে নলডাঙ্গা হাটের পাশে নদী ঘাটে গিয়ে দেখা যায় ভেলাটি দেখার জন্য উৎসুক মানুষের জটলা । কথা হয় ভেলা তৈরীর কারিগড় নলডাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের হলুদঘর মহল্লার মোজাহার মন্ডলের ছেলে সেন্টু মিয়া ও একই এলাকার আব্দুল মাতবের ছেলে রুস্তম আলীর সাথে। তারা জানান,কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য শ্যালো মেশিন ভাড়া দিয়ে তাঁরা সংসার চালান। এখন বর্ষায় চাষাবাদ নেই। তাই শ্যালো মেশিন বাড়িতে পড়ে ছিল। বন্ধু রুস্তম আলীর সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁরা শ্যালো মেশিনগুলো কাজে লাগাতে চান।

প্রতিদিন নৌকা ভাড়া দিয়ে তাঁদের নলডাঙ্গা বাজারে যাতায়াত করতে হয়। তা ছাড়া ওসব নৌকায় ইচ্ছামতো যাওয়া–আসাও করা যায় না। তাঁদের কাছে নৌকা কেনা বা তৈরি করার টাকাও নেই।

তাই তারা পরামর্শ অনুযায়ী কলাগাছ দিয়ে ভেলা বানিয়ে তাতে শ্যালো মেশিনজুড়ে দিল। এতে ভেলাটি নৌকার মতোই দ্রুতগতিতে ছুটতে শুরু করে।
হঠাৎ এ ধরণের ভেলা বানানোর কারণ জানতে চাইলে ভেলার চালক রুস্তম আলী জানান, শখের বশে মাত্র ২০০ টাকা খরচ করে ভেলাটি তৈরি করি । ভেলাটিতে সর্বোচ্চ দুই মণ মাল ও চালকসহ তিনজন যাত্রী নিয়ে যেকোনো গভীরতার পানিতে চলাচল করতে পারে। ডিজেল দিয়ে চালানোর ফলে জ্বালানি খরচও কম লাগে। তাঁরা এটাকে এখনো ভাড়ায় চালান না। তবে ভবিষ্যতে ভাড়ায় চালানোর ইচ্ছা আছে তাঁদের। তাঁদের দেখাদেখি অনেকেই এ ধরনের ভেলা বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বলে জানান এলাকাবাসী ।

Tag :

নাটোরে এবার তৈরী হলো ডিজিটাল ভেলা!

Update Time : ১০:০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০

নলডাঙ্গা(নাটোর) প্রতিবেদক.
গ্রামীন ওইতিহ্য কলা গাছের ভেলা। দীর্ঘ দিন যাবত অবহমান গ্রাম বাংলা জুড়ে চলছে এর ব্যাবহার।কিন্তু তাকে কি এখন প্রযুক্তির ছোয়া চলচ্ছে পৃথিবী জুড়ে।এতে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। সব কিছুই ডিজিটালাইজ হচ্ছে। কলা গাছের ভেলা বাদ যাবে কেন? এমন ভাবনা থেকেই বর্ষাকালে যুগের পরিবর্তনে এবার হালতি বিলে চলছে ডিজিটাল ভেলা।
রীতিমত কলাগাছের ভেলার সঙ্গে ইঞ্জিন লাগিয়ে দ্রুত চালানোর ব্যবস্থা করে চমক লাগিয়ে দিয়েছেন নাটোরের নলডাঙ্গার সদরের শ্রমজীবী দুই বন্ধু সেন্টু মিয়া (২৪) ও রুস্তম আলী (২৬) । ইঞ্জিন লাগানো দ্রুতগামী এই কলাগাছের ভেলাটি এখন সবার নজর কাড়ছে।
উপজেলার বারনই নদে এবং হালতিবিলে ইঞ্জিনচালিত কলাগাছের এই ভেলা চলাচল করছে। শখ করে দুইবন্ধু এই ভেলার নাম দিয়েছেন ‘বন্ধু ভেলা’।
ভেলাটি দেখার জন্য দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসছে উতসুক জনতা। এলাকাবাসী এর নাম দিয়েছেন “ডিজিটাল ভেলা” । শুক্রবার সকালে নলডাঙ্গা হাটের পাশে নদী ঘাটে গিয়ে দেখা যায় ভেলাটি দেখার জন্য উৎসুক মানুষের জটলা । কথা হয় ভেলা তৈরীর কারিগড় নলডাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের হলুদঘর মহল্লার মোজাহার মন্ডলের ছেলে সেন্টু মিয়া ও একই এলাকার আব্দুল মাতবের ছেলে রুস্তম আলীর সাথে। তারা জানান,কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য শ্যালো মেশিন ভাড়া দিয়ে তাঁরা সংসার চালান। এখন বর্ষায় চাষাবাদ নেই। তাই শ্যালো মেশিন বাড়িতে পড়ে ছিল। বন্ধু রুস্তম আলীর সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁরা শ্যালো মেশিনগুলো কাজে লাগাতে চান।

প্রতিদিন নৌকা ভাড়া দিয়ে তাঁদের নলডাঙ্গা বাজারে যাতায়াত করতে হয়। তা ছাড়া ওসব নৌকায় ইচ্ছামতো যাওয়া–আসাও করা যায় না। তাঁদের কাছে নৌকা কেনা বা তৈরি করার টাকাও নেই।

তাই তারা পরামর্শ অনুযায়ী কলাগাছ দিয়ে ভেলা বানিয়ে তাতে শ্যালো মেশিনজুড়ে দিল। এতে ভেলাটি নৌকার মতোই দ্রুতগতিতে ছুটতে শুরু করে।
হঠাৎ এ ধরণের ভেলা বানানোর কারণ জানতে চাইলে ভেলার চালক রুস্তম আলী জানান, শখের বশে মাত্র ২০০ টাকা খরচ করে ভেলাটি তৈরি করি । ভেলাটিতে সর্বোচ্চ দুই মণ মাল ও চালকসহ তিনজন যাত্রী নিয়ে যেকোনো গভীরতার পানিতে চলাচল করতে পারে। ডিজেল দিয়ে চালানোর ফলে জ্বালানি খরচও কম লাগে। তাঁরা এটাকে এখনো ভাড়ায় চালান না। তবে ভবিষ্যতে ভাড়ায় চালানোর ইচ্ছা আছে তাঁদের। তাঁদের দেখাদেখি অনেকেই এ ধরনের ভেলা বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বলে জানান এলাকাবাসী ।