প্রভাষক মোঃ মাজেম আলী মলিন

আজ রবিবার উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক পুরোধা অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের ৭৫ তম জন্মদিন । ৩১ অক্টোবর ১৯৪৬ সালের এই দিনে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের বিলশা গ্রামের সরদার বাড়িতে তার জন্ম হয়।
তার জন্মদিন উপলক্ষে নানা শ্রেনী পেশার হাজারো ভক্ত শুভানুধ্যায়ী ও রাজনীতি বিদ দের ভালোবাসা ও শুভ কামনায় সিক্ত হলেন এই গুণীজন।

জন্মদিনের অনুভূতি প্রকাশ গিয়ে অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘৭৪ পেরিয়ে ৭৫ বছরে পদার্পণ করলাম। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি এজন্য যে ব্রিটিশ থেকে পাকিস্তান আমল অতপর স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতি করছি। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে প্রিয় নেত্রীর ছায়া তলে বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে চলছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে ছাত্র রাজনীতিতে উত্তর বঙ্গের নেতৃত্ব দেবার সময় থেকেই । ছাত্র জীবন থেকেই দেশের প্রতি তীব্র ভালোবাসা থেকেই রাজনীতিতে আসা। বঙ্গবন্ধুর দেখানো সোনার বাংলা ও তাঁর দেখানো স্বপ্নই এখনো বাস্তবায়িত হচ্ছে তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে । বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবর্ষে আমরা সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নের কাছাকাছিচলে এসেছি।’ দেশের প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর বহু দেশ আমার ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছে । হয়তো কয়েকটা দিন ভালো লেগেছে। কিন্তু তারপর যখন দেশের মাটিতে ফিরে এসেছি, মনে হয়েছে মায়ের কাছে ফিরে আসলাম। কারণ আমাদের রয়েছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি।’ নিজের কাজ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস বলেন , ‘যখনই দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছি নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিয়ে কাজ করেছি। যার কারণে সারাদেশে উন্নয়নে সপ্তম স্থানে রয়েছে আমার নির্বাচিত এলাকা। শত বাধাবিপত্তির মধ্যে ও গণ মানুষের ভালো বাসা নিয়ে মা মাটি মানুষের জন্য রাতদিন কাজ করে যাচ্ছি। করুণাময় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা তিনি যেন দেশ ও দশের জন্য আজীবন কাজ করার তৌফিক দান করেন।
জন্মদিন উপলক্ষে তার নির্বাচিত এলাকার গুরুদাসপুর বড়াইগ্রামের সর্বস্তরের জনগণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক -প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা তার উন্নয়নমূলক কাজ কর্ম তুলে এনে এ দিবসটি গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মহান সৃষ্টি কর্তা যেন সবাইকে সকল সমস্যা থেকে হেফাজত করেন।
এদিকে গুরুদাসপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লব ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সবুজ বলেন,এই বয়সেও নেতার কাজ করার গতি দেখে বিস্মিত হয়ে যাই। একটা মানুষ কিভাবে রাত-দিন মানুষের জন্য কাজ করছেন বিরামহীন ভাবে। পরম সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি তিনি যেন সুস্থ রাখেন প্রিয় নেতাকে। সেই সাথে দেশমাতৃকার জন্য কাজ করে যেতে পারেন আজীবন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্টাটাসে উপজেলার সাবেক যুব মহিলা লীগের সভাপতি গুরুদাসপুর শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজের প্রভাষক নাসরিন সুলতানা রুমা বলেন,
উত্তরবঙ্গের কৃতিসন্তান,বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য ঘনিষ্ট সহচর, বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের বর্নাঢ্য ও প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের কিংবদন্তী মহানায়ক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুজিববাহিনীর অন্যতম অধিনায়ক, যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ায় বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত হাতিয়ার, সামরিক শাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক,বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, গুরুদাসপুর বড়াইগ্রামের মাটি ও মানুষের নেতা, ৭ বার মনোনয়ন প্রাপ্ত ৬ বারের নির্বাচিত সাংসদ, সাবেক সফল প্রতিমন্ত্রী, সকল শ্রেণি পেশার মানুষের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ব্যাক্তিত্ব, রাজনৈতিক আদর্শ ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস এম.পি আমাদের বটবৃক্ষ। যার ছায়া তলে সমাজের হতদরিদ্র থেকে শুরু করে সকলেই আসতে পারেন যার জন্য কোন নেতার সাহায্য প্রয়োজন হয় না। শত ঝামেলার মাঝেও তিনি নিজেই ফোন রিসিভ করেন এবং নিজে উপস্তিত থেকে সকল সমস্যার সমাধান করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এই নেতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও কর্ম যজ্ঞ তুলে ধরে কেক কেটে ও দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গুরুদাসপুর – বড়াইগ্রামের ছাত্রলীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ কৃষকলীগ ও আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা দিবসটি পালন করেছেন।