শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে হত্যাসহ ১২ মামলার আসামী ভুম্বু গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
  • ৭৭ Time View

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি. গত ২২ সেপ্টম্বর ‘সন্ত্রাসী চক্রের কাছে জিম্মী গুরুদাসপুরবাসী’ শিরোনামে দৈনিক ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার এক মাসের মধ্যে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী শহিদুল ইসলাম ওরফে ভুম্বুকে গ্রেপ্তার করেছেন গুরুদাসপুর থানা পুলিশ। গত রোববার ৩০ অক্টোবর গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার যোগেন্দ্রনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ভুম্বু শুধু একা নয়, তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্য দুই আসামীও আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগড়ে পাঠান।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের সফুরা বেগম হত্যা, জালাল হত্যা, মিজান নামের এক যুবককে চাকু মারা, হরদমা গ্রামের মোজামকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে পঙ্গু করা, ট্রাক ছিনতাই ও মাদক চোরা কারবারি মামলার অন্যতম আসামী শহিদুল ইসলাম ওরফে ভুম্বু (৩২), আশরাফুল মন্ডল ওরফে জল্লাদ (৩৮), সাইদুল মন্ডল (৩৭), মাহাবুর (২২) ও আতিক (২৫)। তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ১২টির উপরে মামলা রয়েছে গুরুদাসপুর থানাসহ নাটোর কোর্টে। মাদক বিক্রি, চুরি ছিনতাই, রোড ডাকাতি, অবৈধ্য অস্ত্র, প্রকাশ্য দিবালোকে খুন জখম করা যেন তাদের নিত্যদিনের কাজ। ২০১৩ সালের ১৩ মে সফুরা বেগমকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। সেই মামলার সাক্ষি দিতেই ১৩ জুন ২০১৯ সালে বাড়ি থেকে নাটোর আদালতে যাওয়ার পথে যেগেন্দ্রনগর গ্রামের আকন্দ মেম্বরের ছেলে জালালকে কুপিয়ে দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী। জালাল হত্যা মামলার সাক্ষী দিতে গিয়ে সাইদুল, ভুম্বু ও জল্লাদের রসানলে পড়তে হয় জালালের একমাত্র ছেলে বাবু মন্ডলকে।

জানতে চাইলে বাবু মন্ডল জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে যাওয়ার পথে সকাল ৯টার দিকে একদল সন্ত্রাসী সাক্ষী না দেবার জন্য তাকেও তার বাবার মতো মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এসময় তাদের কথা না শুনে নাটোর কোর্টে যান বাবু। কোর্ট চত্বরে এক চায়ের দোকানের পাশে চা খেতে বসলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে মারধর করে তার বাবা হত্যা মামলার অন্যতম আসামীরা। পরে ৯৯৯ এ কল করে প্রাণে রক্ষা পান তিনি। এ বিষয়ে নাটোর কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক মো. নাজমুল হকের সহযোগিতায় নাটোর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শহিদুল ইসলাম ভুম্বু তালিকাভুক্ত মাদক মামলার আসামী। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সোমবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

গুরুদাসপুরে হত্যাসহ ১২ মামলার আসামী ভুম্বু গ্রেপ্তার

Update Time : ০৫:১৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি. গত ২২ সেপ্টম্বর ‘সন্ত্রাসী চক্রের কাছে জিম্মী গুরুদাসপুরবাসী’ শিরোনামে দৈনিক ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার এক মাসের মধ্যে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী শহিদুল ইসলাম ওরফে ভুম্বুকে গ্রেপ্তার করেছেন গুরুদাসপুর থানা পুলিশ। গত রোববার ৩০ অক্টোবর গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার যোগেন্দ্রনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ভুম্বু শুধু একা নয়, তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্য দুই আসামীও আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগড়ে পাঠান।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের সফুরা বেগম হত্যা, জালাল হত্যা, মিজান নামের এক যুবককে চাকু মারা, হরদমা গ্রামের মোজামকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে পঙ্গু করা, ট্রাক ছিনতাই ও মাদক চোরা কারবারি মামলার অন্যতম আসামী শহিদুল ইসলাম ওরফে ভুম্বু (৩২), আশরাফুল মন্ডল ওরফে জল্লাদ (৩৮), সাইদুল মন্ডল (৩৭), মাহাবুর (২২) ও আতিক (২৫)। তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ১২টির উপরে মামলা রয়েছে গুরুদাসপুর থানাসহ নাটোর কোর্টে। মাদক বিক্রি, চুরি ছিনতাই, রোড ডাকাতি, অবৈধ্য অস্ত্র, প্রকাশ্য দিবালোকে খুন জখম করা যেন তাদের নিত্যদিনের কাজ। ২০১৩ সালের ১৩ মে সফুরা বেগমকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। সেই মামলার সাক্ষি দিতেই ১৩ জুন ২০১৯ সালে বাড়ি থেকে নাটোর আদালতে যাওয়ার পথে যেগেন্দ্রনগর গ্রামের আকন্দ মেম্বরের ছেলে জালালকে কুপিয়ে দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী। জালাল হত্যা মামলার সাক্ষী দিতে গিয়ে সাইদুল, ভুম্বু ও জল্লাদের রসানলে পড়তে হয় জালালের একমাত্র ছেলে বাবু মন্ডলকে।

জানতে চাইলে বাবু মন্ডল জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে যাওয়ার পথে সকাল ৯টার দিকে একদল সন্ত্রাসী সাক্ষী না দেবার জন্য তাকেও তার বাবার মতো মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এসময় তাদের কথা না শুনে নাটোর কোর্টে যান বাবু। কোর্ট চত্বরে এক চায়ের দোকানের পাশে চা খেতে বসলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে মারধর করে তার বাবা হত্যা মামলার অন্যতম আসামীরা। পরে ৯৯৯ এ কল করে প্রাণে রক্ষা পান তিনি। এ বিষয়ে নাটোর কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক মো. নাজমুল হকের সহযোগিতায় নাটোর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শহিদুল ইসলাম ভুম্বু তালিকাভুক্ত মাদক মামলার আসামী। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সোমবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।