রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া-চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আল্টিমেটাম

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৫৫ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসবভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় শতভাগে উন্নীত করাসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করতে ৫ দফা দাবি জানিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বৈষম্য নিরসনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতারা এসব দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সব নিয়োগ সরকারের হাতে নিয়ে বদলি ও প্রমোশন চালু করতে হবে। বিশেষ করে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ইএফটি–এর মাধ্যমে বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে। মাধ্যমিক ডিজি আলাদা করণসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষা প্রশাসনে আনুপাতিক হারে প্রেষণে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ ছাড়া এমপিওভুক্ত শিক্ষায় উচ্চতর গ্রেডে কর্মরতদের তদারকির জন্য কোনো নিম্নতর গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ বা দায়িত্ব দেওয়া যাবে না বলে দাবি করেন জোটের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে, নতুন কারিকুলামে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির প্রত্যেকটি বিষয়ে মানবণ্টন প্রদান পূর্বক বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার জন্য সিলেবাস ও মানবন্টনের নির্দেশনা প্রদান করা ও এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সরকারি স্কুলের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মতো বেতন স্কেল ৬ নম্বর গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ২টি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থাকরণ এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ২টি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জোটের সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈষম্য নিরসনসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বর্তমানে সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন, বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বার্ষিক ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা পান। তবে তাঁরা বাড়ি ভাড়া পান মাসিক ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা পান মাসিক ৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা পান ২৫ শতাংশ, যা অমানবিক। উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া স্কেল ভিত্তিক প্রদানসহ চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকায় উন্নীত করলেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের কাজ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো আয় সরকারি কোষাগারে জমা নেয় না। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয় যদি সরকারের কোষাগারে জমা নেওয়া হয় তাহলে সরকারের পক্ষে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সহজতর হবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কোনো প্রতিনিধি সরকারের কোনো দপ্তরে ডেপুটেশনে না থাকায় তাঁদের অধিকারের কথা সরকারের কোনো মহলে উপস্থাপন ও আলোচনা করা হয় না।

সভাপতির বক্তব্যে জোটের আহ্বায়ক ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দীন বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হলে এ দেশের সব শ্রেণি–পেশার মানুষের সন্তানেরা শহর ও গ্রামে একই মানের সরকারি স্কুলে কম বেতনে পড়ালেখা করতে পারবে। অভিভাবকদের শিক্ষা ব্যয় কমবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মওলানা দেলোয়ার হোসেন আজিজী, প্রফেসর ড. হানিফ খান, উপাধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমান, ড. মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ নূরুল ইসলাম, তালুকদার আব্দুল মন্নাফ, জসিম উদ্দিন শেখ, বেনী মাধব শীল, রতন কুমার দেবনাথ, শাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

Tag :
About Author Information

Daily Banalata

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া-চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আল্টিমেটাম

Update Time : ০১:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

বিশেষ প্রতিবেদক, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসবভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় শতভাগে উন্নীত করাসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করতে ৫ দফা দাবি জানিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বৈষম্য নিরসনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতারা এসব দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সব নিয়োগ সরকারের হাতে নিয়ে বদলি ও প্রমোশন চালু করতে হবে। বিশেষ করে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ইএফটি–এর মাধ্যমে বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে। মাধ্যমিক ডিজি আলাদা করণসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষা প্রশাসনে আনুপাতিক হারে প্রেষণে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ ছাড়া এমপিওভুক্ত শিক্ষায় উচ্চতর গ্রেডে কর্মরতদের তদারকির জন্য কোনো নিম্নতর গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ বা দায়িত্ব দেওয়া যাবে না বলে দাবি করেন জোটের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে, নতুন কারিকুলামে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির প্রত্যেকটি বিষয়ে মানবণ্টন প্রদান পূর্বক বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার জন্য সিলেবাস ও মানবন্টনের নির্দেশনা প্রদান করা ও এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সরকারি স্কুলের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মতো বেতন স্কেল ৬ নম্বর গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ২টি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থাকরণ এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ২টি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জোটের সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈষম্য নিরসনসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বর্তমানে সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন, বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বার্ষিক ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা পান। তবে তাঁরা বাড়ি ভাড়া পান মাসিক ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা পান মাসিক ৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা পান ২৫ শতাংশ, যা অমানবিক। উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া স্কেল ভিত্তিক প্রদানসহ চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকায় উন্নীত করলেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের কাজ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো আয় সরকারি কোষাগারে জমা নেয় না। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয় যদি সরকারের কোষাগারে জমা নেওয়া হয় তাহলে সরকারের পক্ষে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সহজতর হবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কোনো প্রতিনিধি সরকারের কোনো দপ্তরে ডেপুটেশনে না থাকায় তাঁদের অধিকারের কথা সরকারের কোনো মহলে উপস্থাপন ও আলোচনা করা হয় না।

সভাপতির বক্তব্যে জোটের আহ্বায়ক ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দীন বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হলে এ দেশের সব শ্রেণি–পেশার মানুষের সন্তানেরা শহর ও গ্রামে একই মানের সরকারি স্কুলে কম বেতনে পড়ালেখা করতে পারবে। অভিভাবকদের শিক্ষা ব্যয় কমবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মওলানা দেলোয়ার হোসেন আজিজী, প্রফেসর ড. হানিফ খান, উপাধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমান, ড. মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ নূরুল ইসলাম, তালুকদার আব্দুল মন্নাফ, জসিম উদ্দিন শেখ, বেনী মাধব শীল, রতন কুমার দেবনাথ, শাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।