রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদা দাবির ঘটনায় ৪ পুলিশ প্রত্যাহার

রাজশাহীতে পুলিশের বিরুদ্ধে কিশোরকে তুলে নিয়ে গিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। পরে অবশ্য ওই কিশোরকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের ও ৪ জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার রাতে তাদের প্রত্যাহার করা হয়। রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যাহার হওয়া ৪ পুলিশ সদস্য হলেন- গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ারুল ইসলাম, কনস্টেবল রেজাউল করিম ও মিলন হোসেন। বর্তমানে তাদেরকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গোগ্রাম এলাকা থেকে সোহানুর নামে এক কিশোরকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাবার নাম গোলাম মোর্তুজা। তিনি পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। তার ছেলে সোহানুরকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। চাঁদা না দিলে তাকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখানোর হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, ওইদিন তারা প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এএসআই আনোয়ারুলকে সাদা পোশাকে গোগ্রাম বাজারে ঘোরােফেরা করতে দেখেন। তিনি তুলে নিয়ে গেছেন সোহানুরকে। তবে ওই এএসআইকে একা পেয়ে তারা আটকে রাখেন এবং কিশোরের সন্ধান চান। খবর পেয়ে পুলিশের আরও সদস্য গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আনেন। রাত ১১টার দিকে আটক কিশোরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

তবে কিশোরকে তুলে নিয়ে যাওয়া ও চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এএসআই আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি আমার ডিউটিই করছিলাম। এর বেশি কিছু হয়নি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এরপর তদন্তের জন্য আপাতত ৪ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ বাদি একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

Tag :
About Author Information

Daily Banalata

চাঁদা দাবির ঘটনায় ৪ পুলিশ প্রত্যাহার

Update Time : ০৭:৫৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

রাজশাহীতে পুলিশের বিরুদ্ধে কিশোরকে তুলে নিয়ে গিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। পরে অবশ্য ওই কিশোরকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের ও ৪ জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার রাতে তাদের প্রত্যাহার করা হয়। রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যাহার হওয়া ৪ পুলিশ সদস্য হলেন- গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ারুল ইসলাম, কনস্টেবল রেজাউল করিম ও মিলন হোসেন। বর্তমানে তাদেরকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গোগ্রাম এলাকা থেকে সোহানুর নামে এক কিশোরকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাবার নাম গোলাম মোর্তুজা। তিনি পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। তার ছেলে সোহানুরকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। চাঁদা না দিলে তাকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখানোর হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, ওইদিন তারা প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এএসআই আনোয়ারুলকে সাদা পোশাকে গোগ্রাম বাজারে ঘোরােফেরা করতে দেখেন। তিনি তুলে নিয়ে গেছেন সোহানুরকে। তবে ওই এএসআইকে একা পেয়ে তারা আটকে রাখেন এবং কিশোরের সন্ধান চান। খবর পেয়ে পুলিশের আরও সদস্য গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আনেন। রাত ১১টার দিকে আটক কিশোরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

তবে কিশোরকে তুলে নিয়ে যাওয়া ও চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এএসআই আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি আমার ডিউটিই করছিলাম। এর বেশি কিছু হয়নি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এরপর তদন্তের জন্য আপাতত ৪ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ বাদি একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।