শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবন সংগ্রামী নুরজাহানের অভাব নিত্যসঙ্গী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:২৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
  • ২১ Time View

মোঃ সামসুল হক (গুরুদাসপুর পৌর প্রতিনিধি).

নুরজাহান বেগমের বসবাস নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরেরর পার-গুরুদাসপুর মহল্লায়। নামের অর্থ জগতের আলো হলেও সে আলো তাঁর জীবনকে আলোকিত করতে পারেনি। অভাব আর অনটনের সাথে যুদ্ধ করেই কাটছে নুরজাহানের প্রতিটি দিন। ৬৫ বছর বয়সে স্বামী আয়েজুদ্দীনকে হারিয়েছেন অনেক আগেই। অভাবের সংসারে এই বৃদ্ধ বয়সে এখন সে দু,চোখে দেখছেন ঘোর অমানিষা।

 বেঁচে থাকার তাগিদে বিল থেকে শাপলা-শালুক তুলে স্কুলের গেটে বিক্রির সামান্য আয় দিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলছে বিধবা নুরজাহান অভাবের সংসার ।

বৃহস্পতিবার(১১ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় চাঁচকৈড় বাজারস্থ শিক্ষা সংঘ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটে শাপলা ফুল আর শালুক বিক্রিরত অবস্থায় নুরজাহান দৈনিক বনলতার প্রতিনিধিকে জানান,”তিনি স্বামীকে হারিয়েছেন ৩৫ বছর আগে। দুই মেয়ে এক ছেলের সংসার তাঁর। ছেলে বিয়ে করে পৃথক সংসার পেতেছেন। মেয়েদের বিয়ে দিলেও তারা দুজন তালাকপ্রাপ্ত হয়ে তাঁর সংসারেই বোঝা হয়ে রয়েছে।

বয়সেরভারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহের ক্ষমতা নেই তাঁর। অন্যের কাছে হাত না পেতে বর্ষা মৌসুমে পাশের হাড়িভাঙ্গা বিল থেকে শাপলা-শালুক সংগ্রহ করে স্কুলের গেটে শিশুদের কাছে বিক্রি করে ২০-৩০ টাকা রোজগারে চলে তাঁর সংসার। অন্য সময়গুলেতে মাঠ থেকে কলমিসহ অন্যান্য শাক-সবজী সংগ্রহ করে তা স্থানীয় হাট বাজারে  বিক্রি করে চলে নুরজাহানের সংসার।

শিক্ষা সংঘ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদা বেগম জানান,মাঝে মধ্যেই বয়স্ক ওই মহিলাকে (নুরজাহান) স্কুলের গেটে ফুল ও শালুক বিক্রি করতে দেখেন তিনি। শিশু শিক্ষার্থীরা  আনন্দের সাথে তাঁর কাছ থেকে ফুল ক্রয় করেন। তাকে দেখে গরীব ও অসহায় মনে হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)মো.তমাল হোসেন জানান,তিনি নির্বাচনী দায়িত্বে উপজেলার বাইরে রয়েছেন। ফিরে খোঁজ খবর নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেন তিনি।

Tag :

জীবন সংগ্রামী নুরজাহানের অভাব নিত্যসঙ্গী

Update Time : ০৬:২৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১

মোঃ সামসুল হক (গুরুদাসপুর পৌর প্রতিনিধি).

নুরজাহান বেগমের বসবাস নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরেরর পার-গুরুদাসপুর মহল্লায়। নামের অর্থ জগতের আলো হলেও সে আলো তাঁর জীবনকে আলোকিত করতে পারেনি। অভাব আর অনটনের সাথে যুদ্ধ করেই কাটছে নুরজাহানের প্রতিটি দিন। ৬৫ বছর বয়সে স্বামী আয়েজুদ্দীনকে হারিয়েছেন অনেক আগেই। অভাবের সংসারে এই বৃদ্ধ বয়সে এখন সে দু,চোখে দেখছেন ঘোর অমানিষা।

 বেঁচে থাকার তাগিদে বিল থেকে শাপলা-শালুক তুলে স্কুলের গেটে বিক্রির সামান্য আয় দিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলছে বিধবা নুরজাহান অভাবের সংসার ।

বৃহস্পতিবার(১১ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় চাঁচকৈড় বাজারস্থ শিক্ষা সংঘ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটে শাপলা ফুল আর শালুক বিক্রিরত অবস্থায় নুরজাহান দৈনিক বনলতার প্রতিনিধিকে জানান,”তিনি স্বামীকে হারিয়েছেন ৩৫ বছর আগে। দুই মেয়ে এক ছেলের সংসার তাঁর। ছেলে বিয়ে করে পৃথক সংসার পেতেছেন। মেয়েদের বিয়ে দিলেও তারা দুজন তালাকপ্রাপ্ত হয়ে তাঁর সংসারেই বোঝা হয়ে রয়েছে।

বয়সেরভারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহের ক্ষমতা নেই তাঁর। অন্যের কাছে হাত না পেতে বর্ষা মৌসুমে পাশের হাড়িভাঙ্গা বিল থেকে শাপলা-শালুক সংগ্রহ করে স্কুলের গেটে শিশুদের কাছে বিক্রি করে ২০-৩০ টাকা রোজগারে চলে তাঁর সংসার। অন্য সময়গুলেতে মাঠ থেকে কলমিসহ অন্যান্য শাক-সবজী সংগ্রহ করে তা স্থানীয় হাট বাজারে  বিক্রি করে চলে নুরজাহানের সংসার।

শিক্ষা সংঘ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদা বেগম জানান,মাঝে মধ্যেই বয়স্ক ওই মহিলাকে (নুরজাহান) স্কুলের গেটে ফুল ও শালুক বিক্রি করতে দেখেন তিনি। শিশু শিক্ষার্থীরা  আনন্দের সাথে তাঁর কাছ থেকে ফুল ক্রয় করেন। তাকে দেখে গরীব ও অসহায় মনে হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)মো.তমাল হোসেন জানান,তিনি নির্বাচনী দায়িত্বে উপজেলার বাইরে রয়েছেন। ফিরে খোঁজ খবর নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেন তিনি।