মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

নাটোরের গুরুদাসপুরে এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার। এব্যাপারে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামের মোঃ আশরাফুল ইসলামের ছেলে মোঃ আনিছুর রহমান(৩২) ২৮ এপ্রিল রোববার সকাল ১১টার দিকে তার নিজ বাড়িতে ওই সেনা সদেস্যর বিরুদ্ধে প্রতারণার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

মামলা দায়েরের পর থেকে ওই সেনা সদস্য ভুক্তভোগী আনিসুরের পরিবারকে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মারপিটসহ হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ মামলায় উল্লেখ রয়েছে। বিবাদী মোঃ শাকিবুল ইসলাম(২৫) পিতা মোঃ লিয়াকত আলী প্রাং ও মোঃ লিয়াকত আলী পিতা মৃত্যু ইব্রাহি প্রাং উভয়ের বাড়ি উপজেলার ঝাউপাড়া গ্রামে।

বাদী আনিছুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিবাদী মোঃ শকিবুল ইসলাম সেনা বাহিনীতে চাকুরী করেন। ছুটিতে এসে মাঝে মধ্যেই অন্যের বাইক নিয়ে রাস্তায় বেপরোয়াভাবে বাইক চালান। তার বাইক চালানোর ধরণ এবং লাইসেন্স না থাকায় আনিছুর তার ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মুল্যের আরওয়ান-৫ বাইকটি দিতে অস্বীকার করে। বিষয়টি ভালো ভাবে নিতে পারেননি শাকিবুল। এই ঘটনার জেরে তার পরের দিন আনিছুরের ভাগিনা আশিকুর রহমানের নিকট বিন্যাবাড়ি বাজার থেকে ১০ মিনিটের কথা বলে বাইকটা নিয়ে গুরুদাসপুর যাবার কথা বলে কাছিকাটা বিশ্বরোডে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর শাকিবুল মুঠোফোনে জানান বাইটি দুর্ঘটনায় পরেছে। অতপর ঘটনাটি গুরুদাসপুর থানা পুলিশকে জানালে ওসি উজ্জ্বল হোসেন বাইকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। থানায় ঘটনাটি মিমাংসা না হওয়ায় গ্রামের প্রধান বর্গের সহায়তায় ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেওয়া সাপেক্ষে মৌখিকভাবে মিমাংসা হয়। ঘটনার এক মাস পরে টাকা দেবার কথা বলে শাকিবুল বাইক এবং টাকা না দিয়ে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। পরে বাধ্য হয়ে আদালতের দারস্ত হন বাইকের মালিক আনিছুর রহমান। এঘটনায় আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট ও প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে ওই সেনা সদস্য মোঃ শাকিবুল ইসলাম।

শাকিবুল বর্তমানে চট্রগ্রামের ভাটিয়ারী ক্যান্টনমেন্টে সৈনিক পদে কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ছুটি শেষ করে নিজ কর্মস্থলে ফিরেছেন বলে এলাকা বাসী জানান।

গ্রাম্য আদালতের প্রধান মাজাহারুল ইসলাম, বজলুর রশিদ, সাদেক মোল্লা ও রফিকুল সরদার বলেন, আমরা গ্রামে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে জরিমানা হিসেবে ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা ক্ষতি পুরণ বাবদ বাইকের মালিক আনিছুরকে দিতে বলেছিলাম। ওই সময় শাকিবুল ও তার বাবা লিয়াকত আলী এক মাসের সময় নিয়ে ছিলেন। কিন্তু এক মাস পার হলেও ওই টাকা বা বাইক কোনটাই ফিরত দেননি তারা।

সেনা সদস্য শাকিবুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, মূলত তিনি আনিছুরের মোটরসাইকেল নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন। একারণে মোটরসাইকেলটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটি মেরামতের পর মোটরসাইকেলটি তার বাড়িতেই রাখা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ উজ্জ্বল হোসেন দৈনিক বনলতাকে বলেন, এবিষয়ে মামলার কোন নথি এখনো থানায় আসেনি। নথি পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।।

Tag :
About Author Information

Daily Banalata

গুরুদাসপুরে সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

Update Time : ০৫:১৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

নাটোরের গুরুদাসপুরে এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার। এব্যাপারে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামের মোঃ আশরাফুল ইসলামের ছেলে মোঃ আনিছুর রহমান(৩২) ২৮ এপ্রিল রোববার সকাল ১১টার দিকে তার নিজ বাড়িতে ওই সেনা সদেস্যর বিরুদ্ধে প্রতারণার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

মামলা দায়েরের পর থেকে ওই সেনা সদস্য ভুক্তভোগী আনিসুরের পরিবারকে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মারপিটসহ হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ মামলায় উল্লেখ রয়েছে। বিবাদী মোঃ শাকিবুল ইসলাম(২৫) পিতা মোঃ লিয়াকত আলী প্রাং ও মোঃ লিয়াকত আলী পিতা মৃত্যু ইব্রাহি প্রাং উভয়ের বাড়ি উপজেলার ঝাউপাড়া গ্রামে।

বাদী আনিছুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিবাদী মোঃ শকিবুল ইসলাম সেনা বাহিনীতে চাকুরী করেন। ছুটিতে এসে মাঝে মধ্যেই অন্যের বাইক নিয়ে রাস্তায় বেপরোয়াভাবে বাইক চালান। তার বাইক চালানোর ধরণ এবং লাইসেন্স না থাকায় আনিছুর তার ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মুল্যের আরওয়ান-৫ বাইকটি দিতে অস্বীকার করে। বিষয়টি ভালো ভাবে নিতে পারেননি শাকিবুল। এই ঘটনার জেরে তার পরের দিন আনিছুরের ভাগিনা আশিকুর রহমানের নিকট বিন্যাবাড়ি বাজার থেকে ১০ মিনিটের কথা বলে বাইকটা নিয়ে গুরুদাসপুর যাবার কথা বলে কাছিকাটা বিশ্বরোডে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর শাকিবুল মুঠোফোনে জানান বাইটি দুর্ঘটনায় পরেছে। অতপর ঘটনাটি গুরুদাসপুর থানা পুলিশকে জানালে ওসি উজ্জ্বল হোসেন বাইকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। থানায় ঘটনাটি মিমাংসা না হওয়ায় গ্রামের প্রধান বর্গের সহায়তায় ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেওয়া সাপেক্ষে মৌখিকভাবে মিমাংসা হয়। ঘটনার এক মাস পরে টাকা দেবার কথা বলে শাকিবুল বাইক এবং টাকা না দিয়ে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। পরে বাধ্য হয়ে আদালতের দারস্ত হন বাইকের মালিক আনিছুর রহমান। এঘটনায় আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট ও প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে ওই সেনা সদস্য মোঃ শাকিবুল ইসলাম।

শাকিবুল বর্তমানে চট্রগ্রামের ভাটিয়ারী ক্যান্টনমেন্টে সৈনিক পদে কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ছুটি শেষ করে নিজ কর্মস্থলে ফিরেছেন বলে এলাকা বাসী জানান।

গ্রাম্য আদালতের প্রধান মাজাহারুল ইসলাম, বজলুর রশিদ, সাদেক মোল্লা ও রফিকুল সরদার বলেন, আমরা গ্রামে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে জরিমানা হিসেবে ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা ক্ষতি পুরণ বাবদ বাইকের মালিক আনিছুরকে দিতে বলেছিলাম। ওই সময় শাকিবুল ও তার বাবা লিয়াকত আলী এক মাসের সময় নিয়ে ছিলেন। কিন্তু এক মাস পার হলেও ওই টাকা বা বাইক কোনটাই ফিরত দেননি তারা।

সেনা সদস্য শাকিবুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, মূলত তিনি আনিছুরের মোটরসাইকেল নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন। একারণে মোটরসাইকেলটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটি মেরামতের পর মোটরসাইকেলটি তার বাড়িতেই রাখা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ উজ্জ্বল হোসেন দৈনিক বনলতাকে বলেন, এবিষয়ে মামলার কোন নথি এখনো থানায় আসেনি। নথি পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।।